শহরের কোলাহল ছেড়ে আপনি কী একটু নিরিবিলি জায়গা পছন্দ করেন? তাহলে পরিকল্পনা করুন কমলালেবুর আদর্শ পাহাড়ি গ্রাম সিটং থেকে ঘুরে আসার
ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম হল সিটং
সিটং: শীতের ছুটিতে পাহাড়ে বেড়াতে যাওয়ার মজাই আলাদা। পাহাড়ে ঠান্ডাটা যেন আরও বেশি করে উপভোগ করা যায়। তার সাথে গরম গরম মোমো বা ম্যাগি, সে যেন এক স্বর্গ সুখ। দার্জিলিং জেলার কার্শিয়াং মহাকুমার অন্তর্গত একটি পাহাড়ি গ্রাম হল সিটং। ছোট্ট একটা জনপদ তার সাথে শান্ত এবং নিরিবিলি। বাড়ির সংখ্যাও ভীষণ কম, মূলত লেপচাদেরই বাস এখানে। যত দূর চোখ যায় শুধুই পাহাড়। ধাপে ধাপে ঘরবাড়ি যেন দেশলাই বাক্সের মতো সাজিয়ে রাখা। সিটং-এর আসল বৈশিষ্ট্য হল দার্জিলিংয়ের বিখ্যাত কমলালেবুর সিংহভাগই উৎপন্ন হয় এই গ্রামে। যেদিকেই চোখ যাবে দেখবেন গাছে ঝুলছে পাকা কমলালেবু। তবে বাগানির থেকে না পরামর্শ নিয়ে কমলালেবুতে না হাত দেওয়াই ভালো।
দার্জিলিং-এর বিখ্যাত শহর মংপু থেকে মাত্র ৮ কিমি এবং মহানন্দা অভয়ারণ্য থেকে মাত্র ১৩ কিমি দুরুত্বে অবস্থিত সিটং। দার্জিলিং-এর পার্বত্য নদী রিয়ং-এর অববাহিকায় গড়ে উঠেছে এই ছোট্ট গ্রামটি। মূলত দার্জিলিং পার্বত্য অঞ্চলের পূর্ব দিকে সমুদ্রতল থেকে ৪০০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত সিটং-এর তরাইয়েরও কিছু অংশ পড়েছে। কার্শিয়াং, কালিম্পং, সিকিম এবং ভুটান ঘিরে রয়েছে সিটং-কে।
সিটং এলাকাটি প্রকৃতিপ্রেমীদের মধ্যে জনপ্রিয় কারণ প্রকৃতি আদিম এবং দর্শনার্থীরা আধুনিক পর্যটনের বদনাম দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন। এখানকার কমলালেবু বিশ্বসেরা বলে দাবি করা হয়। বিভিন্ন জায়গায় কমলালেবুর চাষ দেখতে পর্যটকরা আসেন। অদূরেই রিয়াং নদী এবং যোগীঘাট সেতু আর কান পাতলেই শোনা যায় নানা অজানা, অচেনা পাখির কলতান। পাখীপ্রেমীদের একটা বড়ো অংশও বিভিন্ন জায়গা থেকে ছুটে আসেন এখানে। সিটংয়ের প্রায় প্রতিটি ব্লকেই গড়ে উঠেছে হোমস্টে।
কীভাবে যাবেন:
•নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন বা বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে মংপু হয়ে সিটং।
•নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন বা বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে কার্শিয়ং, দিলারাম হয়ে সিটং।
•নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন বা বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে সেবক-কালীঝোরা, লাটপাঞ্চার হয়ে সিটং।
কোথায় থাকবেন:
এখানে প্রচুর হোমস্টে রয়েছে, যেমন- সিটং ভ্যালি হোমস্টে, গ্রিনল্যান্ড হোমস্টে, স্কাই হোমস্টে, আমার বাড়ি হোমস্টে, মুখিয়া হোমস্টে, পাইন ট্রি হোমস্টে ইত্যাদি। এইসব হোমস্টেগুলিতে বন ফায়ারের ব্যবস্থা আছে। একেবারে ঘরোয়া পরিবেশ এবং ঘরোয়া খাবার।
এইরকম আরও ভ্রমণ সংক্রান্ত প্রতিবেদন পড়তে যুক্ত থাকুন ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজের সাথে।