Bangladesh News: ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’-র চাপে এবার বাংলাদেশের বাজারে বিরাট ধাক্কা, কপালে চিন্তার ভাঁজ ইউনূস সরকারের
বাংলাদেশের বাজারে ধাক্কার মূল কারণ হিসেবে উঠে আসছে ভারতীয় সুতোর আগ্রাসী দখল। ভারত থেকে বাংলাদেশে ২০২৪ সালে সুতো আমদানির পরিমাণ বেড়েছে ৪১ শতাংশ।
Bangladesh News: এবার জানা গেল বাংলাদেশের বাজারে ধাক্কার মূল কারণও
হাইলাইটস:
- বাংলাদেশে বর্তমানে প্রবল চাপের কবলে বস্ত্র শিল্প
- চাপের কারণে ইতিমধ্যেই কমেছে সুতোর বিক্রিও
- ইউনূস সরকারের জন্যও চাপের কারণ হয়ে উঠেছে
Bangladesh News: ওপার বাংলার এক সময়ের দ্রুত বিকাশমান বস্ত্র শিল্প বর্তমানে প্রবল চাপের কবলে। গত দুই বছরে দেশের অভ্যন্তরে তৈরি সুতোর বিক্রি কমেছে অন্তত ৩০ শতাংশ। এর ফলে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে একের পর এক টেক্সটাইল মিল, হাজার হাজার শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়ছেন। শীর্ষ স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলির তথ্য অনুযায়ী, এখন বাংলাদেশের বস্ত্রবয়ন শিল্প এমন এক সংকটে গিয়ে পৌঁছেছে, যা কেবল অর্থনীতির নয়, প্রভাব ফেলছে সামাজিক স্থিতির উপরও।
We’re now on WhatsApp- Click to join
বাংলাদেশের বাজারে ধাক্কার মূল কারণ হিসেবে উঠে আসছে ভারতীয় সুতোর আগ্রাসী দখল। ভারত থেকে বাংলাদেশে ২০২৪ সালে সুতো আমদানির পরিমাণ বেড়েছে ৪১ শতাংশ। স্থানীয় উৎপাদকরা বলছেন যে, এত কম দামে তারা সুতো বিক্রি করতে পারছেন না। বাধ্য হয়েই অনেক মিল বিক্রি করছে সামান্য লাভ নিয়ে বা কখনও ক্ষতি নিয়েই, যাতে টিকে থাকা যায় বাজারে। তবে দীর্ঘদিন ধরে এহেন পরিস্থিতি বজায় রাখা সম্ভব নয়।
We’re now on Telegram- Click to join
বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, বাংলাদেশের বাজারে সুতোর ভারতের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের মূল কারণ হচ্ছে কম দাম এবং উন্নত প্রযুক্তি। বর্তমানে বাংলাদেশে স্থানীয় ৩০ কাউন্ট সুতোর দাম কেজি প্রতি ২.৯৫ থেকে ৩.০৫ ডলার। অন্যদিকে ভারত থেকে আমদানি করা একই মানের সুতো পাওয়া যাচ্ছে প্রতি কেজি মাত্র ২.৬৮ থেকে ২.৭২ ডলারে। অর্থাৎ, ভারতীয় সুতো কিনলে সাশ্রয় হচ্ছে প্রতি কেজিতে প্রায় ০.৩ ডলার।
View this post on Instagram
এই পার্থক্যটা ছোট মনে হলেও, যখন একটি মিল বছরে প্রায় প্রতি ২,২৫০ কেজি বা এরও বেশি সুতো ব্যবহার করে, বছরে তখন প্রায় ৬৭৫ ডলার বা প্রায় ৮২ হাজার টাকার মতো বাংলাদেশি মুদ্রায় সাশ্রয় হয়। ফলে, স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশের মিলমালিকেরা আগ্রহী হচ্ছেন ভারতীয় সুতো আমদানি করতেই। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলিও এখন টেক্সটাইল সেক্টরে নতুন ঋণ দিতে দ্বিধা প্রকাশ করছে। তারা আশঙ্কা করছে যে, শিল্পটি হয়তো নিকট ভবিষ্যতে বড় চাপের মুখে পড়তে পারে।
Read More- পুজোর আগে ফের হামলা দুর্গামণ্ডপে! বাংলাদেশে প্রতিমা ভাঙচুর দুষ্কৃতীদের
অন্যদিকে, ভারতীয় সুতো কেবল সস্তা নয়, মানের দিক থেকেও এগিয়ে। বহুমুখী ফাইবার, উন্নত যন্ত্রপাতি, এবং আধুনিক প্রযুক্তির কারণে এখন আন্তর্জাতিক বাজারে ভারতীয় সুতো প্রতিযোগিতামূলক। ফলে, প্রযুক্তিগতভাবে বাংলাদেশের স্থানীয় প্রস্তুতকারীরা পিছিয়ে পড়ায় আরও কঠিন হয়ে পড়ছে প্রতিযোগিতা করা। অর্থনীতিবিদদের মতে, দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের বস্ত্র শিল্প রফতানির উপর নির্ভরশীল। স্থানীয়ভাবে সেই খাতের মূল ভিত্তি হচ্ছে তৈরি সুতো এবং কাপড়। এই সেক্টর দুর্বল হয়ে পড়লে, এর প্রভাব পড়বে রফতানি বাজারেও।
বর্তমানে বাংলাদেশ সরকার এবং অর্থনীতিবিদরা চিন্তিত যে, যদি এই প্রবণতা আরও কিছু বছর চলতে থাকে, তবে দেশের টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি এক ভয়ঙ্কর সংকটে পড়বে। এটি বড় সড় চাপের কারণ হয়ে উঠেছে ইউনূস সরকারের জন্যও।
এইরকম আরও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।