Waqf Property-Mukesh Ambani: মুকেশ আম্বানির অ্যান্টিলিয়াও নাকি ‘ওয়াকফ’ সম্পত্তি! রিলায়েন্স কর্ণধারের সাধের সম্পত্তি কী এবার হাতছাড়া হবে?
তবে, এই ওয়াকফ বিল নিয়ে যখন গোটা দেশ জুড়ে উত্তাল, তখনই ওয়াকফের সাথে জড়িয়ে গেল রিলায়েন্স কর্তা মুকেশ আম্বানির নাম। এখন হয়তো ভাবছেন ওয়াকফ বিলের সাথে এক সুতোয় কীভাবে বাঁধা পড়লেন ভারতের এই ধনকুবের?
Waqf Property-Mukesh Ambani: তবে কী এবার ঘরছাড়া হওয়ার অপেক্ষা আম্বানিদের? জেনে নিন বিস্তারিত
হাইলাইটস:
- সম্প্রতি, মুকেশ আম্বানির সঙ্গে নাম জড়িয়েছে ওয়াকফ সম্পত্তির
- ওয়াকফ সম্পত্তির উপর গড়ে উঠেছে নাকি অ্যান্টিলিয়া
- ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রপতির সম্মতি লাভ করেছে ওয়াকফ
Waqf Property-Mukesh Ambani: দীর্ঘ জল্পনা পর আইনে পরিণত হয়েছে ওয়াকফ বিল। শনিবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু স্বাক্ষর করেন ওয়াকফ বিলে। পিটিআই সূত্রে খবর অনুযায়ী, ৫ই এপ্রিল, ২০২৫ তারিখে আনুষ্ঠানিকভাবে ওয়াকফ আইন রাষ্ট্রপতির সম্মতি লাভ করেছে। ধর্মীয় বা কল্যানমূলক কাজের উদ্দেশ্যে ইসলামি আইনের আওতায় দান করা সম্পত্তি পরিচিত ‘ওয়াকফ’ নামে।
We’re now on WhatsApp- Click to join
বর্তমানে ওয়াকফ সম্পত্তির সাথে নাম জড়িয়েছে মুকেশ আম্বানির
তবে, এই ওয়াকফ বিল নিয়ে যখন গোটা দেশ জুড়ে উত্তাল, তখনই ওয়াকফের সাথে জড়িয়ে গেল রিলায়েন্স কর্তা মুকেশ আম্বানির নাম। এখন হয়তো ভাবছেন ওয়াকফ বিলের সাথে এক সুতোয় কীভাবে বাঁধা পড়লেন ভারতের এই ধনকুবের? মুম্বাইয়ের আলটামাউন্ট রোডে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা খরচ করে মুকেশ আম্বানি গড়ে তোলেন তাঁর বিলাসবহুল বাসভবন অ্যান্টিলিয়া। তবে, এহেন দাবি উঠছে যে মুকেশ আম্বানির সাধের অ্যান্টিলিয়া নাকি ওয়াকফ সম্পত্তির উপর গড়ে উঠেছে।
We’re now on Telegram- Click to join
জানা গিয়েছে, ২০০২ সালে প্রায় ২১ কোটি টাকার বিনিময়ে সাড়ে ৪ লক্ষ বর্গফুটের প্লটটি কিনেছিলেন রিলায়েন্স কর্ণধার মুকেশ আম্বানি। সাড়ে ৪ লক্ষ বর্গফুটের প্লটের উপর নির্মিত হয়েছে অ্যান্টিলিয়া, দাবি উঠছে যে সেই প্লটটিই আদতে নাকি ওয়াকফ সম্পত্তি। রিলায়েন্স কর্তার জমি কেনার ঠিক তিন বছর পরেই অর্থাৎ ২০০৫ সালে মহারাষ্ট্র ওয়াকফ বোর্ড এই বিষয়টি নিয়ে শরণাপন্ন হয় শীর্ষ আদালতের কাছে।
এই মামলা চলাকালীন জড়িয়ে যায় এর তৎকালীন চেয়ারম্যান এবং সিইও-র নাম। এমনকি, এই বিষয়টির আঁচ আগেভাগেই গিয়ে পৌঁছায় মহারাষ্ট্র বিধানসভাতেও। সে সময়ে দাবি করা হয় যে, মুকেশ আম্বানি বাড়ি তৈরির উদ্দেশ্যে যে জমিটি কিনেছেন, সেই জমিটি ১৯৮৬ সালে করিম ভাই ইব্রাহিম নামক এক ব্যক্তি দান করেছিলেন ওয়াকফ বোর্ডকে। পরবর্তীকালে সেই দান করা জমিটি ওয়াকফ বোর্ড অর্থের বিনিময়ে বিক্রি করে দিয়েছিল মুকেশ আম্বানিকে।
সামাজিক এবং ধর্মীয় উন্নয়নমূলক কাজে ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা যে সম্পত্তি দান করে তাকেই ওয়াকফ বলা হয়। বিক্রি করা তো দূরের কথা, ব্যবসায়িক কাজেও ব্যবহার করা যায় না এই ওয়াকফ সম্পত্তিকে। ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস অনুযায়ী, ওয়াকফ হল আল্লাহর সম্পত্তি। সেই ওয়াকফ সম্পত্তির অন্তর্গত জমিকে কীভাবে কিনলেন মুকেশ আম্বানি এই নিয়েই শুরু হয়েছে জল্পনা। এই মামলাটি দীর্ঘদিন যাবত আদালতের বিচারাধীন রয়েছে।
এইরকম আরও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।