Sikkim Flood: উত্তর সিকিমের লাচুং-লাচেনে আটকে প্রায় ৩ হাজার পর্যটক, আবহাওয়ার উন্নতি হলে চপার নামানো পরিকল্পনা সিকিম প্রশাসনের
Sikkim Flood: উত্তর সিকিমে আটকে টাকা পর্যটকদের মধ্যে বেশিরভাগই এ রাজ্যের বাসিন্দা
হাইলাইটস:
- সিকিমে ভয়াবহ বন্যার কবলে সাধারণ মানুষ থেকে পর্যটক
- উত্তর সিকিমের লাচুং-লাচেনে আটকে তিন হাজার পর্যটক
- পর্যটকদের উদ্ধার করতে চপার নামানোর ভাবনা সিকিম প্রশাসনের
Sikkim Flood: মানুষ তো স্বাদ এবং আনন্দ নিয়ে বেড়াতে যায়, তবে এই বেড়াতে যাওয়াই যে কাল হবে তা কি আর থেকে জানতে পারা যায়! সামনেই পুজো, যার ফলে পর্যটকদের মূল আকর্ষণের পর্যটনস্থল হল সিকিম। কিন্তু এখন সিকিমের যা অবস্থা পুজোয় সিকিম ঘুরতে টিকিট হয়তো পরিকল্পনা হয়তো বানচাল হতে পারে। তবে এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পরিবেশে যে সব সিকিমে আটকে রয়েছেন তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন বুধবার রাত থেকে।
এখনও পর্যন্ত যা সূত্রের খবর, উত্তর সিকিমের একাধিক জায়গায় আটকে রয়েছেন হাজার হাজার পর্যটক। বিশেষ করে উত্তর সিকিমের লাচুং-লাচেনে প্রায় ৩ হাজার পর্যটক আটকে রয়েছে। যার মধ্যে বেশিরভাগই রয়েছেন আমাদের রাজ্যের বাসিন্দা। যার ফলে উদ্বিগ্ন নবান্ন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৎপরতায় নবান্নে ২৪×৭ হেল্পলাইন চালু করা হয়েছে। এমনকি সিকিম প্রশাসনও অত্যন্ত তৎপরতার সাথে কাজ করছে। আবহাওয়ার একটু উন্নতি হলে চপার নামানো পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
বিভিন্ন ট্যুর অপারেটররা পর্যটকদের তথ্য তুলে ধরেছেন। হেল্প লাইনে আসা তথ্যের ভিত্তিতে রাজ্যের কোন কোন জেলার পর্যটকেরা সিকিমে আটকে পড়েছেন তারও তথ্য তুলে ধরেছেন পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত এই ট্যুর অপারেটরেরা। সূত্রের খবর, প্রশাসন এবং ট্যুর অপারেটরদের তরফে যে হেল্পলাইন নম্বর দেওয়া হয়েছে তাতে বহু পর্যটকের পরিবার পরিজন সম্পর্কে একাধিক তথ্য দিয়েছেন। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই উত্তর সিকিমের লাচুং-লাচেনের এলাকাগুলিতে আটকে থাকা এ রাজ্যের পর্যটকদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হবে। যেহেতু বুধবার রাত থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ এবং মোবাইল পরিষেবা সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়েছে সেই কারণে বুধবার রাত্রি পর্যন্ত আটকে থাকা পর্যটকদের সঙ্গে কোনওরকম যোগাযোগ রাখা সম্ভব হয়নি।
ট্যুর অপারেটরদের সংগঠনের নেতা সম্রাট সান্যাল জানিয়েছেন যে, “এখনও পর্যন্ত কোনও পর্যটকের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তাঁরা শুধুমাত্র আটকে রয়েছেন। পাহাড় থেকে তাঁদের নামিয়ে আনতে সিকিম এবং বাংলা প্রকাশকদের সঙ্গেও নিরন্তর যোগাযোগ রাখা হচ্ছে আমাদের তরফে। কিন্তু এখন যা ওখানে যা পরিস্থিতি তাতে এই মরসুমে সিকিমে পর্যটন কার্যত বন্ধের মুখে।”
লাগাতার বৃষ্টিতে গতকালই তিস্তার ভয়াবহ রূপ সামনে এসেছে। বর্তমানে তিস্তার জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। বাংলা-সিকিম লাইফলাইন ১০ নম্বর জাতীয় সড়কও ভেসে গেছে জলে তোড়ে। যার ফলস্বরূপ বাংলা-সিকিমের সড়কপথে যোগাযোগ সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন। হড়পা বানে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উত্তর সিকিম। সেখানে সেনা ছাউনিতে জল ঢুকে ২৩ জন জাওয়ানের নিখোঁজের খবর পাওয়া গেছে। এমনকি সাধারণ মানুষও নিখোঁজ। সব মিলিয়ে বলা যায়, সিকিমে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে উত্তরবঙ্গেও বন্যার আশঙ্কা দেখা দিতে শুরু করেছে। যার ফলে ঘুম উড়েছে উত্তরবঙ্গবাসীরও।
এইরকম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলা সাথে যুক্ত থাকুন।