lifestyle

শাশুড়িমাকে নিজের মায়ের মতো ভালোবেসে দেখুন তিনিও আপনাকে নিজের মেয়ের চোখেই দেখবেন

শাশুড়িমাকে প্রভাবিত করার টিপসগুলি দেখে নিন

এখনকার দিনে উন্নত সমাজে মানুষের জ্ঞান-শিক্ষা লোপ পাচ্ছে। উন্নত সমাজের মেয়েরা শ্বশুরবাড়িকে নিজের বাড়ি মেনে নিতে পাচ্ছে না। কারণ শ্বশুর-শাশুড়িকে নিজের বাবা-মা মেনে নিতে তাদের কষ্ট হয়। এটি খুবই নিম্নমানের রুচিবোধের উদাহরণ। ফলে বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে মানিয়ে নিতে নানা জটিলতার সৃষ্টি হয়। শ্বশুরবাড়ির দিক থেকেও তখন একই ব্যবহার আসে।

ভারতীয় সংস্কৃতিতে মায়ের সম্মান সবার উপরে। তাই নিজের মায়ের পাশাপাশি বিয়ের পর শাশুড়িমাকেও সম্মান করা, তাঁর খেয়াল রাখা আমাদের সকলের উচিত। অনেক সময় শাশুড়ি-পুত্রবধূর মধ্যে ঠিকঠাক বনিবনা হয়ে উঠে না। কারণ পুত্রবধূ যেমন তাঁকে মায়ের দরজা দিতে পারছেন না ঠিক তেমন অন্যদিকে তিনিও নিজের মেয়ের জায়গাটা তাকে দিচ্ছেন না। ফলে সংসারে শুরু হয় জটিলতা। এইরকম জটিলতা থেকে মুক্তির উপায় হিসাবে আমরা আপনাদের জন্য কিছু টিপস নিয়ে এসেছি। দেখে নিন একনজরে-

কোনও লোক দেখানো না বরং শাশুড়িমাকে মন থেকে সম্মান করুন:

এখনকার দিনে কোনও লোক দেখানো কাজকর্মের প্রভাব বেশি। কিন্তু আপনি সেই স্রোতে গা ভাসাতে যাবেন না। কোনও লোক দেখানো না বরং শাশুড়িমাকে মন থেকে সম্মান করুন। কারণ এটি আপনার দায়িত্ব এবং কর্তব্য। শুধুমাত্র শাশুড়িমা কেন শ্বশুরবাড়ির প্রত্যেকটি মানুষকেই প্রথম দিন থেকেই আপনার সম্মান করা উচিত। আপনি তাঁদের যত বেশি সম্মান দেবেন দেখবেন আপনিও ততো বেশি ভালোবাসা পাবেন।

শাশুড়িমার প্রশংসা করুন:

নিজের ব্যাপারে প্রশংসা কার না ভালো লাগে। শ্বশুরবাড়ি এবং শাশুড়িমার নামে নিন্দা কোনওদিন কোনও জায়গায় করবেন না। এতে তাঁকে অপমান করা বোঝায়। আর এটি খুবই খারাপ অভ্যাস। বরং তাঁর ব্যাপারে প্রশংসা করুন। তিনি যে এতো বছর ধরে আপনাদের সংসারকে আগলে রেখেছেন সেটি তাঁকে বলুন। আপনি তাঁর পুত্রবধূ কম মেয়ে বেশি এই আশ্বাস তাঁকে দিন। দেখবেন তিনি আপনাকে নিজের মেয়ের মতোই আগলে রাখবেন।

বাড়ির কাজের সমস্ত দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিন:

এতদিন নিজের বাড়িতে একটা কাজও আপনাকে করতে হয়নি। কিন্তু শ্বশুরবাড়ি এসে আপনাকে পুত্রবধূর দায়িত্ব পালন করতে হবে। হয়তো কোনও কাজই আপনি পারেন না, কিন্তু আপনাকে আসতে আসতে সব কাজ শিখে নিতে হবে। পারলে শাশুড়িমাকে বলুন কাজ শিখিয়ে দিতে। দেখবেন উনি খুশিই হবেন। এইভাবে একসাথে কাজ করতে করতে দুজনের মধ্যে মিল হবে খুব সহজেই।

অবসর সময়ে বেশি করে বাড়িতে সময় দিন:

আপনি হয়তো কর্মসূত্রে খুবই ব্যস্ত থাকেন। সারাদিন অফিসে কাজের পর বাড়িতে ফিরে বাড়ির মানুষগুলির সাথে সেভাবে কথা হয় না। এর ফলে বাড়ির মানুষজনও ধরতেও পারবেন না যে, আপনি কতটা চাপের মধ্যে দিয়ে যান প্রতিদিন। তাই আমরা বলবো, বাড়িতে একটু সময় দেওয়াটা জরুরি। যার ফলে আপনি তাদের সাথে একত্রিত হতে পারবেন। এতে পরিবারের বন্ধন শক্ত হবে।

শাশুড়িমার সাথে মনের কথা শেয়ার করুন:

আপনি যদি প্রথম থেকেই নিজেকে দূরে রাখেন তাঁর থেকে তবে তিনিও নিজেকে প্রকাশ করতে পারবেন না আপনার কাছে। তাই প্রথম থেকেই শাশুড়িমার সাথে গল্প জমান। নিজের মনের কথা শেয়ার করুন। একসাথে বসে টিভি দেখুন। তবে তিনিও আসতে আসতে খুলবে আপনার কাছে। তখন দেখবেন শাশুড়িমাও তাঁর মনের কথা শেয়ার করছেন আপনার সাথে। সাংসারিক আলোচনা করবে আপনার সাথে। তখনই আপনার সাথে বন্ধনটি তাঁর ভালো মতো জমবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button