এই ৫টি লক্ষণ যা বুঝিয়ে দেয় আপনি দাম্পত্য জীবনে ভুল পুরুষের সাথে আছেন
দাম্পত্য জীবন সুখের না হলে ভবিষ্যতে খুব সমস্যা হয়
হাইলাইটস:
•সুখী দাম্পত্য জীবনের আশা সব মহিলারাই করেন।
•আপনি কী করে বুঝবেন আপনার বিয়ে একজন ভুল পুরুষের সাথে হয়েছে?
•ভুল পুরুষের সাথে বিয়ে হলে জীবন সুখের হয় না।
প্ৰতিটি নারীই মনে মনে স্বপ্ন দেখেন একটি সুন্দর সংসার এবং সৎ, চরিত্রবান স্বামীর। কিন্তু সবার এই স্বপ্ন বাস্তবে রূপায়িত হয় না। তাদের স্বপ্ন সারাজীবন স্বপ্নই থেকে যায়। জীবনসঙ্গী নির্বাচনের সময় ভ্রান্ত সিদ্ধান্ত নিলে গোটা জীবন নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। কিন্তু মানুষ মাত্রই ভুল হয়। স্বামী যদি মনের মতো না হলে তবে জীবনে অন্ধকার নেমে আসে। জীবনে চলার পথে নানারকম সমস্যা দেখা যায়। বিবাহিত দম্পতিদের ক্ষেত্রে, ছোটখাটো ঝগড়া এবং মতবিরোধ সাধারণ এবং অত্যন্ত স্বাভাবিক বলে মনে হতে পারে। কিন্তু এটি আপনার সঙ্গীকে ছেড়ে যাওয়ার অজুহাত হওয়া উচিত নয়। দু’জনে মানিয়ে গুছিয়ে সম্পর্ক অনায়াসে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে বহু নারী ভুল পুরুষের সাথে বৈবাহিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। তখন তাদের জীবন হয়ে ওঠে দুর্বিসহ। কেউ জেনে শুনে এইরকম জীবনসঙ্গী বেছে নেবেন না, কিন্তু ভাগ্যের পরিহাস। তাই তখন তার কিছু করারও থাকে না। তাই এইরকম সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্য তার স্বভাবের পরিবর্তন আনা জরুরি। এখানে এই ৫টি লক্ষণ রয়েছে যা আপনাকে বলবে যে আপনি ভুল ব্যক্তিকে বিয়ে করেছেন, ফলে আপনি লক্ষণগুলি জেনে কিছু একটা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন। লক্ষণগুলি জেনে নিন –
১. আপনি সবসময় অসুখী:
দম্পতি হিসাবে আপনার একে অপরকে খুশি করা উচিত, এটাই বিবাহকে সুন্দর করে তোলে। কিন্তু আপনি যদি সবসময় দুঃখী হন তবে এটি একটি চিহ্ন হতে পারে যে, আপনি ভুল সঙ্গীকে বিয়ে করেছেন। “হ্যাপিলি এভার আফটার” এমন কিছু যা আমরা সকলেই কামনা করি, কিন্তু বাস্তবে রূপকথার কোন স্থান নেই এবং আমাদের অবশ্যই তিক্ত সত্যকে মেনে নিতে হবে আর ভবিষ্যৎ জীবনে এগিয়ে যেতে হবে। দুঃখ বোধ করা বা অসুখী হওয়া অস্বাভাবিক নয়, তবে আপনি যদি বিবাহিত হন এবং আপনি যদি আপনার সঙ্গীর মধ্যেও কোনো কিছুতে আনন্দ খুঁজে না পান, তবে এটি একটি চিহ্ন যা আপনার চিন্তিত হওয়া উচিত। যদি এমন কিছু লক্ষণ অনুভব করেন, তাহলে আপনার উচিত একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া। তিনিই আপনাকে গাইড করতে পারবেন আপনার সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে।
২. সবসময় মতবিরোধ:
তর্ক স্বাভাবিক এবং প্রতিটি বিবাহের অংশ। কিন্তু আপনি এবং আপনার সঙ্গী কী সবকিছু বিষয় নিয়েই তর্ক করেন? এবং এটি একটি নিয়মিত কার্যকলাপ হয়ে উঠেছে? যদিও মতবিরোধ একটি সম্পর্কের সবচেয়ে সাধারণ দিক। কিন্তু এটি যদি প্রতিদিনের ভিত্তিতে ঘটে তবে এটি অবশ্যই উদ্বেগের কারণ। আপনার দাম্পত্য জীবনে যত বেশি দ্বন্দ্ব রয়েছে, তত বেশি সম্ভাবনা রয়েছে যে আপনি এবং আপনার সঙ্গীর মধ্যে কোনওরকম সামঞ্জস্য নেই।
৩. সম্পর্কে বিশ্বাস এবং সততার অভাব:
বিশ্বাস এবং সততা হল বৈবাহিক সম্পর্কের মূল ভিত্তি। এইগুলি আপনার সম্পর্কের স্বচ্ছতা নির্ধারণ করে এবং আপনার এবং আপনার সঙ্গীর মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিশ্বাস এবং সততা না থাকলে বিরাট সমস্যা হতে পারে। আপনার স্বামী যদি ক্রমাগত মিথ্যা কথা বলেন তবে তার সাথে সারাজীবন কাটানো কার্যত অসম্ভব। আবার অন্যদিকে কিছু পুরুষ আছেন যারা নিজের স্ত্রীকে একদম বিশ্বাস করতে চান না। এনারা কারণে-অকারণে সন্দেহ করে চলেন। এমন ব্যক্তির সঙ্গে থাকা কিন্তু মুখের কথা নয়। তাই স্বামী অবিশ্বাস করলে বুঝবেন কোথাও একটা সমস্যা অবশ্যই রয়েছে। এই লক্ষণ দেখলে প্রথমেই ব্যবস্থা নিন।
৪. পরকীয়া জনিত সমস্যা:
অনেক পুরুষ মানুষ আছেন যাদের বিয়ের পরও মন এক জায়গায় টেকে না। তাই তারা বাড়িতে সুন্দরী স্ত্রী থাকার পরও পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। এমন মানুষের সাথে বিবাহিত সম্পর্কে জড়ালে আর অপেক্ষা করা উচিত নয়। বরং একটি কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার চেষ্টা করুন। কারণ পরকীয়ায় লিপ্ত মানুষের সাথে আপনি সারাজীবন থাকতে পারবেন না। শুধু আপনি করেন পরকীয়া জনিত সমস্যা যে সম্পর্কেই দেখা যায় সে সম্পর্কের পতন নিশ্চিত। তাই এইরকম কিছু অনুভব করলে দেরি না করে ব্যবস্থা নিন। কারণ তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে পরিস্থিতি আরও বিগড়ে যেতে পারে।
৫. আপনাদের দুজনের দৃষ্টিভঙ্গির কোনও মিল নেই:
আপনারা দুজনেরই আলাদা মানুষ, ফলে দুজন আলাদা মানুষের দৃষ্টিভঙ্গিও আলাদা হবেই আর এটিই স্বাভাবিক। কিন্তু সম্পর্কে ‘সমন্বয়’ ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যখন আপনারা একটি বৈবাহিক সম্পর্কে আছেন তখন আপনাদের দুজনকেই অনেক কিছুই সমন্বয় করে ভবিষ্যতের লক্ষ্য স্থির করতে হবে। কিন্তু দুজনের মধ্যে সমন্বয়ের অভাবে লক্ষ্য যদি স্থির না হয়ে ভিন্ন হয়, তবে আরেকটি লক্ষণ যে আপনি ভুল ব্যক্তিকে বিয়ে করেছেন। যেহেতু আপনারা একটি জীবন এবং ভবিষ্যৎ একসাথে ভাগ করছেন, তাই আপনাদের জীবনের লক্ষ্যগুলি এক হওয়া উচিত।
এইরকম সম্পর্ক বিষয়ক প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।