BRICS Summit 2025: ব্রিকস দেশগুলিকে ট্রাম্পের হুমকি, আমেরিকা বিরোধী নীতির সাথের দাঁড়ালে ১০% অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা হবে
২০০৯ সালে ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত এবং চীনের সাথে BRICS চালু হয়, পরে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ২০২৩ সালে ইরান, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিশর, ইন্দোনেশিয়া এবং ইথিওপিয়া যোগ দেয়।
BRICS Summit 2025: ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন হুমকি ভারতের উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলবে
হাইলাইটস:
- ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্রিকসকে ‘আমেরিকা-বিরোধী’ হিসেবে বিবেচনা করেন
- আমেরিকা বিরোধী নীতির সাথের দাঁড়ালে ১০% অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করবে আমেরিকা
- ট্রাম্পের নতুন হুমকিতে ভারতও ‘ব্যতিক্রম’ নয়
BRICS Summit 2025: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও ব্রিকস দেশগুলিকে নিশানা করলেন। তিনি একটি বিবৃতি দিয়ে বলেছেন যে “যে কোনও দেশ ব্রিকসের ‘আমেরিকান-বিরোধী’ নীতির সাথে দাঁড়াবে তার উপর আমেরিকা অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবে।” ট্রাম্পের এই বক্তব্য বিশ্ব বাণিজ্য এবং কূটনীতির দিকে নতুন আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে ভারতের মতো দেশগুলির জন্য যারা ব্রিকসের অংশ এবং আমেরিকার সাথে কৌশলগত অংশীদারিত্বও রয়েছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছর ব্রাজিলে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অংশগ্রহণ করেছেন।
We’re now on WhatsApp – Click to join
২০০৯ সালে ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত এবং চীনের সাথে BRICS চালু হয়, পরে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ২০২৩ সালে ইরান, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিশর, ইন্দোনেশিয়া এবং ইথিওপিয়া যোগ দেয়। ভারত সর্বদা বহুপাক্ষিকতা এবং উন্নয়নশীল দেশগুলির জন্য একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যবস্থার দাবিতে এই প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করে আসছে। তবে, চীন এবং রাশিয়ার মতো দেশগুলির কারণে BRICS-এর সাথে একটি “পশ্চিম-বিরোধী” ভাবমূর্তিও যুক্ত হয়েছে।
ব্রিকস দেশগুলোর প্রতি ট্রাম্পের নতুন হুমকি
ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্রিকসকে ‘আমেরিকা-বিরোধী’ হিসেবে বিবেচনা করেন এবং তিনি আশঙ্কা করেন যে ব্রিকস দেশগুলি ডলারের বিপরীতে একটি নতুন মুদ্রা জারি করতে পারে, যা আমেরিকান অর্থনীতির ক্ষতি করবে। এই পরিস্থিতি ভারতের জন্য অত্যন্ত সংবেদনশীল এবং কঠিন হয়ে ওঠে। ট্রাম্পের নতুন হুমকিতে ভারতও ‘ব্যতিক্রম’ নয়। ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং ব্রিকসের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যও।
We’re now on Telegram – Click to join
ট্রাম্প পূর্বে ব্রিকস কর্তৃক প্রস্তাবিত বিকল্প মুদ্রা ব্যবস্থার প্রকাশ্যে বিরোধিতা করেছেন। এখন তিনি অতিরিক্ত শুল্কের বিষয়ে প্রকাশ্যে সতর্ক করে দিচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে যে ভারতের মতো দেশগুলি কীভাবে এই অর্থনৈতিক চাপ মোকাবেলা করবে? ভারত বর্তমানে QUAD, I2U2 এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে অনেক প্রতিরক্ষা ও প্রযুক্তিগত অংশীদারিত্বের অংশ। অন্যদিকে, ব্রিকসের মধ্যে, ভারতও বিশ্বব্যাপী দক্ষিণের নেতৃত্বের ভূমিকা পালন করছে। এমন পরিস্থিতিতে, ট্রাম্পের হুমকি ভারতের জন্য কিছুটা কঠিন হয়ে ওঠে এবং এটি ভারত-মার্কিন বাণিজ্যকেও প্রভাবিত করে।
Read more:- ব্রাজিলে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী, থাকছেন না ভ্লাদিমির পুতিন এবং শি জিনপিং
কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, ভারতের উচিত ব্রিকসে তার ভূমিকা স্পষ্ট করা এবং আমেরিকাকে স্পষ্ট করে বলা যে এটি একটি স্বাধীন দেশ এবং কোনও দেশ বা কোনও গোষ্ঠীর পুতুল নয়। এর সাথে, ভারতেরও এই বার্তা দেওয়া উচিত যে তারা আমেরিকার বিরোধিতা করার জন্য নয়, বিশ্বব্যাপী বৈষম্যের সমাধান খুঁজে বের করার জন্য ব্রিকস প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে। তবে ট্রাম্পের সামনে এই বিষয়গুলি স্পষ্ট করা এত সহজ নয়। কারণ তিনি তার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন যে “এই নীতিতে কোনও ব্যতিক্রম হবে না। এই বিষয়ে মনোযোগ দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।” মনে করা হচ্ছে যে, এই ‘ব্যতিক্রম’ শব্দটি ভারতের জন্য ছিল।
এই রকম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।