শীতকালে ঘাম হওয়ার কারণ হিসাবে উঠে আসছে অনেক রোগের ভ্রুকুটি
চলতি কথায় আমরা বলি যে, গরম পড়লে কিংবা অতিরিক্ত পরিশ্রম করলে ঘাম হওয়াটা স্বাভাবিক। এর মাধ্যমে শরীর নিজের তাপমাত্রা বজায় রাখার কাজটি করে। কিন্তু দেখা যায় যে, কিছু মানুষ আছেন যারা শীতকালেও ঘেমে যান। এই পরিস্থিতিতে আপনাকে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে এবং এই বিষয়টি নিয়ে বিবেচনা করতে হবে।
শীতকাল সবার জন্য ভালো নাও হতে পারে। এই ঋতুটি যেমন ভালো, তেমনই খারাপও। এই সময়ে নানা রোগের উৎপাত বহুগুন বেড়ে যায়। যেমন ধরুন হঠাৎ করেই আপনি ঘেমে যাচ্ছেন, এই ঘেমে যাওয়ার পিছনেও কিছু কারণ থাকতে পারে।
শীতকালে ঘাম হওয়ার অনেক কারণ রয়েছে, সেগুলি হল:
ওজন বেশি থাকলে: আমাদের দেহের ওজন সঠিক রাখা সবসময়ই উচিত। কারণ ওজন বেশি থাকলে শরীরে বেশকিছু সমস্যা দেখা দেয়। এক্ষেত্রে বেশি ঘামও হতে পারে। তাই আমাদের নিজের শরীরের প্রতি যত্ন দেওয়া দরকার।
বেশি ঝাল খাবার খেলে: অনেকেই আছেন যারা ঝাল খাবার খেতে পছন্দ করেন। ঝাল খাবার খাওয়া সর্বদা ভালো নাও হতে পারে, কারণ এই খাবার খাওয়ার ফলে শরীরে অনেক সমস্যা দেখা যায়। সেইরকম পরিস্থিতিতেও ঘাম হয়।
হরমোনজনিত কারণ: শীতকালে অনেকের শরীরে ইস্ট্রোজেন হরমোনের পরিমান বৃদ্ধি পায়। এবার মস্তিষ্কে এই হরমোনের পরিমাণ বাড়লে মানুষের ঘাম হয়। এছাড়া চিন্তা থেকে শুরু করে অবসাদের কারণেও এই হরমোন বাড়তে পারে।
সুগার কমে গিয়ে: এখনকার দিনে ঘরে ঘরে ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগী। সেই পরিস্থিতিতে শরীরে সুগারের লেভেল কমতে পারে। এবার আপনাকে মাথায় রাখতে হবে যে, কিছু ওষুধ ও ইনসুলিন সুগার কমায়। তাই প্রতিটি মানুষকে সর্বদা সতর্ক থাকতে হবে। কারণ এইরকম পরিস্থিতিতেও ঘাম দেয়।
দ্রষ্টব্য: এছাড়াও বিশেষজ্ঞরা বলেন যে, মেনোপজ থেকে শুরু হাইপহাইড্রোসিস, ব্লাড প্রেসার বেড়ে যাওয়া সহ নানা কারণে শীতে ঘাম হয়।
এবার এমন পরিস্থিতিতে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন, তবেই রোগ প্রতিরোধ সম্ভব। শরীরের প্রতি যত্নশীল না থাকলে শরীরে গুরুতর অসুখ দেখা দিতে পারে। এই বিষয়টি কোনোদিন মাথা দিয়ে বার করবেন না।