Air Red Siren Alert: বাজবে সাইরেন, মক ড্রিলের নির্দেশও জারি! হামলা হলে কীভাবে আত্মরক্ষা করবেন নিজেকে? বিপদঘন্টি শোনার আগে এখনই সতর্ক হন
যুদ্ধের সাইরেন হল আসলে একটি জোর শব্দের মাধ্যমে সতর্কীকরণের ব্যবস্থা। এটি বিমান হামলা, যুদ্ধ কিংবা দুর্যোগের মতো জরুরি পরিস্থিতি সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সজাগ এবং সতর্ক করে তোলে। এই শব্দের জেরে একটানা অস্বস্তিকর কম্পন বজায় থাকে।
Air Red Siren Alert: সাইরেন বাজবে সাবধান! যুদ্ধের মত পরিস্থিতি তৈরি হলে কী কী পদক্ষেপ নেবেন? জেনে নিন
হাইলাইটস:
- সাধারণ নাগরিকদের জন্য ৭ই মে মক ড্রিলের জন্য রাজ্যকে নির্দেশ জারি
- পাকিস্তান হামলা করলে কীভাবে নিজেকে আত্মরক্ষা করবেন?
- সাধারণ মানুষকে সতর্ক রাখতে এবার রাজ্যকে নির্দেশ কেন্দ্রের
Air Red Siren Alert: এবার পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হলে বাজবে এয়ার রেড সাইরেন, এবার এয়ার রেড সাইরেন ব্যবস্থাকে অপারেশনাল করার নির্দেশ জারি কেন্দ্রের। আচমকাই হামলা হলে সাধারণ মানুষ আত্মরক্ষা কীভাবে করবে নিজেকে? তাই সাধারণ মানুষ-ছাত্রদের মক ড্রিল আর যেকোনও মুহূর্তে ব্ল্যাক আউটের জন্য প্রস্তুত থাকার জন্য নির্দেশ জারি করা হয়েছে। হামলার ইঙ্গিত পেলে বাজানো হবে সাইরেন। এই ‘ওয়ার সাইরেন’ বাজানোর আসলে অর্থ হল সাধারণ মানুষকে যুদ্ধ বা বিমানহানার মতো পরিস্থিতি সম্পর্কে sসচেতন করা। ১৯৭১ সালের যুদ্ধের পর এবার এই প্রথমবার রাজ্যকে এমন একটি মক ড্রিলের নির্দেশ দিয়েছে ভারত সরকার।
We’re now on WhatsApp- Click to join
৭ই মে মক ড্রিলের নির্দেশ
যুদ্ধের সাইরেন হল আসলে একটি জোর শব্দের মাধ্যমে সতর্কীকরণের ব্যবস্থা। এটি বিমান হামলা, যুদ্ধ কিংবা দুর্যোগের মতো জরুরি পরিস্থিতি সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সজাগ এবং সতর্ক করে তোলে। এই শব্দের জেরে একটানা অস্বস্তিকর কম্পন বজায় থাকে। এই সাইরেনগুলি সাধারণত প্রশাসনিক ভবন, ফায়ার স্টেশন, পুলিশ সদর দফতর, সামরিক ঘাঁটি এবং শহরের যেকোনো জনবহুল এলাকায় উঁচু করে লাগানো হয়। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে সাইরেনের শব্দ যতদূর সম্ভব যাতে পৌঁছানো যায়। খুব জোর হয় এই যুদ্ধের সাইরেনের আওয়াজ৷ সাধারণত এর সাইরেণের শোনা যেতে পারে ২-৫ কিলোমিটার পর্যন্ত।
We’re now on Telegram- Click to join
এই সাইরেন বাজানোর অর্থ হচ্ছে, এই সাইরেনের আওয়াজ শুনতে পেলে লোকজন যেন অবিলম্বে নিরাপদ স্থানে চলে যায়। তবে মক ড্রিলের সময় একদম আতঙ্কিত হবেন না। এর মানে খোলা জায়গা থেকে অবিলম্বে দূরে থাকুন। ঘর বা যেকোনো নিরাপদ ভবনের ভেতরে আশ্রয় নিন। টিভি অথবা রেডিও এবং সরকারি সতর্কতার প্রতি ইতিমধ্যেই মনোযোগ দিন। এছাড়া প্রশাসনের নির্দেশাবলী অনুসরণ করুন এবং গুজব এড়িয়ে চলুন।
যুদ্ধের মতো পরিস্থিতির জন্য বিশেষ কারখানা এবং সংস্থাকে বাঁচাতে প্রস্তুতি ক্যামোফ্লাজের। হামলা হলে সেই মুহূর্তের মধ্যেই এলাকার খালি করার জন্য মক ড্রিলের নির্দেশ।
Read More- যেকোনও সময় আক্রমণ করবে ভারত? PoK-তে খাদ্য মজুদ করার নির্দেশ জারি! সঙ্গে রাখা হচ্ছে ওষুধও
এয়ার সাইরেন শুনলে কী করবেন?
আসন্ন বিপদের ইঙ্গিত দেয় এই এয়ার সাইরেন, যেমন ক্ষেপণাস্ত্র বা বোমা। জরুরি পরিস্থিতিতে একটি অভ্যন্তরীণ ঘর বেছে নিন যেখানে কোনো জানালা নেই, এবং পুরু দেয়াল, ভবনের থেকে যতটা সম্ভব নিচু, আলো বন্ধ করে দেবেন, প্রয়োজন পড়লে টর্চলাইট ব্যবহার করবেন। প্রাথমিক চিকিৎসার সরঞ্জাম এবং গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র সাথে রাখবেন। শিশু কিংবা বয়স্ক পরিবারের সদস্যদের শান্ত থাকতে পাশে থেকে সাহায্য করুন। অবশ্যই কর্তৃপক্ষের নির্দেশাবলী অনুসরণ করে চলুন।
এইরকম আরও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।