Bangladesh News: ইউনূসের ওপর আর আস্থা নেই! বাংলাদেশে নির্বাচিত সরকার না হলে ঋণের অর্থ দেবেনা IMF
২০২২ সালে, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চাপের সময় IMF-এর কাছে আর্থিক সহায়তা চেয়েছিল বাংলাদেশ সরকার। এরপর ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে মোট ৫.৫ বিলিয়ন ডলারের একটি ঋণ প্যাকেজ IMF অনুমোদন করে।
Bangladesh News: বাংলাদেশে ৮০০ মিলিয়ন ডলারের ঋণ বন্ধ করে দিল IMF, ইউনূস সরকারের ওপর এবার নতুন চাপ
হাইলাইটস:
- ইউনূস সরকারের ওপর আর ভরসা নেই
- তাই এবার IMF-এর নয়া সিদ্ধান্ত জারি
- এদিন কী জানালেন IMF? জেনে নিন
Bangladesh News: বাংলাদেশের আর্থিক সংকটে নয়া অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF)। সংস্থাটি ঘোষণা করেছে যে, দেশের নতুন সরকার গঠিত না হওয়া অবধি আর কোনও ঋণের কিস্তি তারা দেবে না। ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে পড়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের প্রশাসনের জন্য।
We’re now on WhatsApp- Click to join
বাংলাদেশের ৮০০ মিলিয়ন ডলারের ঋণ এবার বন্ধ করল IMF
২০২২ সালে, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চাপের সময় IMF-এর কাছে আর্থিক সহায়তা চেয়েছিল বাংলাদেশ সরকার। এরপর ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে মোট ৫.৫ বিলিয়ন ডলারের একটি ঋণ প্যাকেজ IMF অনুমোদন করে। এখন অবধি এই দেশটি পেয়েছে প্রায় পাঁচ দফায় প্রায় ৩.৬ বিলিয়ন ডলার। ষষ্ঠ কিস্তি হিসেবে পাওয়ার কথা ছিল ৮০০ মিলিয়ন ডলার কিংবা প্রায় ৬,৭২০ কোটি টাকা। কিন্তু IMF জানিয়েছে যে, নতুন নির্বাচিত সরকার না আসা অবধি দেওয়া হবে না এই কিস্তি।
We’re now on Telegram- Click to join
IMF স্পষ্ট করেছে যে, বাংলাদেশে নয়া সরকার ক্ষমতায় এলে বিদ্যমান অর্থনৈতিক সংস্কার কর্মসূচি অব্যাহত রাখবে কি না তারা তা জানতে চায়। তাই তাড়াহুড়া হবে এখনই অর্থ ছাড় দেওয়ায়। সংস্থার মতে, সরকার পরিবর্তনের পর নয়া নেতৃত্বের নীতি এবং প্রতিশ্রুতি পর্যালোচনা করেই নেওয়া হবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত। এহেন অবস্থায় তাদের অবস্থানকে দৃঢ় করেছে IMF, যাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকে ভবিষ্যতের প্রশাসন আর্থিক সংস্কারে।
এই তথ্য অনুযায়ী জানা গেছে যে, ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত IMF এবং বিশ্বব্যাঙ্কের বার্ষিক বৈঠকে, যেখানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের গভর্নর ড. আহসান এইচ. মন্সুর। তাঁর মতে, এই কিস্তি মুক্তি পাওয়ার কথা ডিসেম্বর মাসে থাকলেও এখন তা স্থগিত করেছে IMF। তিনি বলেছেন, স্থিতিশীল রয়েছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রা ভাণ্ডার, নিয়ন্ত্রণে আছে ডলারের দামও, তাই এই মুহূর্তে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব ঋণ না পেলেও। অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞ ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের মতে, যদি IMF অতিরিক্ত কঠিন শর্ত চাপায়, তা মানবে না বাংলাদেশ। তিনি বলেছেন, এখন আর আগের মতোন চরম আর্থিক সংকটে নেই দেশ। তবে একাধিক অর্থনীতিবিদদের একাংশের মতে, নির্বাচনের আগে IMF আসলে তাদের শর্ত মানানোর জন্য চাপ তৈরি করছে। কিস্তি স্থগিত রাখা একটি কৌশল মাত্র, বিশ্বকে যাতে জানানো যায় যে বাংলাদেশ এখনও IMF-এর নির্ধারিত সংস্কার কর্মসূচি পালন করছে না পুরোপুরি।
View this post on Instagram
আগামী ২৯শে অক্টোবর IMF-এর একটি প্রতিনিধি দল ঢাকায় পৌঁছাবে। তারা দুই সপ্তাহের সফরে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার সাথে বৈঠক করবে এবং শর্তপূরণের অগ্রগতি মূল্যায়ন করবে। এরপর IMF সদর দফতরে তাদের প্রতিবেদন পাঠানো হবে, যা নির্ধারণ করবে আদৌ ষষ্ঠ কিস্তি মুক্তি পাবে কি না।
Read More- ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’-র চাপে এবার বাংলাদেশের বাজারে বিরাট ধাক্কা, কপালে চিন্তার ভাঁজ ইউনূস সরকারের
বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের তথ্য অনুসারে, দেশের বৈদেশিক মুদ্রা ভাণ্ডার রয়েছে ৩২.১৪ বিলিয়ন ডলার। প্রবাসী আয়ে এবং রপ্তানিতে দেখা গেছে কিছুটা উন্নতি, এর পাশাপাশি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে আমদানি ব্যয়। ২০২৪ সালে শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর থেকে অন্তর্বর্তী ইউনূস সরকার কাজ করছে অর্থনীতির ভারসাম্য রক্ষায়। কিন্তু IMF-এর নয়া সিদ্ধান্তে দেশটির সামনে চ্যালেঞ্জ আরও বেড়ে গেল আন্তর্জাতিক আর্থিক পরিসরে।
এইরকম আরও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।