Mamata Banerjee: পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে নবান্নে উন্নয়ন পর্যালোচনা বৈঠকের নেতৃত্বে মুখ্যমন্ত্রী, উদ্বোধনে করবেন ১০৯টি প্রকল্পের
Mamata Banerjee: গ্রাম বাংলার পরিস্থিতি কোন পর্যায়ে জানতে, আজকের এই বৈঠক
হাইলাইটস:
•আজ নবান্নে উন্নয়ন পর্যালোচনা বৈঠক
•বৈঠকের নেতৃত্ব দেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
•এর সাথেই উদ্বোধন করবেন ১০৯টি প্রকল্পের
কলকাতা: পঞ্চায়েত নির্বাচনকে পাখির চোখ করে দেখছে সব রাজনৈতিক দলগুলি। ফলে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আজ, বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নেতৃত্বে নবান্নে উন্নয়ন পর্যালোচনা বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। বৈঠকটি শুরু হবে দুপুর ১টা নাগাদ। গ্রাম বাংলার পরিস্থিতি কোন পর্যায়ে রয়েছে, তা পর্যালোচনা করার জন্যই আজকের এই বৈঠক। সে জন্য আজ নবান্ন সভাঘরে রাজ্যের সব মন্ত্রী এবং দফতরের আমলাদের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এই বৈঠকে জেলা আধিকারিকরাও যোগ দেবেন ভার্চুয়াল মাধ্যমে। নবান্ন সূত্রে খবর, বৈঠক থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের জন্য মোট ১০৯টি প্রকল্পের ভার্চুয়াল উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী।
সূত্রের খবর, এই ১০৯টি প্রকল্পের মধ্যে এমন অনেক বিষয় রয়েছে, যা মানুষের বহু দিনের দাবি ছিল। মূলত সেই দাবিগুলিই মুখ্যমন্ত্রী পূরণ করবেন আজকের বৈঠক থেকে। আজ নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী যে প্রকল্পগুলি উদ্বোধন করবেন তার মধ্যে রয়েছে ৫টি গুরুত্বপূর্ণ সেতু। সেগুলি তৈরি হয়েছে সম্পূর্ণরূপে রাজ্যের খরচে। এর মধ্যে তিনটি উল্লেখ্যযোগ্য সেতু হল – বাঁকুড়ার সেতুঘাটের নতুন সেতু নির্মাণে খরচ হয়েছে ১৭ কোটি টাকা। চন্দ্রকোনা-ঘাটালের মানুষের দীর্ঘ দিনের দাবি মেনে ১৪ কোটি টাকায় নির্মিত হয়েছে কেটিয়া সেতু। আবার, ঝাড়গ্রাম জেলার দেব নদীর ওপর সেতু তৈরিতে খরচ হয়েছে ১৪ কোটি টাকা।
আবার পথশ্রী ও রাস্তাশ্রী প্রকল্পেরও বেশ কিছু গ্রামীণ রাস্তার উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। গত ২৮শে মার্চ সিঙ্গুর থেকে যার শিলান্যাস করেছিলেন তিনি। ইতিমধ্যে প্রায় ৩০ শতাংশ গ্রামীণ রাস্তাও তৈরি করে ফেলেছে পূর্তদফতর। নবান্ন সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রীর হাতে উদ্বোধন হওয়া প্রকল্পগুলির জন্য রাজ্য সরকার আনুমানিক ১১০০ কোটি টাকা খরচ করেছে। মূলত রাজ্যের গ্রামীণ এলাকার পরিকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য চেষ্টা করছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে গ্রাম বাংলার উন্নয়নমূলক প্রকল্পের পরিস্থিতি কোন পর্যায়ে দাঁড়িয়ে, সেগুলি মেরামত করতেই মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে আজকের এই পর্যালোচনা বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে চলেছে নবান্নে।
শুধু তাই নয়, এপ্রিল মাসে যাদের লক্ষ্ণীর ভান্ডারের আবেদন গৃহীত হয়েছে, তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রথম কিস্তির টাকা পাঠানোর সূচনাও আজ বৈঠক থেকেই করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। শুধুমাত্র এপ্রিল মাসে দুয়ারে সরকার শিবির মারফত প্রায় সাড়ে ১০ লক্ষ লক্ষ্ণীর ভান্ডারের আবেদন গৃহীত হয়েছে। আজকের এই বৈঠকে যোগ দেওয়ার নির্দেশ পাঠানোর পাশাপাশি সব দফতরকে তাদের কাজের পর্যালোচনার রিপোর্ট গত ১৯শে এপ্রিলের মাধ্যমে জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের তরফে। মন্ত্রী-আমলারা মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পালন করেছিলেন। সেই রিপোর্টই আজ খতিয়ে দেখবেন মুখ্যমন্ত্রী।
অন্যদিকে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে বিভিন্ন দপ্তরের জন্য কী পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছিল এবং সেই অর্থের কতটা উন্নয়ন কাজে এখনও অবধি ব্যবহার করা হয়েছে, সবিস্তারে সেই রিপোর্ট চাওয়া হয়েছিল। এর পাশাপাশি কোন কোন প্রকল্পে অর্থ খরচ হয়েছে, সেই রিপোর্টও চাওয়া হয়। যে প্রকল্পগুলি ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছে, তার ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেটও জমা দিতে বলা হয়েছিল। এছাড়াও যদি কোনও প্রকল্প শুরু হয়েও শেষ শেষ না হয়ে থাকে, তাহলে তা শেষ না হওয়ার বিস্তারিত কারণও জানতে চাওয়া হয়েছিল। সেই সমস্ত রিপোর্ট দেখেই মুখ্যমন্ত্রী পরবর্তী নির্দেশ দেবেন রাজ্যের নেতা-আমলাদের।
সরকারি সূত্রে খবর, নানা ক্ষেত্রে প্রকল্পগুলির অগ্রগতি হলেও, কোনও কোনও ক্ষেত্রে কাজের গতি ততটাও সন্তোষজনক নয়। এর সঙ্গে কোনও কোনও জেলায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে তৈরি হওয়া পরিস্থিতির খুঁটিনাটি পর্যালোচনাও হবে এই বৈঠকে। আজকের উন্নয়ন পর্যালোচনা বৈঠকে ঘিরে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন দফতরে বেড়েছে তৎপরতা। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রী নেতৃত্বে এই বৈঠক প্রশাসনিক দিক থেকে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
এইরকম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।