Lakshmikantapur Local Review: সীমান্তের সমস্যা, খেটে খাওয়া মানুষের যন্ত্রণার কথা জানিয়ে কেমন হল ‘লক্ষ্মীকান্তপুর লোকাল’?
কলকাতার এক অভিনেত্রী (সংগীতা সিনহা) এবং তার লেখক স্বামীর (ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত) ফ্ল্যাটে আয়া হিসাবে কাজ করে মালতী (চান্দ্রেয়ী ঘোষ)। লিভ টুগেদার করা এক অল্পবয়সি প্রেমিক-যুগলের (জন-রাজনন্দিনী) বাড়িতে রান্নার কাজ করে সরস্বতী (সায়নী ঘোষ)।
Lakshmikantapur Local Review: রামকমল মুখোপাধ্যায়ের পরিচালিত ‘লক্ষ্মীকান্তপুর লোকাল’ ছবিটির রিভিউ পড়ুন
হাইলাইটস:
- রামকমল মুখোপাধ্যায়ের ছবি এই ‘লক্ষ্মীকান্তপুর লোকাল’
- সরস্বতী, মালতী, কল্যাণী অথবা রুকসানার গল্প নিয়ে তৈরি প্রেক্ষাপট
- এই ছবির বিশেষ প্রদর্শনে এসেছিলেন লক্ষ্মীকান্তপুরের কিছু মানুষও
Lakshmikantapur Local Review: রামকমল মুখোপাধ্যায়ের ছবি ‘লক্ষ্মীকান্তপুর লোকাল’। সরস্বতী, কল্যাণী, মালতী, অথবা রুকসানার গল্প বলে। যারা শহর আর মফস্বলের সেতু হয়ে থেকে যায়। দুই বাংলার রেষা-রেষিতে, সীমান্তের লক্ষ্মণরেখার দরাদরিতে যারা স্বজনহারা। ধর্ম নিয়ে দুই দেশের মধ্যে বিবাদ এবং যারা লোফালুফিতে ভিটেহারা। এ মুহূর্তে এসআইআর নিয়ে যখন আলোড়িত দেশজুড়ে, উত্তপ্ত বাংলা, তখন আরও অনেক বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে ‘লক্ষ্মীকান্তপুর লোকাল’।
We’re now on WhatsApp- Click to join
প্রেক্ষাপট—
কলকাতার এক অভিনেত্রী (সংগীতা সিনহা) এবং তার লেখক স্বামীর (ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত) ফ্ল্যাটে আয়া হিসাবে কাজ করে মালতী (চান্দ্রেয়ী ঘোষ)। লিভ টুগেদার করা এক অল্পবয়সি প্রেমিক-যুগলের (জন-রাজনন্দিনী) বাড়িতে রান্নার কাজ করে সরস্বতী (সায়নী ঘোষ)। আরও এক বাঙালি দম্পতি উৎপল ও লাবণ্যর (ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত-কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় অভিনীত) পরিবারে আয়া হিসাবে কাজ করে কল্যাণী (পাওলি দাম)। এরা তিনজনই করে ডেলি প্যাসেঞ্জারি। তাদের নিত্যদিনের যাতায়াত “লক্ষ্মীকান্তপুর লোকাল” ধরেই।
We’re now on Telegram- Click to join
একদিকে, এই তিনজনের আশা-আকাঙ্ক্ষা। অন্যদিকে, শহুরে এই মানুষগুলোর চাওয়া-পাওয়া। অথবা রয়েছে না পাওয়ার গল্প দুই তরফেরই। মালতী চায় সন্তান, দাদা-বউদির বাড়িতে দত্তক নেওয়া শিশু সন্তান এলে সেও ভাবে যে যদি তার পক্ষেও এই দত্তক নেওয়া সম্ভব হত। তাঁর স্বামী বোঝায়, অর্থাভাব থাকলে দেখা যায় না এই স্বপ্ন। তাই সে মালতীকে এক কুকুরছানা উপহার দেয়, ততদিনে কাজ ছেড়ে দিয়েছে মালতী, কারণ বউদি চায় না যে তাদের বাচ্চা মালতীর ন্যাওটা হয়ে পড়ুক।
সরস্বতী অশিক্ষিত, খেটে খাওয়া হলেও সেও স্বপ্ন দেখতে জানে, তার প্রেমটাও বেশ গোছানোই। সে দেখে তাঁর দাদা-দিদির ঝগড়া, দূরে চলে যাওয়া। আর কল্যাণী, সে নিজের পরিচয় গোপন রেখে কাজ করছে। বাংলাদেশ ছাড়তে সে বাধ্য হয়েছিল। পরিস্থিতির চাপে সে রুকসানা থেকে কল্যাণী হয়েছে। কিন্তু মন দিয়ে সে কাজ করে তার যত্নে এবং স্নেহে কোনওরকম ফাঁকি নেই। পক্ষাঘাতের শিকার উৎপল। মনেপ্রাণে এবং শিকড়ে সে বাঙাল।
Read More- সমাজের চিরাচরিত পুরুষতান্ত্রিক ভাবনার কৌশিক-কোয়েলের ‘স্বার্থপর’ দিল সুতোয় টান, রিভিউ পড়ুন
স্ত্রী লাবণ্যকে নিয়ে একবার সে চেয়েছিল নিজের দেশের বাড়ি যেতে। তবে উৎপল ঠিক বুঝতে পেরে যায় কল্যাণীর আসল পরিচয়। উৎপল বাংলাদেশ যেতে না পারলেও, দেশের বাড়ির মানুষ কলকাতাতেই সে পেয়ে যায়। এইভাবেই মানুষের যে অন্তরের টান, পুরনো অভ্যাস বা স্মৃতির মায়া দুই বাংলার সব ভেদাভেদ মুছে দিয়ে আমাদের দাঁড় করিয়ে দেয় ‘নো ম্যানস ল্যান্ডে’। এই ভেদাভেদ যে আমাদেরই তৈরি করা ক্ষমতায়নের প্রয়োজনে সেটাও একবার মনে করিয়ে দেয়। ছবিতে প্রতিটা চরিত্রই ব্যাপকভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এদিকে ক্যামিও দৃশ্যে বিধায়ক মদন মিত্রর এন্ট্রি দারুণ চমক ছিল।
এইরকম আরও বিনোদন জগতের প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।







