Howrah Observatory Tower: কুতুব মিনারের চেয়েও উঁচু তৈরি হচ্ছে হাওড়ার এই ওয়াচ টাওয়ার, এর ওপরে কী থাকবে জানেন? না জানলে, এখনই জেনে নিন
এই টাওয়ারটির উচ্চতা হচ্ছে প্রায় ১২০ মিটার, যা কুতুব মিনার থেকে প্রায় ৩৮ মিটার চওড়া এবং নিউটাউনের বিশ্ববাংলা গেটের থেকেও দ্বিগুণ লম্বা। এটি শহিদ মিনারের থেকে প্রায় ৭০ মিটার বেশি উঁচু।
Howrah Observatory Tower: এই মিনার ঠিক কতটা উঁচু? এবং এখানের বিশেষ আকর্ষণ কী থাকছে? জেনে নিন সবটা
হাইলাইটস:
- হাওড়ায় বেলিলিয়াস পার্কের লাগোয়া তৈরি হচ্ছে এই ওয়াচ টাওয়ার
- কুতুব মিনারের চেয়েও উঁচু হচ্ছে হাওড়ার এই ওয়াচ টাওয়ার
- এখান থেকেই হাওড়ার বিস্তীর্ণ অংশকে দেখার সুযোগ পাবেন মানুষরা
Howrah Observatory Tower: হাওড়ার জনপ্রিয় বেলিলিয়াস পার্কের লাগোয়া ইস্ট-ওয়েস্ট বাইপাসের ধারেই তৈরি হচ্ছে দেশের সর্বোচ্চ উচ্চতার টাওয়ার যা পিছনে ফেলবে কুতুব মিনারকেও। প্রায় ৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে গড়ে উঠছে এই ওয়াচ টাওয়ার। এই ওয়াচ টাওয়ারটির নাম রাখা হয়েছে ‘পঞ্চদীপ’। এখান থেকেই কলকাতা এবং হাওড়ার বিস্তীর্ণ অংশকে পাখির চোখে দেখার সুযোগ পাবেন সাধারণ মানুষরাও। এর কাছেই রয়েছে হাওড়া ব্রিজ, হাওড়া স্টেশন এবং বিদ্যাসাগর সেতু।
We’re now on WhatsApp- Click to join
এই মিনার ঠিক কতটা উঁচু?
এই টাওয়ারটির উচ্চতা হচ্ছে প্রায় ১২০ মিটার, যা কুতুব মিনার থেকে প্রায় ৩৮ মিটার চওড়া এবং নিউটাউনের বিশ্ববাংলা গেটের থেকেও দ্বিগুণ লম্বা। এটি শহিদ মিনারের থেকে প্রায় ৭০ মিটার বেশি উঁচু। এই নির্মীয়মাণ মিনার নিঃসন্দেহে হাওড়া এবং এক নতুন মাত্রা যোগ করবে কলকাতার আকাশরেখায়।
We’re now on Telegram- Click to join
এখানে বিশেষ আকর্ষণ কী থাকছে?
পর্যবেক্ষণ মঞ্চ
একটি পর্যবেক্ষণ ডেক ১১২ মিটার উচ্চতায় তৈরি হচ্ছে প্রায় ২,০০০ বর্গফুট জায়গাজুড়ে। একইসঙ্গে সেখানে দাঁড়িয়ে ২০০ জন ৪টি অত্যাধুনিক টেলিস্কোপের সাহায্যে প্রায় ২০ কিমি দূর অবধি দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন। সেখান থেকেই সল্টলেক, বিমানবন্দর, নিউটাউন, হাওড়া এবং হুগলির বিস্তীর্ণ অঞ্চলও দেখা যাবে।
বহুতল ডেক
২৫ মিটার এবং ৫০ মিটার উচ্চতায় থাকবে আরও দুটি আলাদা ডেক।
View this post on Instagram
প্রযুক্তি এবং নিরাপত্তা
মাত্র ৪০ সেকেন্ডে ১২০ মিটার উপরে দুটি হাইস্পিড এলিভেটর পৌঁছে দেবে দর্শকদের। প্রতিটি লিফটে একসাথে যেতে পারবেন ১৫জন। মাটির নিচে ৩৫ মিটার অবধি বিস্তৃত টাওয়ারটির ভিত্তি, যাতে পাইলিং করা হয়েছে ১৬৯টি। এই মিনারে ব্যবহৃত হয়েছে ভূমিকম্প-প্রতিরোধী প্রায় ১,৪০০ টন স্টিল।
রেস্তরাঁ ও ব্যাঙ্কোয়েট হল
পর্যবেক্ষণ মঞ্চের নিচেই থাকবে ১০৪ মিটার উচ্চতায় একটি রেস্তরাঁ এবং বিশাল ব্যাঙ্কোয়েট হল, বিশ্ববাংলা গেটের আদলে অনেকটা।
এখানে কারা কাজ করছে?
এই মিনারের IIEST শিবপুর ডিজাইন করছে, এবং বাস্তবায়নের দায়িত্বে একটি বেসরকারি নির্মাণ সংস্থা রয়েছে। হাওড়া পুরনিগম গোটা প্রকল্পের তদারকি করছে।
কবে এর কাজ শেষ হবে?
সবকিছু ঠিকঠাক পরিকল্পনা মতো এগোলেই আগামী কিছু মাসের মধ্যেই এর নির্মাণ শেষ হবে। সেইসাথে হাওড়া এবং কলকাতার পর্যটন মানচিত্রে যুক্ত হবে এক নতুন স্থাপত্য আকর্ষণ, যা কেবল গোটা বাংলাকেই নয়, পুরো দেশকেই মুগ্ধ করবে।
এইরকম আরও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।