Air Pollution: বায়ুদূষণে জেরবার! বিষাক্ত বায়ুর মোকাবিলায় এবার ভারতকে সাহায্যর হাত বাড়াল চিন
এই আবহে, গতকাল ভারতের সাথে বায়ু দূষণের বিরুদ্ধে যৌথ লড়াইয়ের কথা বলেছে চিন এবং ক্রমবর্ধমান পরিবেশগত উদ্বেগ মোকাবিলায় একটি সিরিজও চালু করেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
Air Pollution: সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে বিশদ জানালেন ভারতে অবস্থিত চিনা দূতাবাসের মুখপাত্র
হাইলাইটস:
- ভারতে ইতিমধ্যেই দেখা গিয়েছে দূষণ সংকট
- ভারতের বায়ুর দূষণে এবার এগিয়ে এল চিন
- বিষাক্ত বায়ুর মোকাবিলায় ভারতের পাশে চিন
Air Pollution: সম্প্রতি, দূষণ ও বিষাক্ত বায়ুর কারণে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে ভারত, এবার ভারতকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল প্রতিবেশী দেশ চিন। এই প্রসঙ্গে ইতিমধ্যেই চিন জানিয়েছে যে, আগামী দিনে তারা ভারতের সঙ্গে এক্ষেত্রে ব্যবস্থা ও সুপারিশের একটি তালিকা ভাগ করে নেবে। একসময় চিনের জন্যও এই সমস্যাগুলি অস্বস্তির কারণ ছিল। উল্লেখ্য, ক্রমবর্ধমান ঠান্ডা আর তাপমাত্রা হ্রাস দূষণের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে উত্তর ভারতে। অনেক এলাকায় উল্লেখযোগ্যভাবে দৃশ্যমানতা হ্রাস পেয়েছে, এর ফলে ঘটেছে একাধিক সড়ক দুর্ঘটনা।
We’re now on WhatsApp- Click to join
ভারতকে সাহায্য চিনের
এই আবহে, গতকাল ভারতের সাথে বায়ু দূষণের বিরুদ্ধে যৌথ লড়াইয়ের কথা বলেছে চিন এবং ক্রমবর্ধমান পরিবেশগত উদ্বেগ মোকাবিলায় একটি সিরিজও চালু করেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভারতে অবস্থিত চিনা দূতাবাসের মুখপাত্র ইউ জিংও চিন এবং ভারতের বায়ুর মানের তুলনা করে এদিন কিছু ছবিও শেয়ার করেছেন।
We’re now on Telegram- Click to join
এক্স-এর একটি পোস্টে, তিনি জানিয়েছেন যে, দ্রুত নগরায়ণের আবহে বায়ু দূষণের সঙ্গে উভয় দেশই লড়াই করছে এবং এটি একটি জটিল চ্যালেঞ্জ। তবে, গত দশকে চিনের অবিরাম প্রচেষ্টার ফলে উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নতি হয়েছে বলেও তিনি জানান।
Both China and India know the struggle with air pollution amid rapid urbanization 🌫️📊.
🌫️➡️🌤️ While the challenge remains complex, China’s sustained efforts over the past decade have delivered noticeable improvements.
📌 In the coming days, we’ll share a bite-sized series… pic.twitter.com/0ZG4Rl8ISD
— Yu Jing (@ChinaSpox_India) December 15, 2025
তিনি আরও বলেন, আগামী দিনে ভারতের সাথে চিন এই ব্যবস্থাগুলিকে ভাগ করে নেবে। তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমরা আগামী দিনগুলিতে একটি ছোট সিরিজও শেয়ার করব। যেটি ব্যাখ্যা করবে যে কিভাবে বায়ু দূষণ মোকাবিলা করেছে চিন।’ তিনি ছবির মাধ্যমে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেছেন যে, চিনে উন্নত হয়েছে বায়ুর মানের স্তর এবং বেইজিংয়ের AQI (Air Quality Index) বর্তমানে ৬৮। এদিকে, দিল্লির AQI দেখানো হয়েছে প্রায় ৪৪৭।
Read More- বায়ু দূষণে এবার দিল্লিকে ছাপিয়ে গেল কলকাতা! উদ্বেগ বাড়াচ্ছে কলকাতার ‘ফুসফুস’
গতকাল অর্থাৎ সোমবারের শুরুতে, জাতীয় রাজধানীতে বায়ু মানের সূচক পৌঁছেছিল (AQI) ৪৯৮-এ, যা পড়ে ‘গুরুতর’ বিভাগে। দিল্লির ৩৮টি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে বাতাসের মান রেকর্ড করা হয়েছে “গুরুতর” বিভাগে। যেখানে ২টিতে এটি রয়েছে “খুব খারাপ” বিভাগে। জাহাঙ্গীরপুরীর AQI রেকর্ড করা হয়েছে ৪৯৮। যা ৪০টি স্টেশনের মধ্যে হচ্ছে ‘সবচেয়ে খারাপ’। জেনে রাখুন যে, কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের (CPCB) মান অনুসারে, AQI ০ থেকে ৫০ এর মধ্যে হচ্ছে ‘ভালো’, ৫১ থেকে ১০০ হচ্ছে ‘সন্তোষজনক’, ১০১ থেকে ২০০ হল ‘মাঝারি’, ২০১ থেকে ৩০০ হচ্ছে ‘খারাপ’, ৩০১ থেকে ৪০০ হল ‘খুব খারাপ’ এবং ৪০১ থেকে ৫০০ হলে ‘গুরুতর’ বলে বিবেচিত হয়।
এইরকম আরও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।







