Panchayat Election 2023: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে ফের ‘রিমাইন্ডার’ চিঠি পাঠালো রাজ্য নির্বাচন কমিশনার! কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে তরজা অব্যাহত
Panchayat Election 2023: রবিবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর অবস্থান জানতে চেয়ে আবারও অমিত শাহের মন্ত্রকে চিঠি পাঠালো রাজ্য নির্বাচন কমিশন
হাইলাইটস:
• দীর্ঘ টালবাহানার পর অবশেষে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই হচ্ছে পঞ্চায়েত নির্বাচন
• ৩১৫ কোম্পানি বাহিনীর অনুমোদন পেলেও বাকি ৪৮৫ কোম্পানি বাহিনীর অবস্থান জানতে চেয়ে কেন্দ্রকে চিঠি কমিশনের
• ৩১৫ বাহিনী কিভাবে, কোথায় মোতায়েন করা হবে সেই সম্পর্কে এখনও কিছু জানায়নি কমিশন
Panchayat Election 2023: পশ্চিমবঙ্গের দুয়ারে পঞ্চায়েত নির্বাচন। হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্ট, বহু টালবাহানার পর অবশেষে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত নির্বাচন ২০২৩। ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আগেই পৌঁছে গেছে রাজ্যে । এই আবহে বাকি ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অবস্থান কি তা বোঝার জন্যই গতকাল ‘রিমাইন্ডার’ চিঠি পাঠায় কমিশন।
বাকি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে ফের কেন্দ্রকে চিঠি পাঠালো রাজ্য নির্বাচন কমিশন। জানা গিয়েছে বাকি ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে ‘রিমাইন্ডার’ চিঠি দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। প্রসঙ্গত, পরে বরাদ্দ করা আরও ৩১৫ কোম্পানি কেন্দীয় বাহিনী এখনও এ রাজ্যে আসেনি।
কমিশন সূত্রে জানা গেছে, বাকি ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অবস্থান সম্পর্কে বোঝার জন্যই কমিশনের তরফে এই রিমাইন্ডার। ইতিমধ্যেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে ৩১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর অনুমোদন এলেও তা কীভাবে মোতায়েন করা হবে তার সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি কমিশন। তাই ভিনরাজ্যেই এখন কেন্দ্রীয় বাহিনী বসে রয়েছে। বাকি ৪৮৫ কম্পানির সম্পর্কে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অবস্থান বুঝেই বাহিনী মোতায়নের পরিকল্পনা করবে কমিশন, এমনই জানাচ্ছে কমিশন। সেই কারণেই জন্যই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে এই রিমাইন্ডার চিঠি দিচ্ছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন বলেই কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে। শনিবারই এই প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা বলেছিলেন, শনিবার রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে, কোনও উত্তর না পেলে আবার চিঠি পাঠাবে কমিশন। সেই মতোই রবিবার আবারও বাহিনী চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে চিঠি দিলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা।
প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও রাজ্য সরকার দেশের শীর্ষ আদালতে যায়। কিন্তু কলকাতা শীর্ষ আদালতেরই রায় বহাল রাখে দেশের শীর্ষ আদালত। এরপর রাজ্য নির্বাচন কমিশন কেন্দ্রের কাছে ৩১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর আবেদন করেছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোঅর্ডিনেটর এবং আধিকারিকরা এসেছিলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের অফিসে।
বাহিনী এলেও তাদের কোথায় রাখা হবে অথবা কোথায় মোতায়েন করা হব, এ বিষয়ে কমিশনের পক্ষ থেকে এখনও কিছুই জানানো হয়নি। কেন্দ্রীয় বাহিনীর আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকেও সেই বিষয় স্পষ্ট আলোচনা হয়নি বলে জানা গেছে। এই কারণেই বাহিনীর আসার বিষয়ে দেড়ি হচ্ছে বলে সূত্রে মারফত জানা যাচ্ছে। রাজ্যে পৌঁছে যাওয়া বাহিনী ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জেলায় রুট মার্চ শুরু করেছে।
অপরদিকে, পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিরাপত্তার দাবিতে রবিবার পথে নেমেছিল সংগ্রামী যৌথমঞ্চ। বুথ প্ৰতি ৪ জন করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি জানায় ডিএ-আন্দোলনকারীরা। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে যাতে কোনও ভাবেই ২০১৮-র স্মৃতি ফিরে না আসে সেই দাবিতেই সংগ্রামী যৌথমঞ্চের মিছিল। সঠিক নিরাপত্তা না পেলে ভোটের ডিউটিতে তারা যাবেন না বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
এইরকম পঞ্চায়েত নির্বাচন বিষয়ক আরও প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।