Bangla News

India-Pakistan Tension: যুদ্ধের সময় সাইরেন কেন বাজে? মোবাইলেও কি সতর্কতা পাঠানো হবে? গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো জেনে রাখুন

অনেক শহর এবং রাজ্যে, এখন মক ড্রিলের মাধ্যমে মানুষকে এই সাইরেনটি সনাক্ত করতে শেখানো হচ্ছে। যাতে দেশে যখন যুদ্ধের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়, তখন যেন মানুষ জানে কী করতে হবে।

India-Pakistan Tension: ‘যুদ্ধের সাইরেন’ কী? কখন এই সাইরেন বাজানো হয়? গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি জানুন

 

হাইলাইটস:

  • ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে, সরকার যুদ্ধের মতো পরিস্থিতি মোকাবেলার প্রস্তুতি নিচ্ছে
  • যেখানে ভবিষ্যতে যুদ্ধের সাইরেন এবং মোবাইল এলার্টের মতো ব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ
  • ‘যুদ্ধের সাইরেন’ হল একটি বিশেষ সাইরেন যা যুদ্ধের সতর্কীকরণ করে

India-Pakistan Tension: ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের পরিস্থিতি আবার উত্তপ্ত হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে, সরকার এবং নিরাপত্তা সংস্থাগুলি প্রতিটি পরিস্থিতি মোকাবেলায় সম্পূর্ণ প্রস্তুত। এই প্রস্তুতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল ‘যুদ্ধের সাইরেন’, অর্থাৎ, একটি বিশেষ সাইরেন যা যুদ্ধের সতর্কীকরণ করে।

We’re now on WhatsApp – Click to join

অনেক শহর এবং রাজ্যে, এখন মক ড্রিলের মাধ্যমে মানুষকে এই সাইরেনটি সনাক্ত করতে শেখানো হচ্ছে। যাতে দেশে যখন যুদ্ধের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়, তখন যেন মানুষ জানে কী করতে হবে। তবে, সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হল, এই সাইরেনটি দেখতে কেমন এবং আমরা কি মোবাইল ফোনেও যুদ্ধের সতর্কতা পাব?

যুদ্ধের সাইরেন কেমনভাবে বাজে?

যুদ্ধের সাইরেন কোনও সাধারণ সাইরেন নয়। এটি একটি খুব জোরে এবং সুদূরপ্রসারী অ্যালার্ম সিস্টেম। এর শব্দ প্রায় ১২০ থেকে ১৪০ ডেসিবেল, অর্থাৎ এত জোরে যে ২ থেকে ৫ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত শোনা যায়।

এর শব্দ অ্যাম্বুলেন্সের মতো নয়, ফায়ার ব্রিগেডের মতোও নয়। এটি একটি বিশেষ ধরণের ক্রমাগত জোরে শব্দ, যা তাৎক্ষণিকভাবে মানুষকে সতর্ক করে দেয়।

যুদ্ধের সাইরেন কেন বাজানো হয়?

কোনও দেশে যুদ্ধের মতো পরিস্থিতি তৈরি হলে অথবা শত্রু দেশ থেকে ‘বিমান হামলার হুমকি’ এলে এই সাইরেন বাজানো হয়। এর উদ্দেশ্য হল মানুষকে সময়মতো নিরাপদ স্থানে পৌঁছানোর জন্য সতর্ক করা।

এছাড়াও, নাগরিক প্রতিরক্ষা, ব্ল্যাকআউট মহড়া এবং নিয়ন্ত্রণ কক্ষের প্রতিক্রিয়া পরীক্ষা করার জন্যও এই সাইরেন বাজানো হয়।

মোবাইলেও কি সতর্কতা আসবে?

এখন প্রশ্ন উঠছে, এই সতর্কতা কি কেবল সাইরেনের মাধ্যমেই দেওয়া হবে, নাকি যুদ্ধের সতর্কতা মানুষের মোবাইল ফোনেও পাঠানো হবে?

We’re now on Telegram – Click to join

সরকারি সূত্রের খবর, ভবিষ্যতে মোবাইল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে যুদ্ধের সতর্কতা পাঠানোর পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। আমরা যেমন এসএমএস বা অ্যাপের মাধ্যমে ভূমিকম্প, বন্যা বা আবহাওয়ার সতর্কতা পাই, তেমনি যুদ্ধের সতর্কতাও পাঠানো যেতে পারে। যদিও এই সুবিধাটি এখনও প্রতিটি রাজ্যে সম্পূর্ণরূপে শুরু হয়নি, তবে পরীক্ষা অবশ্যই চলছে।

যুদ্ধের সাইরেন বাজলে কী করবেন?

যদি কখনও যুদ্ধের সাইরেন বেজে ওঠে, আতঙ্কিত হবেন না, তবে এই বিষয়গুলি মনে রাখবেন:

• অবিলম্বে খোলা জায়গা থেকে দূরে সরে যান এবং নিরাপদ স্থানে চলে যান।

• ৫ থেকে ১০ মিনিটের মধ্যে নিরাপদ স্থানে পৌঁছানোর চেষ্টা করুন।

• রেডিও, টিভি বা মোবাইলে সরকারি সতর্কতাগুলি মনোযোগ সহকারে শুনুন।

• গুজব ছড়াবেন না এবং অন্যদেরও সতর্ক করুন।

প্রস্তুতি কোথায় হচ্ছে?

মুম্বাইয়ের দাদর, গুজরাটের শ্রীনগরের ডাল লেক এবং আরও অনেক শহরে মক ড্রিল পরিচালিত হচ্ছে। এগুলির উদ্দেশ্য হলো মানুষ যেন সময়মতো বুঝতে পারে যে এমন সময় আসলে কী করতে হবে এবং কীভাবে তাদের জীবন বাঁচাতে হবে।

Read more:- রাফাল, নাগাস্ত্র, স্ক্যাল্প এবং ব্রহ্মোস, ভারতের এই অস্ত্রগুলির সাহায্যে অপারেশন সিঁদুর সম্পন্ন হয়!

সচেতনতা কেন গুরুত্বপূর্ণ?

আজকাল যুদ্ধ কেবল যুদ্ধক্ষেত্রেই নয়, আকাশে এবং প্রযুক্তির মাধ্যমেও সংঘটিত হয়, তাই মানুষের সতর্ক থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যুদ্ধের সাইরেন এমন একটি হাতিয়ার যা সময়মতো সতর্ক করে। জনগণ যদি প্রস্তুত থাকে, তাহলে যেকোনো জরুরি পরিস্থিতিতে ক্ষয়ক্ষতি হ্রাস করা সম্ভব হবে।

এই ধরণের আরও প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Back to top button