Myanmar Earthquake Updates: মায়ানমারের ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে এখন ৬৯৪, আহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬৭০-এ! ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ শুনলে অবাক হবেন
জানা গিয়েছে, প্রাণহানির পাশাপাশি ভূমিকম্পে বহু ভবন, সেতু এবং একটি মঠও ধ্বংস হয়েছে। অনুভূত হয় একাধিক আফটারশক, যার মধ্যে একটির মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৬.৪। মায়ানমার সরকার জানিয়েছেন, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলিতে তীব্র রক্তের চাহিদা।

Myanmar Earthquake Updates: হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন… লাগবে প্রচুর রক্ত! কী কি সাহায্য পাঠাল ভারত?
হাইলাইটস:
- শুক্রবার ভোরে মায়ানমার এবং থাইল্যান্ডে অনুভূত হয় ভয়ঙ্কর ভূমিকম্প
- মায়ানমারে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করার সিদ্ধান্ত ভারতের
- কি কি ত্রাণ সামগ্রী পাঠানো হয়েছে, দেখুন
Myanmar Earthquake Updates: শুক্রবার, ভোরে মায়ানমার এবং থাইল্যান্ডে আঘাত হানে ভয়ঙ্কর ভূমিকম্প। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ৭.৭ ছিল। মায়ানমারের মান্দালয় শহরের কাছে ছিল ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল, যেখানে প্রায় ১৫ লক্ষের বেশি মানুষের বসবাস। শক্তিশালী এই ভূমিকম্পে কেবল মায়ানমারই নয়, থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাঙ্কক সহ আরও বিভিন্ন এলাকা কেঁপে ওঠে। এছাড়া, কম্পন অনুভূত হয়েছে বাংলাদেশ সহ, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং চিনেও।
We’re now on WhatsApp- Click to join
জানা গিয়েছে, প্রাণহানির পাশাপাশি ভূমিকম্পে বহু ভবন, সেতু এবং একটি মঠও ধ্বংস হয়েছে। অনুভূত হয় একাধিক আফটারশক, যার মধ্যে একটির মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৬.৪। মায়ানমার সরকার জানিয়েছেন, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলিতে তীব্র রক্তের চাহিদা। আন্তর্জাতিক সহায়তার আবেদন করেছে জান্তা সরকার। জাতিসংঘ ত্রাণ কার্যক্রম শুরু করতে ইতিমধ্যেই ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারও বরাদ্দ করেছে। বিশ্বজুড়ে মায়ানমারের সামরিক সরকার সাহায্যের জন্য আবেদন জানিয়েছে। এর পরই ত্রাণ সামগ্রী পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় ভারতও।
We’re now on Telegram- Click to join
মায়ানমারে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করার জন্য ‘অপারেশন ব্রহ্ম’ চালু করেছে ভারত। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রক (MEA) জানিয়েছেন, আজ ত্রাণ সামগ্রী বহনকারী ভারতীয় বিমান বাহিনীর (IAF) বিমান পৌঁছেছে মায়ানমারে।
সূত্রে অনুসারে, শনিবার সকালে মায়ানমারের কর্তৃপক্ষ তরফে নিশ্চিত করেছে যে, ইতিমধ্যেই ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৯৪-এ, এবং আহতের সংখ্যা ১,৬৭০ দাঁড়িয়েছে।
মায়ানমারকে ভূমিকম্পের পর মানবিক সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে চিন।
চিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, “ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলিকে আমরা জরুরি মানবিক সহায়তা এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে ইতিমধ্যেই প্রস্তুত।”
মায়ানমার এবং থাইল্যান্ডে ভূমিকম্পের ভয়াবহতা
মৃত্যু এবং আহতের সংখ্যা
মায়ানমারে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১৫৪ জন এবং আহত ৭৩২ জন।
উদ্ধার অভিযান
রাজধানী নেইপিদো-সহ উদ্ধারকাজ চলছে বিভিন্ন শহরে, ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়াদের ইতিমধ্যেই বের করে আনছেন উদ্ধারকারীরা।
থাইল্যান্ডের পরিস্থিতি
ব্যাংককে একটি নির্মীয়মাণ ভবন ধসে ৮ জনের মৃত্যু, ১১৭ জন শ্রমিক ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে। দেশটির মোট তিনটি নির্মাণস্থলে প্রাণহানি হয়েছে, উদ্ধারকাজ চলছে।
আতঙ্ক ও ক্ষয়ক্ষতি:
– ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের আশেপাশে প্রায় ৮ লাখ মানুষ এই কম্পনের শিকার হয়েছেন।
– মায়ানমারের পাঁচটি শহরে ধসে পড়েছে ভবন।
– ইয়াঙ্গুন-মান্দালয় এক্সপ্রেসওয়ের একটি রেল সেতু এবং একটি সড়ক সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
– ৯০ বছরের পুরনো ঐতিহাসিক আভা ইরাবতী নদীতে ভেঙে পড়েছে সেতু।
– ধসে গেছে ঐতিহাসিক মান্দালয় প্রাসাদের একাংশ।
– মায়ানমারের ছয়টি এলাকায় ঘোষণা করা হয়েছে জরুরি অবস্থা, যার মধ্যে রয়েছে সাগাইং, মান্দালয় এবং নেইপিদো।
– সাহায্য পৌঁছতে সমস্যা হচ্ছে দুর্গম অঞ্চলে, কারণ বেশ কিছু সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
– ব্যাঙ্ককে আতঙ্কে রাস্তায় বেরিয়ে আসে মানুষ। অনেক হোটেলের অতিথিরা তোয়ালে এবং সাঁতারের পোশাক পরেই বাইরে বেরিয়ে আসেন।
– একটি বিলাসবহুল হোটেলের সুইমিং পুল থেকে আছড়ে পড়ছে জল তার ভিডিওটিও ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে।
– শুক্রবার থাইল্যান্ড স্টক এক্সচেঞ্জ দুপুরে লেনদেন বন্ধ রাখে, মেট্রো পরিষেবাও ব্যাহত হয়।
– বাংলাদেশ এবং চিনের কিছু অঞ্চলেও অনুভূত হয়েছে কম্পন, তবে সেখানে প্রাণহানি এবং সম্পদের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
– কলকাতা, ইম্ফল এবং মেঘালয়ের পূর্ব গারো পাহাড়েও অনুভূত হয় মৃদু কম্পন, তবে কোনও ক্ষতি হয়নি বলেই খবর।
Read More- মায়ানমারে দুটি শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়েছে, ব্যাংককে তীব্র কম্পন অনুভূত হয়েছে বলে জানা গেছে
মায়ানমারের সামরিক শাসক মিন অং হ্লাইং আন্তর্জাতিক সাহায্যের জন্য আবেদন জানান। ভারত অবিলম্বে সিদ্ধান্ত নেয় সাহায্য পাঠানোর। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (MEA) সূত্র অনুসারে, ভারত প্রায় ত্রাণ সামগ্রী পাঠিয়েছে ১৫ টন। ভারতীয় বায়ুসেনার (IAF) C-১৩০J বিমান হিন্দন এয়ারবেস থেকে রওনা দিয়েছে ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে।
এই ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে:
– তাঁবু, কম্বল, স্লিপিং ব্যাগ,
– জল পরিশোধন সরঞ্জাম
– রেডি-টু-ইট খাবার
– স্বাস্থ্যবিধি কিট
– জেনারেটর, সৌর বাতি
– জরুরি ওষুধ (প্যারাসিটামল, সিরিঞ্জ, ক্যানুলা, গ্লাভস, অ্যান্টিবায়োটিক, তুলো ইউরিন ব্যাগ, ব্যান্ডেজ ইত্যাদি)।
Concerned by the situation in the wake of the Earthquake in Myanmar and Thailand. Praying for the safety and wellbeing of everyone. India stands ready to offer all possible assistance. In this regard, asked our authorities to be on standby. Also asked the MEA to remain in touch…
— Narendra Modi (@narendramodi) March 28, 2025
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, “আমি উদ্বিগ্ন মায়ানমার এবং থাইল্যান্ডে ভূমিকম্প পরিস্থিতি নিয়ে। সকলের নিরাপত্তা এবং সুস্থতা কামনা করি। ভারত সবধরনের সাহায্য করার জন্য প্রস্তুত। আমি দুই দেশের সরকারের সাথে যোগাযোগ রাখতে বলেছি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে।”
এইরকম আরও ভূমিকম্প সম্পর্কিত প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।