Mamata in Cuttack: “আসল সত্য যেন ধামা চাপা না পড়ে” কটক হাসপাতালে বিস্ফোরক মুখ্যমন্ত্রী
গত সোমবারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করছিলেন তিনি কটক যাবেন এবং করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় আহতদের সাথে দেখা করবেন।
Mamata in Cuttack: করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় আহতদের দেখতে গতকাল ফের ওড়িশা যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
হাইলাইটস:
• গতকাল কটক হাসপাতালে আহতদের দেখতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী
• কথা বলেন হাসপাতালের চিকিৎসকদের সাথে
• সেখান থেকেই বিস্ফোরণ মুখ্যমন্ত্রী
Mamata in Cuttack: গত সোমবারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করছিলেন তিনি কটক যাবেন এবং করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় আহতদের সাথে দেখা করবেন। মঙ্গলবার বেলা ১২টার সময় সেই মতো কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বিশেষ বিমানে তিনি পৌঁছোন ভুবনেশ্বর এয়ারপোর্টে। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে পাড়ি দেন কটক মেডিকেল কলেজের উদ্দেশ্যে। হেলিপ্যাডে নেমে সড়ক পথে মেডিকেল কলেজে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তিনি চিকিৎসকের সাথে আহতদের শারীরিক অবস্থা নিয়ে কথা বলেন। করমন্ডল দুর্ঘটনায় আহতের পাশে থাকার বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী।
কটকের এসসিবি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে সার্জারি, নিউরোসার্জারি ও অর্থোপেডিক বিভাগে এই মুহূর্তে বাংলার ৫৭ জন ভর্তি আছেন। এদের মধ্যে ৩০ জন অবস্থা আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। আইসিইউতে রয়েছেন বাংলার ৮ জন। মুখ্যমন্ত্রী ওই চিকিত্সাধীন ব্যক্তিদের খোঁজ নেওয়ার পাশাপাশি তাঁদের বাড়ির লোকজনের সাথেও কথা বলেছেন। হাসপাতালে আহতদের চিকিৎসা সম্পর্কে চিকিৎসকদের থেকে খোঁজ নেন। মুখ্যমন্ত্রীর বলেন, দুর্ঘটনার পর ওড়িশা সরকার যেভাবে কাজ করেছে তার জন্য আমি ওড়িশা সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। ওড়িশা সরকারকে একশো অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে সাহায্য করা হয়েছে। ডাক্তার, নার্সও পাঠানো হয়েছে চিকিৎসায় সহযোগিতার জন্য।
এখনও পর্যন্ত বাংলার ৫৭ জন মারা গিয়েছেন এবং ৯১ জন চিকিৎসাধীন। ৩১ জনের এখনও কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। আহতদের কারও হাত, কারও পা কেটে গেছে। তাদের পরিবারের লোকজনকে চাকরি দেওয়া হবে। যারা মারা গিয়েছেন তাদের ৫ লাখ টাকা আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, “যাঁরা ওড়িশায় চিকিৎসাধীন আছেন, তারা যদি চান রাজ্যে ফিরতে, আমরা ফেরত নিয়ে যাব।” মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, “সত্য যেন চাপা দেওয়া না হয়। আসল তথ্য বেরিয়ে আসুক।”
দুর্ঘটনায় রেল সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। এনিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাফ কথা, সত্যিটা যেন বেরিয়ে আসে। তা যেন ধামাচাপা দিয়ে না দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, করমণ্ডল এক্সপ্রেস কাণ্ডে সিকিউরিটি বোর্ডের তদন্ত শেষের আগেই তার তদন্তভার নিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। রেল সুরক্ষা কমিশনও তদন্ত চালাচ্ছে। গতকালই সিবিআইয়ের ১০ জনের একটি স্পেশাল টিম পৌঁছে যায় দুর্ঘটনাস্থলে এবং পুরো এলাকাটি খতিয়ে দেখেন। তাঁরা দুর্ঘটনা সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করেন। মঙ্গলবার সকাল ১০ টা ৫০ মিনিট নাগাদ সিবিআইয়ের আধিকারিক -সহ ১০ জনের একটি দল ঘটনাস্থলে আসেন। যে ১৭এ পয়েন্টে দুর্ঘটনা ঘটেছিল সেই স্থানে রেলের আধিকারিকদের সঙ্গে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে সিবিআই৷ অবশেষে দুর্ঘটনাগ্রস্ত রেলের কামড়াগুলি দেখতে দেখতে স্টেশনের দিকে আসেন৷
এইরকম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।