Amit Shah in Bengal: ২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে বাংলায় বিজেপির টার্গেট ঠিক করে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ
২০২৫-এ বাংলায় পালাবদলের হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি
হাইলাইটস:
•বীরভূমের সভা থেকে লোকসভা নির্বাচনের বাংলায় বিজেপির টার্গেট ঠিক করে দিলেন অমিত শাহ
•সভা মঞ্চ থেকে একের পর এক নিশানা করলেন বাংলার শাসক দলকে
•এমনকি তাঁর নিশানায় বাদ গেলেন না মমতা-অভিষেকও
Amit Shah: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah in Bengal) দুদিনের জন্য বঙ্গ সফরে এসে তাঁর প্রথম জনসভাটি অনুব্রত গড় বীরভূমের সিউড়িতে করেন। সামনেই বাংলার পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং বছর ঘুরলেই লোকসভা, তাই বঙ্গ বিজেপির রনকৌশল সাজিয়ে দিতেই তাঁর এই বঙ্গ সফর। কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে দিল্লির নেতাদের মাথা ব্যথা নেই, কারণ বুথ সংগঠন মজবুত করতে বঙ্গ বিজেপির ব্যর্থ। তাই বাংলাযর পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভালো কিছু করার প্রত্যাশাও নেই দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে৷ তাঁদের পাখির চোখ শুধুমাত্র ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন।
গরু পাচার মামলায় দিল্লির তিহার জেলে বন্দি অনুব্রত মণ্ডলের গড়ে দাঁড়িয়ে অমিত শাহ হুঁশিয়ারি দেন, ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে বিজেপি যদি ৩৫ আসনে জয়ী হয় তবে ২০২৫ এই হবে রাজ্যে পালাবদল। মানে ২০২৬ বিধানসভার জন্য আর অপেক্ষা করতে হবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য বিজেপি যে প্রস্তুত সে কথাও বুঝিয়ে দিলেন তিনি। নরেন্দ্র মোদীকে দেশের প্রধানমন্ত্রী পদে বিরাজমান রাখার জন্য বাংলা থেকে ৩৫টি আসন জেতার জন্য বাংলার মানুষের কাছে আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
সিউড়ির জনসভা থেকে লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় টার্গেট বেঁধে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেছেন, ‘আপনারা ৭৭ আসনের সঙ্গে ৩৮ শতাংশ ভোট বাংলায় দায়িত্ব বাড়িয়ে দিয়েছেন৷ তার জন্য আপনাদের আমি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই৷’ তার সাথে তিনি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর প্রশংসা করে বলেছেন, ‘দিদির দাদাগিরির সঙ্গে লড়ছেন শুভেন্দু অধিকারী।’ এমনকি গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত থাকলেও কেন এখনও অনুব্রত কেই বীরভূম জেলা সভাপতি রেখেছেন তা নিয়েও প্রশ্ন করেন তিনি।
শাহের কথায়, দিদি-ভাইপোর জুটিকে হারানোর একমাত্র পথ হল বিজেপি। বাংলাকে সন্ত্রাস থেকে মুক্তি দেওয়ার একমাত্র পথ বিজেপি। আবার অনুপ্রবেশ রোখারও এবং তোষণের রাজনীতি থেকে মুক্তির পথ একমাত্র বিজেপি। বাংলায় বিজেপি ক্ষমতায় এলে রামনবমীর মিছিলে কোনও অশান্তি হবে না বলেই জানিয়েছেন তিনি। এর সাথেই তৃণমূল সরকার তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও তীব্র আক্রমণ করেছেন। তিনি বলেন, ‘দিদির শাসনে বাংলা সন্ত্রাসবাদের আঁতুড়ঘর হয়ে উঠেছে।’ তিনি আরও বলেন, বাংলার মানুষকে নিয়ে কোনও চিন্তা নেই মুখ্যমন্ত্রী, তিনি শুধু চান তাঁর ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যাতে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হন। বাংলায় পরিবারতন্ত্র এবং তোষণের রাজনীতি চলবে না। পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির প্রতিনিধিই হবে।
এদিন নিয়োগ দুর্নীতি প্রসঙ্গেও সরব হন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি নিয়োগ দুর্নীতি নিয়েও কথা বলেন। এমনকি বালুরঘাটে দলিত মহিলাদের দণ্ডি কাটানোর ঘটনা নিয়েও তৃণমূল সরকারকে নিশানা করেন শাহ। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আদিবাসীদের মাথায় করে রাখেন। তাঁর আমলেই ভারত প্রথম আদিবাসী মহিলা রাষ্ট্রপতি পেয়েছে। তিনি হলেন, দৌপদী মুর্মু।’ সিউড়ির জনসভায় শাহের ২০২৫-এ রাজ্যে পালাবদলের হুঁশিয়ারিতে ঘাসফুল শিবির ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছে। কারণ এর আগেও আমরা দেখেছি কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশ এবং মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যে বিজেপি খেলা ঘুরিয়ে দিয়েছিল। তবে বাংলার ক্ষেত্রে খেলা ঘোরানো বিজেপির পক্ষে অনেকটাই মুশকিল।
এইরকম রাজনৈতিক বিষয়ক প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।