Lakshmi Bhandar: বছর শেষে জারি নয়া নির্দেশিকা! লক্ষ্মীর ভান্ডার নিয়ে এল বিরাট বড় আপডেট
বাংলার মহিলাদের জন্য চালু করা হয়, এই প্রকল্পে মহিলারা প্রতি মাসের আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়। এবার এই লক্ষ্মীর ভান্ডার সহ একাধিক প্রকল্পে জারি নয়া নির্দেশিকা রাজ্য সরকারের তরফে।
Lakshmi Bhandar: প্রকাশ্যে এল নতুন ঘোষণা! একাধিক নির্দেশিকা জারি রাজ্য সরকারের তরফে
হাইলাইটস:
- জারি একাধিক প্রকল্পে নয়া নির্দেশিকা
- প্রকল্পের টাকা নয়ছয় হওয়ায় নড়েচড়ে বসল নবান্ন
- এবার থেকে মানতে হবে ১৬ দফা নির্দেশিকা
Lakshmi Bhandar: রাজ্যবাসীর কথা মাথায় রেখে জনকল্যাণমূলক একাধিক প্রকল্প চালু করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর প্রকল্পগুলির মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রকল্প হল লক্ষ্মীর ভান্ডার। যা এই বাংলার মহিলাদের জন্য চালু করা হয়, এই প্রকল্পে মহিলারা প্রতি মাসের আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়। এবার এই লক্ষ্মীর ভান্ডার সহ একাধিক প্রকল্পে জারি নয়া নির্দেশিকা রাজ্য সরকারের তরফে।
We’re now on WhatsApp- Click to join
একাধিক প্রকল্পে নয়া নির্দেশিকা জারি
সম্প্রতি, স্কুল পড়ুয়াদের ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পের টাকা নিয়ে নয়ছয় হওয়ার ঘটনাতে বেশ নড়েচড়ে বসেছে নবান্ন। এরই মাঝে এক নির্দেশিকা জারি করে অর্থ দফতর তরফ থেকে বলা হয়েছে, যেসব দফতর প্রকল্পের টাকা সরাসরি উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দিয়ে দেয় তাদের মানতে হবে এই ১৬ দফা নির্দেশিকা।
নির্দেশিকা অনুযায়ী, উপভোক্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর আগে ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট নম্বর এবং যাবতীয় তথ্য আগে যাচাই করতে হবে। উপভোক্তা কোন প্রকল্পের টাকা পাবেন, সে বিষয়ে খতিয়ে যাচাই করতে হবে। একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট একাধিক উপভোক্তার নামে যাতে না হয় সেদিকে নজর দিতে হবে। প্রকল্পের টাকা উপভোক্তার টাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠানোর আগে, তার ব্যাঙ্ক পাসবইয়ের প্রথম পাতার প্রতিলিপি বা ‘ক্যানসেল চেক’ নিতেই হবে।
We’re now on Telegram- Click to join
উপভোক্তার আইএফএসসি কোড রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তালিকা দেখে তা যাচাই করতে হবে। যেকোনও লেনদেন একবার ফেল হলে সেক্ষেত্রে সংশোধন নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
উপভোক্তার সমস্ত তথ্য যাচাই করবে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের অধীনস্থ এনপিসিআইএল। যদি যাচাই করার পর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সহ একাধিক তথ্য উপভোক্তার নামের সাথে মিলে যায় তবেই তাঁকে টাকা দেওয়া হবে। আর যদি না মেলে তবে সেদিকেও বিশেষ নজর দিতে হবে। একবার টাকা পাঠানোর পর ফোনেও এসএমএস পাঠাতে হবে উপভোক্তাকে। আবেদন মঞ্জুর অথবা বাতিল বা সংশোধনের ক্ষেত্রেও এসএমএস পাঠাতে হবে। অনলাইনে আবেদন জমা পড়লে অফলাইনে কোনো ফর্ম, কাগজ এসব গ্রহণ করা হবে না। অফলাইনে উপভোক্তা আবেদন করলে সেক্ষেত্রে সমস্ত তথ্য তুলতে হবে।
টাকা পাঠানোর পোর্টাল এবং বিভাগীয় পোর্টালের মধ্যে সমন্বয়ের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। ফাইল ট্রান্সফারের জন্য অ্যাপ্লিকেশন হতে হবে লেটেস্ট ভার্সান। টাকা পাঠানো হচ্ছে যে সব দফতর তরফে তাদের মাসিক বা ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে সমস্ত কিছু পর্যালোচনা করে স্টেটমেন্টও পাঠাতে হবে। বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা সরাসরি উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে যেসব দফতর দেয় তাদের এবার থেকে এই ১৬ দফা নির্দেশিকাটি মানতেই হবে।
এইরকম আরও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।