Digha Jagannath Temple Controversy: ‘ধাম’ কেন? দীঘার জগন্নাথ মন্দিরের নামকরণ নিয়ে আপত্তি পড়শি রাজ্য ওড়িশার! নাম-ধাম নিয়ে ইতিমধ্যেই মাঠে নয়া লড়াই ওড়িশা-বাংলার
দীঘার জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধন ইতিমধ্যেই ৪৮ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে আর তারই মধ্যে ভেসে আসছে পড়শি রাজ্য থেকে আপত্তি। পুরীর আদলে গড়ে ওঠা এই জগন্নাথ মন্দিরের নাম নিয়েই তৈরি হয়েছে মূলত বিতর্ক।
Digha Jagannath Temple Controversy: এবার রসগোল্লার পর ‘জগন্নাথ ধাম’ নামকরণ নিয়ে বিতর্ক, বাংলার সঙ্গে নাম যুদ্ধ ওড়িশার
হাইলাইটস:
- গত বুধবার অক্ষয় তৃতীয়ার পুণ্যক্ষণে উদ্বোধন হয় দীঘার এই জগন্নাথ মন্দিরের
- দীঘার এই জগন্নাথ মন্দিরটিকে ‘জগন্নাথ ধাম’ হিসেবে উল্লেখ করেছে রাজ্য সরকার
- ইতিমধ্যেই ‘ধাম’ শব্দটি নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক, আপত্তি জানিয়েছে পড়শি রাজ্য ওড়িশা
Digha Jagannath Temple Controversy: এবার রসগোল্লার পর বাংলার সাথে নয়া নাম যুদ্ধে পড়শি রাজ্য ওড়িশা। নবনির্মিত দীঘার জগন্নাথ মন্দির নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে নানান বিতর্ক। এই মন্দির নিয়ে এবার চরম অসন্তোষ ওড়িশাবাসীদের একাংশের। আসলে দীঘা জগন্নাথ মন্দিরের নাম নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত। পশ্চিমবঙ্গ সরকার দীঘায় নবনির্মিত এই জগন্নাথ মন্দিরটিকে ‘জগন্নাথ ধাম’ হিসেবে এর নাম উল্লেখ করেছে। আর এই নাম নিয়েই ঘটেছে প্রবল আপত্তি জানিয়েছেন ওড়িশার পুরোহিত, ধর্মীয় পন্ডিত এবং পুরীর সেবায়েতরা।
We’re now on WhatsApp- Click to join
দীঘার ‘জগন্নাথ ধাম’ নাম নিয়ে ইতিমধ্যেই আপত্তি পড়শি রাজ্য ওড়িশার
দীঘার জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধন ইতিমধ্যেই ৪৮ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে আর তারই মধ্যে ভেসে আসছে পড়শি রাজ্য থেকে আপত্তি। পুরীর আদলে গড়ে ওঠা এই জগন্নাথ মন্দিরের নাম নিয়েই তৈরি হয়েছে মূলত বিতর্ক। ওড়িশার পুরোহিত এবং ধর্মীয় পন্ডিতদের দাবি, ঐতিহাসিক মতে, শাস্ত্রীয়ভাবে দ্বাদশ শতাব্দী থেকে পুরী মন্দিরের জন্যই ‘জগন্নাথ ধাম’ নামটি রয়েছে সংরক্ষিত। হিন্দু ধর্মের চারটি প্রধান তীর্থস্থানগুলির মধ্যে একটি হল পুরীর এই জগন্নাথ মন্দির। তাই এই নামকে এত লঘু না করে ফেলার অনুরোধ জানিয়েছেন ওড়িশাবাসীদের একাংশ।
We’re now on Telegram- Click to join
‘জগন্নাথ ধাম’ এই শব্দটি নিয়ে ওড়িশার জ্ঞানীজনদের যুক্তি যে, ‘ধাম’ শব্দটি হল একটি উপাধি। যা পুরী মন্দিরের ঐতিহ্য, মর্যাদা এবং পবিত্রতার প্রতীক। বিশেষভাবে এই শব্দ হিন্দু ধর্মে পবিত্র স্থানগুলির জন্যই ব্যবহৃত হয়। এই প্রসঙ্গে উঠে আসছে আদি শঙ্করাচার্যের বক্তব্যও। পুরীকে ভারতের চার ধামের মধ্যে একটি বলে বর্ণনা করেছেন অষ্টম শতাব্দীর দার্শনিক এবং ধর্মতত্ত্ববিদ আদি শঙ্করাচার্য। কথায় আছে, ভারতের এই চার ধামের তীর্থ করলেই বহু পুণ্য অর্জন করতে পারবে ভক্তরা। পুরী ছাড়াও এই চার ধামের মধ্যে তালিকায় রয়েছে বদ্রীনাথ ধাম, কেদারনাথ ধাম এবং রামেশ্বরম। এই চারটি তীর্থ স্থানের রয়েছে বিশেষ মাহাত্ম্য। এই বিশেষ মাহাত্ম্য বোঝাতেই এই ‘ধাম’ শব্দের অবতারণা বলে উল্লেখ করেছেন পন্ডিতদল। তাই হিন্দু ধর্মের বিশ্বাসনুযায়ী, তাঁরা দাবি করেছেন, মননের সাথে যুক্ত শতাব্দী পুরোনো ঐতিহ্য ‘ধাম’ শব্দটিকে এই ভাবে ব্যবহার করা যায় না। তাঁদের মতানুযায়ী, একাধিক জগন্নাথ মন্দির হতেই পারে তবে এই ‘জগন্নাথ ধাম’ শব্দটি কেবলমাত্র পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের জন্য বিশেষভাবে স্বীকৃত।
প্রসঙ্গত, দীঘার জগন্নাথ মন্দিরের এই নামকরণ নিয়ে ইতিমধ্যেই আপত্তি তুলেছে ওড়িশার পদ্মশ্রী পুরস্কারপ্রাপ্ত সুদর্শন পট্টনায়েক এবং জনপ্রিয় স্যান্ড আর্টিস্ট অর্থাৎ বালি শিল্পী ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝিকে এই ব্যাপারে একটি চিঠি লিখে আপত্তি জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ভক্তরা বিভ্রান্ত হবেন দীঘা মন্দিরকে ‘জগন্নাথ ধাম’ বলা হলে, এবং অসম্মানও হবে পুরীর মন্দিরের অনন্য পরিচয়ের।
উল্লেখ্য, গত বুধবার, অক্ষয় তৃতীয়ার পুণ্যক্ষণে পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর অঞ্চলের সমুদ্র সৈকত অর্থাৎ দীঘায় পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের অনুকরণেই গড়ে তোলা হয়েছে দীঘার জগন্নাথ মন্দির আর গত ৩০শে এপ্রিলই উদ্বোধন করেছেন রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আনুমানিক ২৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে এবং ২২ একর জমির উপর নির্মিত এই জগন্নাথ মন্দিরকে মূলত ধর্মীয় পর্যটনস্থল হিসেবেই গড়ে তোলা হয়েছে। এবার রসগোল্লার পর পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের নাম মাহাত্ম্য হারাতে নারাজ ওড়িশাবাসীরা।
এইরকম আরও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।