Bangla News

Digha Jagannath Temple: আর মাত্র কিছুক্ষণের অপেক্ষা! মঙ্গলে শুরু মহাযজ্ঞ, বুধে প্রাণ প্রতিষ্ঠা, দীঘায় প্রস্তুতি তুঙ্গে

উপাচার অনুযায়ী, আত্মার শান্তি কামনায় তাই যজ্ঞ অনুষ্ঠিত হবে। গর্ভগৃহে জগন্নাথদেবের মূর্তির চোখ ঢাকা আছে। প্রভুর প্রাণ প্রতিষ্ঠার জন্য আবাহন করা হবে।

Digha Jagannath Temple: বাঙালির জন্য গর্বের দিন, আগামীকালই প্রভু জগন্নাথদেবের পায়ের ছাপ পড়বে বাংলার মাটিতে

 

হাইলাইটস:

  • মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তত্ত্বাবধানে মহা ধুমধাম করে অক্ষয় তৃতীয়ার শুভলগ্নে উদ্বোধন হবে দীঘার জগন্নাথ মন্দির
  • সেই উপলক্ষ্যে আজ সকাল থেকেই চলছে মহাযজ্ঞ
  • দূর-দূরান্ত থেকে পর্যটকরা আসছেন এই বিশেষ দিনের সাক্ষী থাকতে

Digha Jagannath Temple: সকাল থেকে শুরু হয়েছে মহাযজ্ঞ। আজ সন্ধ্যাবেলা শয়ন দেওয়া হবে। যারা দীঘায় জগন্নাথ মন্দিরে প্রাণ প্রতিষ্ঠায় নিযুক্ত, তাঁরা বলছেন, বাস্তু পুজো দিয়ে শুরু হবে এই অনুষ্ঠান। কারণ এই নির্মাণ স্থল একসময় ফাঁকা জমি ছিল, পরবর্তীকালে সেখানেই এই স্থাপত্য তৈরি করা হয়েছে।

We’re now on WhatsApp – Click to join

উপাচার অনুযায়ী, আত্মার শান্তি কামনায় তাই যজ্ঞ অনুষ্ঠিত হবে। গর্ভগৃহে জগন্নাথদেবের মূর্তির চোখ ঢাকা আছে। প্রভুর প্রাণ প্রতিষ্ঠার জন্য আবাহন করা হবে। ইসকনের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমণ দাস জানিয়েছেন, মূর্তি পুজো নয়, সনাতন ধর্মে বিগ্রহ পুজো হয়। সেটাই করা হবে। আর এই উপাচারের নামই হল মহাযজ্ঞ।

We’re now on Telegram – Click to join

আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার সকাল থেকেই, পুরীর মতোই দীঘার জগন্নাথ মন্দিরেও ৬০-৭০ জন পুরোহিত এটা করবেন। প্রাণ প্রতিষ্ঠার আগে এক কোটি মন্ত্রোচ্চারণ করার প্রক্রিয়া চলছে। রাজেশ দ্বৈতাপতি জানিয়েছেন, প্রতিদিন আড়াই লক্ষ করে মন্ত্রপাঠ করা হচ্ছে। যা এক কোটি করা হবে। আজকেই হবে পুণ্যআহুতি। যজ্ঞ শেষের সময়ই এটা হয়। সনাতন ধর্মে বলা হয়, ভগবানকে মন্দিরে নিয়ে আসা হবে। সেই সঙ্গে দারুব্রহ্ম নিয়ে আসা হয়েছে পুজোর প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য। আজ সকাল ১১টা থেকেই এটা শুরু হবে। যা চলবে সন্ধ্যা অবধি। পুরীর জগন্নাথ মন্দির থেকে ৫৭ জন সেবক এবং ইসকন থেকে ১৭ জন সাধু এসেছেন এখানে। ১০০ কুইন্টাল আম, বেলকাঠ এবং ২ কুইন্টাল ঘি পোড়ানো হবে আজকের এই মহাযজ্ঞে।

Read more:- নববধূর সাজে সেজে উঠেছে দীঘা, জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনে আজ দুপুরেই দীঘা যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, প্রথমে যজ্ঞ হবে বাস্তুপুরুষের উদ্দেশ্যে। সে যজ্ঞের প্রধান লক্ষ্য হল নবনির্মিত কাঠামোকে অপদেবতা বা যাবতীয় অপশক্তির কবল থেকে মুক্ত করা। এই যজ্ঞের পরে দেবতার প্রসাদ অর্পিত করা হবে অপদেবতার উদ্দেশ্যে। প্রাণপ্রতিষ্ঠা তথা দ্বারোদ্ঘাটনের আগের দিন অর্থাৎ আজ এই ‘মহাযজ্ঞে’ অংশ নেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ সকাল থেকেই শুরু ‘মহাযজ্ঞ’। শেষ পর্বে ‘প্রধান যজমান’ হিসেবে ষজ্ঞাগ্নিতে পূর্ণাহুতি দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। গতকালই তিনি দীঘায় পৌঁছে নিজে সবকিছু খতিয়ে দেখেছেন। মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গে রয়েছেন রাজ্যের অন্যান্য মন্ত্রী এবং প্রশাসনিক দফতরের আধিকারিকরা।

এই রকম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Back to top button