আপনার একটি সুন্দর হাসির জন্য সুস্থকর দাঁত একান্তই প্রয়োজন।
দাঁতের জন্য উপযুক্ত খাবার সম্পর্কে আরও জানতে এই প্রতিবেদনটি পড়ুন এবং মন খুলে হাসুন।

লক্ষণীয় বিষয় :
•মজবুত দাঁতের জন্য কী খাবেন?
•প্রাকৃতিক ক্লিনজার হিসেবে কোন খাবারগুলি ব্যবহার করবেন?
•কোন কোন খাবারগুলি এড়িয়ে চলবেন?
•স্বাস্থ্যকর দাঁতের জন্য টিপস দেওয়া হল :
চমৎকার এবং উজ্জ্বল দাঁত ছাড়া একটি সুন্দর হাসি কল্পনা করা নিঃসন্দেহে কঠিন। আপনার দাঁত আপনার খাদ্যাভ্যাস দ্বারা প্রভাবিত হয়। কী অবাক হলেন? তাহলে বলি, এটাই হল মূল সত্য। স্বাস্থ্যকর দাঁত আপনার স্বাস্থ্যকর জীবনধারা চিত্রিত করে। উজ্জ্বল এবং সাদা দাঁত আপনাকে একটি বিশ্রী পরিস্থিতিতে আটকে থাকা থেকে রক্ষা করতে পারে। চাকরির ইন্টারভিউ হোক বা প্রথম ডেট প্রতিটি ক্ষেত্রেই সুস্থ দাঁত দিয়ে আপনার হাসি অনেক বেশি সৌন্দর্য বাড়াতে সাহায্য করে।
স্বাস্থ্যকর দাঁতের জন্য খাবার সম্পর্কে আরও জানতে এই প্রতিবেদনটি পড়ুন।
মজবুত দাঁতের জন্য কী খাবেন?
দাঁতের ভালো স্বাস্থ্যবিধি হল দিনে দুবার নিয়মিত ব্রাশ করা, খাবারের পরে মুখ ধুয়ে ফেলা বা জল দিয়ে ভালো করে কুলকুচি করা। আপনি যা খান তা সাবধানে বেছে নিন কারণ এটি সরাসরি আপনার দাঁতের স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে। ভুল খাবার দাঁতের ক্ষয় এবং খারাপ দাঁতের স্বাস্থ্যবিধির কারণ হতে পারে। তাই বলা যায়, একজন বুদ্ধিমান মানুষের মতো নির্বাচন করুন এবং ভালভাবে জীবনযাপন করুন।
প্রাকৃতিক ক্লিনজার হিসেবে খাবার :
আমেরিকান ডেন্টাল অ্যাসোসিয়েশন (ADA) বলে, ফাইবারযুক্ত খাবার আপনার মাড়ি এবং দাঁত পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।
১. আপেল এবং নাসপাতির মতো ক্রাঞ্চি ফল চিবানো দাঁতের খাদ্য কণা অপসারণ করতে সাহায্য করে এবং দাঁতের ক্ষয় রোধ করে। আপেলকে বলা হয় প্রকৃতির টুথব্রাশ।
২. স্ট্রবেরি চমৎকার ক্লিনজিং বৈশিষ্ট্য দিয়ে সমৃদ্ধ হয়, যাকে বলা হয় প্রকৃতির ক্লিনজিং এজেন্ট। মুখ পরিষ্কার রাখতে এবং মুখের স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখতে কয়েকটি স্ট্রবেরি খান।
৩. চিনি-মুক্ত চুইংগাম খাদ্য কণা অপসারণ করতে সাহায্য করে। আপনার চোয়ালের সমস্যা হলে এটির ব্যবহার এড়িয়ে চলুন।
৪. দাঁত সুস্থ ও মজবুত রাখার জন্য ভিটামিন ডি প্রয়োজন। ক্যালসিয়াম শোষণের সুবিধার্থে ভিটামিন ডিও প্রয়োজন। ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার হল মাছ, ডিমের কুসুম, দুধ ইত্যাদি। ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ পণ্য যেমন বাদাম, শাক, সয়ামিল্ক, দুগ্ধজাত দ্রব্য ইত্যাদি আপনার খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করুন। সূর্যের এক্সপোজার ভিটামিন ডি পাওয়ার একটি প্রাকৃতিক উপায়।
৫. পনির গ্রহণ করা উচিত, কারণ এটি ক্যালসিয়ামের একটি সমৃদ্ধ উৎস। পনিরে পাওয়া কেসিন এবং হুই প্রোটিন দাঁতের এনামেলকে শক্তিশালী করার জন্য উপকারী।
৬. চিনি-মুক্ত খাবার গ্রহণে দাঁতের ক্ষয় হতে পারে না এবং সেটি আপনার দাঁতের জন্য বেশ নিরাপদ। তাই অ্যাসপার্টাম, সরবিটল স্যাকারিন, সুক্রলোজ এবং ম্যানিটল আছে এমন খাবার গ্রহণ করুন এবং সেগুলি আপনার দাঁতের ক্ষতি করে না।
যে খাবারগুলি এড়িয়ে চলবেন :
১. কফি, চা এবং সিগারেটের মত পানীয় এড়িয়ে চলুন। ক্যাফেইন এবং নিকোটিন আপনার দাঁতে দাগ ফেলে। মিষ্টিহীন রসে শর্করা থাকে, যা আপনার মুখে অ্যাসিডিক হয়ে যায় এবং দাঁতের এনামেলকে ক্ষয় করতে সাহায্য করে।
২. স্টার্চি খাবার আপনার দাঁতের জন্য সমানভাবে খারাপ। পাউরুটি, কেক, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই ইত্যাদির স্লাইসগুলিতে সোডা থাকে এবং এটি আপনার দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
৩. বায়ুযুক্ত পানীয় পান করা এড়িয়ে চলুন কারণ তারা দাঁতের এনামেল ক্ষয় করে দেয়।
৪. শুকনো ফল আপনার দাঁতে লেগে থাকে এবং আপনার দাঁতের ক্ষতি করে। আপনার মৌখিক গহ্বর থেকে অবশিষ্ট শুকনো ফলের ধ্বংসাবশেষ অপসারণ করতে এক টুকরো আপেল খান।
৫. ব্লুবেরি এড়িয়ে চলুন কারণ তারা দাঁতে দাগ ফেলতে বিশেষ ভূমিকা নেয়।
স্বাস্থ্যকর দাঁতের জন্য টিপস –
• পুষ্টিকর এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খান এবং আপনার বাচ্চাদের জন্য একটি উদাহরণ স্থাপন করুন।
• প্রতিদিন অন্তত দুবার ব্রাশ করুন।
• প্রতিবার খাবার খাওয়ার পর আপনার মুখ ভালোকরে ধুয়ে ফেলুন। যদি এটি সম্ভব না হয়, তাহলে জল দিয়ে কুলকুচি করে সেই জল পান করুন।
• বাচ্চাদেরকে দুধের বোতল বিছানায় ফেলবেন না।
• প্রতি তিন মাস পর পর টুথব্রাশ পরিবর্তন করুন।
• বার্ষিক ডেন্টাল চেক-আপগুলি করাতে ভুলবেন না।
• কখনই ব্রাশ না করে বিছানায় শুতে যাবেন না।