Mamata Banerjee on Amartya Sen: ‘অমর্ত্য সেনের বাড়ি বুলডোজার চালাতে এলে সবার প্রথমে আমি গিয়ে বসবো’ বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে সরাসরি হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রী
Mamata Banerjee on Amartya Sen: সাংবাদিক সম্মেলনে এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
হাইলাইটস:
•ফের অমর্ত্য সেনের পাশে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
•অমর্ত্যবাবুর পাশে দাঁড়াতে গিয়ে বুলডোজার প্রসঙ্গ টেনে আনেন
•অমর্ত্য সেনের বাড়ি বুলডোজার চালাতে এলে সবার প্রথমে তিনি গিয়ে ববে থাকবেন এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
Mamata Banerjee on Amartya Sen: নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের (Amartya Sen) সঙ্গে বিশ্বভারতীর (Visva Bharati) শান্তিনিকেতনে জমি সংক্রান্ত বিবাদ দীর্ঘদিনের। এবার এক ধাপ এগিয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ১৫ দিনের মধ্যে প্রতীচী ছাড়ার নোটিশ দিয়েছে অমর্ত্য সেনকে। নাহলে বলপ্রয়োগেরও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। বিশ্বভারতীর এ হেন আচরণে নিন্দায় সরব হয়েছেন বঙ্গবাসী। গতকাল সাংবাদিক সম্মেলনে সেই জমি বিতর্কেই আরও একবার মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee on Amartya Sen)।
মুখ্যমন্ত্রী প্রথম থেকেই অমর্ত্য সেনের এসে পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। গত ৩০শে জানুয়ারি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বীরভূম জেলা সফরে গিয়ে শান্তিনিকেতনের প্রতীচীতে গিয়ে অমর্ত্যবাবুর সঙ্গে দেখা করেছিলেন। এরপর রাজ্য ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের নথি তিনি তুলে দেন তাঁর হাতে। এমনকি অমর্ত্যবাবুকে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়ে এসেছিলেন তিনি। অমর্ত্যবাবুর জন্য বিশেষ নিরাপত্তারও ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু বিশ্বভারতী অবশ্য তাদের অবস্থানে অনড়। এবার আরও একবার অমর্ত্যবাবুর পাশে এসে দাঁড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী। অমর্ত্যবাবুকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ হেনস্থা করে বলে অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী। এ দিন সাংবাদিক সম্মেলন থেকে তিনি চরম হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, অমর্ত্য সেনের বিরুদ্ধে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের অভিযোগ ছিল, অমর্ত্যবাবু তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩ ডেসিমেল জমি বেআইনিভাবে দখল করে রেখেছেন। অবিলম্বে সেই ১৩ ডেসিম্যাল জমি তিনি যেন বিশ্বভারতীকে ফিরিয়ে দেন। এ নিয়ে দু পক্ষে দীর্ঘদিন ধরেই একটি ঠান্ডা লড়াই চলছে৷ একটা সময় অমর্ত্য সেনের নোবেলপ্রাপ্তি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। সে নিয়েও রাজ্য-রাজনীতি তোলপাড় হয়েছিল। অমর্ত্য সেনের সাথে বিশ্বভারতীর জমি সংক্রান্ত বিবাদ একের পর এক মোড় নিয়েছে। প্রসঙ্গত, এই বিশ্বভারতীর সঙ্গে অমর্ত্য সেনের জমি সংক্রান্ত বিবাদের মধ্যেই বিশ্বভারতীর আচার্য তথা দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে একটি খোলা চিঠি দিয়েছেন শতাধিক বিশিষ্টজন। সেখানে আর্জি জানানো হয়েছে, তিনি যেন বিশ্বভারতী প্রসঙ্গে নীরবতা ভাঙেন।
গতকাল নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কালিয়াগঞ্জে থানায় হামলার ঘটনার প্রসঙ্গে তুলে ধরেন অমর্ত্য সেনের সাথে বিশ্বভারতীর জমি বিতর্কের কথা। তিনি সরাসরি হুঁশিয়ারি দেন, ‘আমি ওদের ঔদ্ধত্য দেখছি। ওরা নাকি অমর্ত্য সেনের বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেবে। ওরা যদি অমর্ত্য সেনের বাড়ি ভাঙতে আসে, আমি গিয়ে সেখানে বসে থাকব। আমিও দেখব ওরা কীভাবে অমর্ত্য সেনের বাড়ি ভাঙতে পারে। আমি দেখতে চাই, কার শক্তি বেশি, মানুষের নাকি বুলডোজারের।’ তিনি আরও বলেন, ‘এটা উত্তরপ্রদেশ, গুজরাত নয়৷ এটা বাংলা৷ সংস্কৃতির পীঠস্থান৷’
প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথ সরকারের নামের সঙ্গে এখন বুলডোজার শব্দটি প্রতিনিয়ত ব্যবহৃত হচ্ছে৷ এমনকি অনেকে তো যোগী প্রশাসনকে তাদের অপরাধীদের বিরুদ্ধে বুলডোজার নীতির জন্য ‘বুলডোজার রাজ’ বলে উল্লেখ করেন। একাধিক ক্ষেত্রে সমাজবিরোধীদের সম্পত্তি, বেআইনি নির্মাণ ভাঙার নামে বুলডোজারের ব্যবহার করছে উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকার৷ যা নিয়ে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলতেও ছাড়েনি। এ দিন অমর্ত্য সেনের সাথে বিশ্বভারতীর জমি বিতর্কে সেই বুলডোজারের প্রসঙ্গ টেনে এনেই সরাসরি হুঁশিয়ারি দিলেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে।
এইরকম রাজনৈতিক সম্পর্কিত প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।