Vishwakarma Puja 2023: বিশ্বকর্মা পুজোর সঙ্গে ঘুড়ি ওড়ানোর এক গভীর সম্পর্ক রয়েছে, জেনে নিন ইতিহাস
Vishwakarma Puja 2023: অতীতে কলকাতা শহরে ঘুড়ি ওড়ানোর অভ্যাস ছিল পাড়ায় পাড়ায়
হাইলাইটস:
- বিশ্বকর্মা পুজোর দিন ঘুড়ি ওড়ানোর এক দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে
- তবে এখন আকাশে ঘুড়ির দেখা কম মেলে
- বিশ্বকর্মা পুজোর সারাদিন ঘুড়ি ওড়ানোর ওই ঐতিহ্য চিরকালীন এক শৈশবের সকালের কথা মনে করিয়ে দেয় বঙ্গবাসীকে
Vishwakarma Puja 2023: কলকাতা শহরে ঘুড়ি ওড়ানোর একটা দীর্ঘ ইতিহাস আছে। তবে এই ইতিহাসটি অনেকেরই অজানা। কিন্তু এই প্রতিবেদনে আজ এই ইতিহাস সম্বন্ধেই আলোচনা করা হয়েছে। বিশ্বকর্মা পুজোর সঙ্গেও ঘুড়ি ওড়ানোর এক গভীর সম্পর্ক রয়েছে।
বহুবছর আগে অবশ্য বিশ্বকর্মা পুজোর দিনে ঘুড়ি ওড়ানোর চল ছিল না কলকাতায়। তবে ১৮৫৬ সালে ওয়াজেদ আলি শাহ ইংরেজদের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে তাঁর লখনউ শহরের রাজত্ব খুইয়ে এসেছিলেন কলকাতার বিচালিঘাটে। তবে এরপর তিনি কলকাতার মেটিয়াব্রুজ এলাকায় গড়ে তোলেন তাঁর নবাববাড়ি।
কলকাতায় এসেও তিনি তাঁর লখনউয়ের নবাবিয়ানাকে ছাড়তে পারলেন না। কলকাতায় বসেই তিনি নবাবি খাবার থেকে শুরু করে বাইজি, পাখির লড়াই এমনকি ঘুড়ির লড়াইও করতে থাকলেন। যার ফলে নবাবিয়ানাকে কলকাতাও আপন করে নিল। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বহুবছর ধরেই ঘুড়ি ওড়ানোর চল থাকলেও কলকাতায় ওয়াজেদ আলি শাহর হাত ধরেই ঘুড়ি ওড়ানোর চল শুরু হল।
অন্যদিকে সেই সময় কলকাতায় বুকে মাথাচাড়া দিচ্ছিল বাবু কালচার। যার ফলে তাঁরাও নিজের ফুর্তি এবং প্রতিপত্তি দেখানোর জন্য ঘুড়ি ওড়ানোর প্রতিযোগিতায় নাম লেখাতেন। সেই সঙ্গে তাঁরা রপ্ত করতে শুরু করলেন নবাবিয়ানার বিভিন্ন রীতিনীতি। সেই সময়ে কলকাতার আকাশে দেখা মিলত বিভিন্ন ধরনের ঘুড়ি।
এইভাবেই শুরু হয় কলকাতার আকাশে ঘুড়ি ওড়ানো। নবাবিয়ানা বা বাবু কালচার শেষ হয়ে গেলেও বিশ্বকর্মা পুজোর দিন আকাশে দেখা মেলে রঙবেরঙের ঘুড়ি। বর্তমানে স্মার্ট ফোনের যুগে এখন আকাশে খুবই কম সংখ্যক ঘুড়িই দেখা যায়। তবে বিশ্বকর্মা পুজোর দিন সকাল থেকে ঘুড়ি ওড়ানোর ওই ঐতিহ্য যেন চিরকালীন এক শৈশবের সকালের কথা মনে করিয়ে দেয় বঙ্গবাসীকে।
এইরকম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।