Bangla News

TMC on Congress: তৃণমূল সুপ্রিমোর মুখে আবারও জোট প্রসঙ্গ, তাহলে কী কংগ্রেসের সাথে এক ছাতার তলায় আসতে চাইছে তৃণমূল?

রাহুল ইস্যুতে নাম না করে সমর্থন করেছেন মমতা-অভিষেক

হাইলাইটস:

•রেড রোডের ধর্না মঞ্চ থেকে কংগ্রেসের প্রতি সুর নরম শোনা গেল তৃণমূল নেত্রীর গলায়

•বাম-বিজেপিকে আক্রমণ করলেও টানা দু’দিনের ধর্না মঞ্চ থেকে কংগ্রেসকে কোনও আক্রমণ করেননি মমতা

•রাহুল গান্ধী ইস্যুতেও সমর্থনের বার্তা দিয়েছেন আগেই

কলকাতা: কেন্দ্রের বঞ্চনার প্রতিবাদে রেড রোডে আম্বেদকর মূর্তির পাদদেশে বুধবার বেলা ১২টা দিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ধর্না রেখেছিলাম তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আর এই ধর্না মঞ্চ থেকে তৃণমূলনেত্রী লাগাতার আক্রমণ চালিয়ে গেছেন কেন্দ্রীয় সরকারকে। ধর্না মঞ্চের দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বাম-বিজেপিকে সাথে আক্রমণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু কংগ্রেস সম্পর্কে বিরোধিতার কথা শোনা যায়নি তাঁর মুখে। বরং রাহুল গান্ধী ইস্যুতে কংগ্রেসকে সমর্থনের (TMC on Congress) সুরও শোনা যায় তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের গলায়।

একদিকে যেমন সাগরদিঘি উপনির্বাচনের ফল প্রকাশের দিন নবান্ন থেকে কংগ্রেস এবং বিজেপির থেকে সমদূরত্ব বজায় রাখার বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আবার অন্যদিকে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কোনও জোট না-গড়ে তাঁর দল একক ভাবেই লড়বে বলেও সেদিনই জানান তৃণমূল নেত্রী। কিন্তু সম্প্রতি রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজের প্রতিবাদে নাম না করেও কংগ্রেসকে সমর্থন করতে দেখা গেছে তৃণমূল সুপ্রিমো এবং তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের টুইটে। এবার উল্লেখযোগ্য বিষয় এই যে, দু’দিনের টানা ধর্না মঞ্চ থেকে একবারও কংগ্রেসকে (TMC on Congress) আক্রমণ করেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাহলে কী কংগ্রেস প্রসঙ্গে সুর নরম করছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব? রাজনৈতিক মহলে উঠছে প্রশ্ন এমনই প্রশ্ন।

এই দু’দিনের ধর্না মঞ্চে কার্যত দুই দফায় বক্তব্য রেখেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার ধর্না মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি আক্রমণ করেছেন বামেদের। ডিএ-র দাবি এবং নিয়োগ দুর্নীতির প্রশ্নে রাজ্যের বামেরা এখন বেশ ‘সক্রিয়’। ইতিমধ্যে তারা তাদের অস্তিত্বও জাহির করতে শুরু করেছে। আবার আন্দোলন করতেও ময়দানে নামছে। বোঝা যাচ্ছে খানিকটা হলেও তারা এখনও উজ্জীবিতই আছে। তাই নাম না করে ধর্না মঞ্চ থেকে সিপিএমকে ‘চোর-ডাকাত’ বলে আক্রমণ করেছেন তৃণমূলনেত্রী।

আবার অন্যদিকে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল হল বিজেপি। একই বাক্যে বিজেপির নাম উচ্চারণ করে ‘গুণ্ডা’ বলেছিলেন নেত্রী। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, তাই রাম-বামকে একই বন্ধনীতে ফেলে আক্রমণ শুরু করেছেন মমতা। তিনি বলেছেন, ‘‘বিজেপি আর সিপিএম মনে রাখবেন বাম আর রাম এক হয়েছে। আর তারা এক হয়েই বলছে, ‘আমরা সব কাগজপত্র হাতে পেয়ে যাচ্ছি।’ পাবে না কেন! সিপিএমের আমলের অফিসারগুলোকে তো তাড়াইনি! তারা তো এখনও কোঅর্ডিনেশন কমিটির সঙ্গে মিলে আছে। ওরাই কাগজপত্রগুলো সরাচ্ছে।’’

আবার তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Abhishek Banerjee) তৃণমূলের ছাত্র-যুব যৌথ সমাবেশ থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করেছিলেন। ২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে এসে তিনি ‘দিদি ও দিদি’ বলে যে বাংলার মা-বোনেদের আক্রমণ করেছিলেন তা যথেষ্ট নিন্দনীয় ছিল। তিনি তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি কিন্তু রাহুল গান্ধীর ২ বছরের জেল (অবশ্য জামিনও পেয়ে গেছেন তিনি) এবং তাঁর সাংসদ পদ খারিজ হয়েছে। আবার রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ নিয়ে কংগ্রেসের ডাকা বৈঠকে দুই সাংসদকেও পাঠিয়েছেন মমতা। সুতরাং বলা যায়, বিরোধী জোটকে আরও শক্ত করতে কংগ্রেসের প্রতি নরম মনোবল সৃষ্টি করতে চাইছে তৃণমূল নেতৃত্ব (TMC on Congress)। এবার প্রশ্ন হল এটিই কী কংগ্রেসের প্রতি সেই ‘বার্তা’, যা দিয়ে বিরোধী জোটে কংগ্রেসকে আহ্বান জানাচ্ছেন তৃণমূলনেত্রী? এইসব প্রশ্নের জবাব দেবে শুধুই সময়।

এইরকম রাজনৈতিক বিষয়ক প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button