Rabindra Jayanti 2023: ২৫শে বৈশাখ উপলক্ষ্যে আগামীকাল ১৬২ তম রবীন্দ্র জয়ন্তী পালিত হবে সারা রাজ্যজুড়ে
Rabindra Jayanti 2023: ২৫শে বৈশাখ দিনটি বাঙালির আত্মার সাথে জড়িত
হাইলাইটস:
• আগামীকাল রাজ্যজুড়ে পালিত হবে ১৬২ তম রবীন্দ্র জয়ন্তী উৎসব
• রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাঙালি জাতির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছেন
• রবীন্দ্র জয়ন্তী উপলক্ষ্যে আগামীকাল রাজ্যে আছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ
Rabindra Jayanti 2023: বৈশাখ মাসে বাঙালির প্রধান দুই উৎসব উদযাপন করা হয়। একটি হল মাসের শুরুর দিন অর্থাৎ পয়লা বৈশাখ এবং আরেকটি হল কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম দিবস অর্থাৎ ২৫শে বৈশাখ। তার মধ্যে ২৫শে বৈশাখ দিনটি বাঙালিদের কাছে অত্যন্ত সম্মানের এবং গর্বের। সারা রাজ্যজুড়ে আজও একই ভাবে এইদিনটি শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করা হয়। কলকাতার জোড়াসাঁকোর বিখ্যাত ঠাকুর পরিবারে ১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫শে বৈশাখ (১৮৬১ সালের ৭ই মে) জন্মগ্রহণ করেন তিনি। রবীন্দ্রনাথ বাঙালির জীবনের সঙ্গে ওতোপ্রোতোভাবে জড়িত। আগামীকাল রাজ্যজুড়ে পালিত হবে ১৬২ তম (Rabindra Jayanti 2023) রবীন্দ্র জয়ন্তী উৎসব।
প্রতিবছরের মতো এবছরও কলকাতার জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। তাছাড়া কবিগুরুর স্নেহের শান্তিনিকেতনেও অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি পর্ব প্রায় শেষের দিকে। এছাড়া রবীন্দ্র সদন এবং রবীন্দ্র স্মৃতি বিজড়িত ভবনগুলিতেও এই বিশেষ দিনে জনসমাগম দেখা যায়। কবিগুরুকে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন শত শত মানুষ। বিভিন্ন স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতেও এই দিন মহাসমারোহে উদযাপন করা হয় রবীন্দ্র জয়ন্তী। এছাড়া রবীন্দ্রজয়ন্তী উৎসবে রবীন্দ্র সংগীত, অনুষ্ঠান, নৃত্যানুষ্ঠান, রবীন্দ্র নাট্যাভিনয়, রবীন্দ্র রচনা পাঠ এবং আলোচনা সভার আয়োজন করা হয় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলির সাথে সাথে। বাঙালি জাতির কাছে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক উৎসব হল এটি। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও আরও অন্যান্য রাজ্যে এবং বিশেষ করে প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশেও বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার সঙ্গে এই রবীন্দ্রজয়ন্তী উৎসব পালন করা হয়। বাংলায় এই বিশেষ দিনটি রাষ্ট্রীয় ছুটির দিন হিসেবে পালিত হয়।
চলতি কথায় আছে, বাঙালির জীবনের সবকিছুর সঙ্গে কোনো না কোনোভাবে জড়িয়ে রয়েছেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। কারণ শৈশব থেকে মৃত্যু অবধি মানুষের জীবনের বিভিন্ন সময়ের জন্যই তাঁর কলম চলেছে। কবির গান-কবিতা, বাণী বিভিন্ন ভাষাভাষীর মানুষের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তির ক্ষেত্রে প্রভূত সাহস যুগিয়েছে। এ কারণে তাঁর রচিত “জনগণমন-অধিনায়ক জয় হে” ও “আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি” গান দুটি যথাক্রমে ভারত ও বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত। তিনিই প্রথম ভারতীয় যিনি গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের জন্য ১৯১৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান। রবীন্দ্রনাথ মনে করতেন, তরুণরাই একটি জাতির ভবিষ্যৎ। মনের অভিব্যক্তি আর নানা ভাবনা বিস্তৃত করে তাই কবি নতুনদের আহ্বান জানিয়েছেন তাঁর লেখায় শতবার। সবাইকে কাঁদিয়ে ১৯৪১ সালের ৭ই অগাস্ট (বাংলায় ১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২২শে শ্রাবণ) কবিগুরু শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেছিলেন।
অন্যদিকে আগামীকাল জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে রবীন্দ্রজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে বাংলায় আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ঠাকুরবাড়িতে কবিগুরুর ছবিতে মাল্যদান করবেন তিনি। তারপর সায়েন্স সিটির অডিটোরিয়ামে বিজেপি সাংস্কৃতিক সেলের ২৫শে বৈশাখ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সন্ধ্যায় ‘খোলা হাওয়া’ নামক একটি সংস্থার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে বক্তব্য রাখার কথা রয়েছে তাঁর। সুতরাং ২৫শে বৈশাখ উপলক্ষ্যে বাঙালির হৃদয়ে দাগ কাটতে এক ঝুড়ি কর্মসূচি নিয়ে ফের বাংলার মাটিতে পা রাখছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
সুতরাং বলা যায়, রবীন্দ্র জয়ন্তী উপলক্ষ্যে সারা বাংলা জুড়ে একাধিক অনুষ্ঠান এবং কর্মসূচি রয়েছে। কবিগুরুর জন্মদিনকে সারাজীবনের জন্য স্মরণে রাখতে বাঙালি সবরকম প্রচেষ্টাই চালিয়ে যান।
আমাদের তরফ থেকেও রবীন্দ্র জয়ন্তীর শুভেচ্ছা জানানো হল আপনাদের সকলকে।
এইরকম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।