Bangla News

Cyclone Dana: মধ্যরাতেই সুপার সাইক্লোনে পরিণত হল ‘দানা’, এগোচ্ছে উপকূলের দিকে, ল্যান্ডফল কোথায়?

Cyclone Dana: ওড়িশার ভিতরকণিকা থেকে ধামারার মধ্যেই ‘ল্যান্ডফল’ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ‘দানা’র

 

হাইলাইটস:

  • বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকালের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি প্রবেশ করবে স্থলভাগে
  • বাংলায় ‘ল্যান্ডফল’ না হলেও ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়বে এ রাজ্যে
  • ওড়িশায় প্রবল ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকছে

Cyclone Dana: গতকাল মধ্যরাতেই আরও শক্তি বাড়াল বঙ্গোপসাগরের উপর তৈরি ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’। এখন সেটি প্রবল ঘূর্ণিঝড় অর্থাৎ সুপার সাইক্লোনে পরিণত হয়েছে। গত ৭ ঘণ্টায় আরও ৯০ কিলোমিটার উপকূলের দিকে এগিয়েছে ‘দানা’। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপ থেকে মাত্র ৩৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অবস্থান করছে ‘দানা’। তবে ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে এটি মাত্র ২৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্ব দিকে রয়েছে।

We’re now on WhatsApp – Click to join

আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকালের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি স্থলভাগে প্রবেশ করতে পারে। এটি ওড়িশার ভিতরকণিকা থেকে ধামারার মধ্যেই ‘ল্যান্ডফল’ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে স্থলভাগে আছড়ে পড়ার সময় এর গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১০০-১১০ কিলোমিটার। শুধু তাই নয়, দমকা হাওয়ার গতি ১২০ কিলোমিটারও হতে পারে।

We’re now on Telegram – Click to join

এদিকে গতকাল রাত থেকেই ওড়িশার উপকূলবর্তী এবং উত্তরের জেলাগুলিতে দুর্যোগও শুরু হয়ে গেছে। উত্তাল রয়েছে পুরীর সমুদ্রও। বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে কেন্দ্রাপাড়া, ভদ্রক এবং বালেশ্বরেও। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ওড়িশার ভিতরকণিকা জাতীয় উদ্যান এবং ধামারা বন্দরের মধ্যবর্তী অংশে আছড়ে পড়তে পারে ‘দানা’। ইতিমধ্যে ওই বন্দরের যাবতীয় কাজ স্থগিত রাখা হয়েছে। কর্মীরাও বর্তমানে বন্দর ছেড়েছেন। ওড়িশা প্রশাসনের তরফে ওই অঞ্চলের পার্শ্ববর্তী অংশে উদ্ধারকারী দলও মোতায়েন রাখা হয়েছে। বুধবারই ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সমস্ত রকম প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহনচরণ মাঝি।

Read more:- সকালেই শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হল ‘দানা’! এখন এর অবস্থান কোথায়? দুই রাজ্যে জারি সতর্কতা

সে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কও রাজ্যবাসীকে ভয় না পাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন এবং এর পাশাপাশি সতর্কতা অবলম্বনের কথা জানিয়েছেন তিনি। সে রাজ্যের উপকূলবর্তী অঞ্চল থেকে ইতিমধ্যেই অন্তত ১০ লক্ষ মানুষকে বিভিন্ন ত্রাণশিবির নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তৎপর রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারও। এ রাজ্যের উপকূলবর্তী অঞ্চলের বাসিন্দাদের ত্রাণশিবির নিয়ে যাওয়া হয়েছে। একাধিক জায়গায় চলছে মাইকিং এবং খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম।

ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ সম্পর্কিত যাবতীয় প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button