Nepal News: নেপালে অস্থিরতা, অশান্ত নেপালে এবার অন্তর্বর্তী সরকার! অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হতে চলেছেন সুশীলা কার্কি
১৯৭৯ সালে বিরাটনগরে সুশীলা কার্কির আইনজীবী হিসেবে যাত্রা শুরু হয়েছিল। ২০০৯ সালে ধাপে ধাপে সাফল্যের সিঁড়ি পেরিয়ে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হন তিনি। নেপালের প্রথম মহিলা হিসেবে ২০১৬ সালে প্রধান বিচারপতির গদিতে বসেন তিনি।
Nepal News: কে এই সুশীলা কার্কি? অবাক করবে তাঁর পরিচয়
হাইলাইটস:
- সোশ্যাল মিডিয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করার পর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে নেপাল
- নেপালের নৃশংসতার জেরে পদত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি
- বর্তমানে এই অশান্ত পরিবেশ স্থিতিশীল করতে এলেন অন্তর্বর্তী সরকার
Nepal News: নেপাল উত্তপ্ত হওয়ার পর নেপালের নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের এবার দায়িত্ব নিতে চলেছেন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি। দেশের ইতিহাসে এই প্রথম মহিলা প্রধান বিচারপতি এবার অশান্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে তরুণ প্রজন্মের সমর্থনে এলেন দেশের নেতৃত্বে। সাম্প্রতিক বিদ্রোহে কেপি শর্মা ওলি পদত্যাগ করার পর ভার্চুয়াল বৈঠকে অনুষ্ঠিত ভোটাভুটিতে ৩১ শতাংশ সমর্থন পান কার্কি। কাঠমান্ডুর মেয়র বালেন শাহর থেকে অল্প ব্যবধানে তিনি এগিয়ে যান, যিনি ২৭ শতাংশ ভোট পেয়েছেন।
We’re now on WhatsApp- Click to join
সুশীলা কার্কি কে?
১৯৭৯ সালে বিরাটনগরে সুশীলা কার্কির আইনজীবী হিসেবে যাত্রা শুরু হয়েছিল। ২০০৯ সালে ধাপে ধাপে সাফল্যের সিঁড়ি পেরিয়ে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হন তিনি। নেপালের প্রথম মহিলা হিসেবে ২০১৬ সালে প্রধান বিচারপতির গদিতে বসেন তিনি। সে সময়ে নেপালের ৩টি শীর্ষ পদ ছিল-রাষ্ট্রপতি, সংসদের স্পিকার এবং প্রধান বিচারপতি-মহিলাদের দখলেই ছিল। নিজের দৃঢ়তা, সততা ও নির্ভীক সিদ্ধান্তের জন্য সুশীলা কার্কি বিচারব্যবস্থায় বিশেষভাবে পরিচিতি পেয়েছিলেন। একজন শিক্ষিকা হিসেবে নিজের কর্মজীবন শুরু করলেও, বিচারব্যবস্থায় যোগ দেওয়ার পরই দ্রুত তিনি দেশের আইনি এবং সাংবিধানিক কাঠামোয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন।
We’re now on Telegram- Click to join
তিনি সংবিধান খসড়া কমিটির ২০০৬ সালে সদস্য ছিলেন। অ্যাড-হক সুপ্রিম কোর্টের ২০০৯ সালে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ হয় তাঁর। শীর্ষ পদ গ্রহণের আগে ২০১৬ সালে অল্প সময়ের জন্য তিনি ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির দায়িত্বও সামলান। সে সময়কার প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির নেতৃত্বাধীন, কনস্টিটিউশন কাউন্সিলের সুপারিশে বিচারপতি করা হয়েছিল সুশীলা কার্কির। তাঁকে নিয়োগ করেছিলেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বিদ্যাদেবী ভাণ্ডারী।
View this post on Instagram
সম্প্রতি, অনুষ্ঠিত এক ভার্চুয়াল বৈঠকে তিনি দেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব বেছে নিতে জড়ো হয়েছিলেন। জেন জি প্রজন্মের প্রতিনিধি ৫ হাজারেরও বেশি। সেখানেই নাম উঠে আসে সুশীলা কার্কির সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য প্রার্থী হিসেবে। সূত্রের খবর অনুসারে, তিনি শর্ত দিয়েছিলেন যে অন্তত কমপক্ষে এক হাজার সমর্থকের স্বাক্ষর পেলে তবেই তিনি প্রস্তাব গ্রহণ করবেন। তবে বাস্তবে তাঁর সমর্থনে স্বাক্ষর জমা পড়ে আড়াই হাজারেরও বেশি। সেই সমর্থন নিয়েই এবার তিনি ওই দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্ব গ্রহণ করতে চলেছেন।
এক সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, দায়িত্ব গ্রহণের পরই প্রথমেই সেনাপ্রধান জেনারেল রাজ সিগডেলের সাথে বৈঠক করবেন তিনি। এরপর, প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পৌডেলের অনুমোদন নেবেন তিনি। যদিও নেপালে এখনও জারি রয়েছে রাজনৈতিক অস্থিরতা, তবে কিছু বিশেষজ্ঞদের মতে, সুশীলা কার্কির সততা ও নির্ভীক মনোভাব অন্তর্বর্তী সময়ে দেশকে স্থিতিশীল করতে বড়সড় ভূমিকা রাখতে পারে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, দক্ষিণ এশিয়ায় সম্প্রতি ছাত্র-যুব আন্দোলনের ফলে তৈরি হয়েছে ক্ষমতার পরিবর্তনের নজির। শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর নোবেল বিজয়ী মহম্মদ ইউনূস নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্বভার নিয়েছে বাংলাদেশে। তারই পুনরাবৃত্তি ঘটল নেপালে, যেখানে তরুণ প্রজন্মের পছন্দেই শীর্ষ নেতৃত্বে উঠে এসেছেন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি।
এইরকম আরও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।