lifestyle

ফ্রেঞ্চ টোস্টের মতো, কিছু খাবারের তালিকা দেওয়া হল যা আপনি শুধুমাত্র ভারতেই পাবেন

আপনি শুধুমাত্র ভারতে পাবেন এমন খাবারের তালিকাগুলি হল

একসময় রানী বলেছিলেন “ফ্রেঞ্চ টোস্ট সির্ফ ইন্ডিয়া ম্যায় মিলতা হ্যায়।” ভারতবর্ষ হল ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির দেশ। এই বৈচিত্র্যের সাক্ষী হওয়ার একটি উপায় হল প্রতিটি রাজ্যের সুস্বাদু খাবারের স্বাদ নেওয়া। এটি আমাদের অবাক করে তোলে যে এমন খাবারগুলি কী হতে পারে যা শুধুমাত্র ভারতেই পরিবেশন করা যায়। ফলে এই জন্য আমরা একজন ভারতবাসী হিসাবে গর্ববোধ করি।

সুতরাং, এখানে আমরা খাবারগুলির একটি তালিকা তৈরি করেছি যেগুলি শুধুমাত্র ভারতেই পাওয়া সম্ভব।

পাঞ্জাবের মাক্কি কি রোটির সাথে সর্ষণ কা সাগ:

ধীরে ধীরে রান্না করা সরিষা পাতা, কর্নফ্লাওয়ার দিয়ে তৈরী রুটি এবং সাদা মাখনের প্রলেপ দিয়ে পরিবেশন করা হয়, এই সংমিশ্রণটির স্বাদ অতুলনীয়।

বিহারের লিট্টি চোখা:

গমের বলগুলি সবজির সাথে পরিবেশন করা হয় এবং উপরে ঘি দিয়ে দেওয়া হয়। লিট্টি চোখা বিহারের একটি জনপ্রিয় খাবার।

গুজরাটের খান্ডভি:

বেসন ও বাটারমিল্কের মিশ্রণে খান্ডভি তৈরি করা হয়। চা খাওয়ার সময়ের স্ন্যাকস হিসাবে আপনি এটি খেতে পারেন। খান্ডভির স্বাদ আপনার খিদের তৃস্না মিটিয়ে দিতে সক্ষম।

হরিয়ানার বাজরা খিচুড়ি:

ভারতের প্রতিটি রাজ্যের খিচুড়ি পরিবর্তিত হয়। এই খিচুড়ি তৈরির একটি অনন্য শৈলী রয়েছে যা রঙ থেকে স্বাদে আলাদা।

বাজরা খিচুড়ি হল ক্লাসিক খিচুড়ির একটি দেহাতি মোড়। হরিয়ানার এই বাজরা সংস্করণ আপনাকে আপনার ঠাকুরমার বাড়ির কথা মনে করিয়ে দিতে বাধ্য।

ঝাড়খণ্ডের ধুসকা:

ধুসকা হল একটি জনপ্রিয় ডিপ-ফ্রাইড স্ন্যাক যা ঝাড়খণ্ড জুড়ে খাওয়া হয়। এই সুস্বাদু ভাজা রুটির খাবারের প্রধান উপাদানগুলি হল চাল গুঁড়ি , চানার ডাল গুঁড়ো এবং কখনও কখনও সেদ্ধ আলু। তারপর রুটি গভীর ভাজা হয়। এটি প্রায়শই যে কোনও সস বা চাটনির সাথে পরিবেশন করা হয়। ঝাড়খণ্ডের কোনো উৎসবের বিশেষত্ব হল এই অসাধারন আরামদায়ক খাবার গ্রহণ।

কর্ণাটকের মহীশূরের মশলা ধোসা:

এটি গরম সাম্ভার এবং তাজা নারকেলের চাটনির সাথে পরিবেশন করা হয়। কর্ণাটকের মহীশূরের ধোসা সত্যিই দিনের প্রতিটি সময়ের জন্য একটি আদর্শ খাবার।

মহারাষ্ট্রের থালিপীঠ:

আপনি এটিকে প্যানকেকের “মহারাষ্ট্র সংস্করণ” বলতে পারেন, তবে এটি মিষ্টি নয়। দানা এবং মশলার মিশ্রণ ব্যবহার করে থালিপীঠ তৈরি করা হয়। এটি পুষ্টি এবং স্বাদ উভয় ক্ষেত্রেই উচ্চ।

মধ্যপ্রদেশের ভুট্টে কি কিস:

এই খাবার মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের জনপ্রিয় একটি “স্ট্রিট ফুড।” ভুট্টে কি কিস খাবারে ভুট্টা এবং সিদ্ধ দুধ দিয়ে মশলা মাখানো হয়। এটি একটি চা খাওয়ার সময়ের জলখাবার এবং আশ্চর্যজনকভাবে বাড়িতে সহজেই রান্না করা যায়।

মেঘালয়ের জাদোহ:

মেঘালয়ে সূক্ষ্ম শুয়োরের মাংসকে লাল চালের সাথে সম্পূর্ণরূপে রান্না করা হয়। জাদোহ শব্দটি মেঘালয়ের “খাসি” সম্প্রদায় থেকে নেওয়া হয়েছে। এটি মেঘালয়ের পার্বত্য অঞ্চলের একটি অন্যতম বিখ্যাত খাবারও বটে।

মিজোরামের মিসা মাছ পোড়া:

কলা পাতায় মোড়ানো রসালো গ্রিলড চিংড়ি মিসা মাছ পোড়া হিসাবে আপনার মধ্যে একজন সামুদ্রিক খাবার প্রেমিককে বের করে আনবে। এটি এমন একটি রেসিপি যা খুঁজে পাওয়াও খুব কঠিন। কারণ মাত্র কয়েকজনই এর আসল এবং খাঁটি স্বাদ জানেন। অনলাইনে পাওয়া রেসিপিগুলিও সন্দেহজনক। সুতরাং, আপনাকে পরামর্শ দেওয়া হল যে, আপনি যদি সত্যিই একজন ভোজনরসিক হন, তবে মনে রাখবেন মিসা মাছ পোড়া যা শুধুমাত্র মিজোরামেই পাওয়া যায়।

ওড়িশার ছেনা পোদা:

একটি বিদেশী স্থানীয় ডেজার্ট, ছেনা পোদা তৈরি হয় রিকোটা পনির এবং চিনির সঠিক বেক দিয়ে। এই মিষ্টান্নের উৎসেরও একটি আকর্ষণীয় গল্প রয়েছে। এই রেসিপির মালিক অবশিষ্ট পনিরে মশলা এবং চিনি যোগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তিনি এটিকে ভারতীয় চুলায় রেখেছিলেন যা উষ্ণতাকে ধরে রাখে। তার পরের দিন মালিক একটি চটকদার মিষ্টি তৈরি করে ফেলেন।

রাজস্থানের গাট্টা কারি:

সব ঋতুর জন্য উপযোগী একটি কারি যা তাজা চাপাতি এবং আচারের সাথে সর্বোত্তম পরিবেশন করা হয়। প্রথমে বেসন দিয়ে গোলাকার বল তৈরী করে নেওয়া হয়। তারপর দই-এর উপর ভিত্তি করে একটি গ্রেভি তৈরী করা হয়। রাজস্থানের বিভিন্ন অঞ্চলে ভ্রমণ করার সময় আপনি এই সবজিতে বৈচিত্র্য পাবেন।

উত্তরপ্রদেশের বাইঙ্গান কি লঞ্জে:

আপনি অবশ্যই বাইঙ্গান কা ভর্তা, বাইঙ্গান মসলা, বাইঙ্গান কারি বা বারওয়া বাইঙ্গানের স্বাদ পেয়েছেন। কিন্তু বেগুন দিয়ে তৈরি এই চমকপদ খাবারটি আপনি আগে কখনো দেখেননি।

বেগুন একটি টেঞ্জি মসলা দিয়ে ভরা, বাইঙ্গান কি লঞ্জে তার সত্যিকারের অর্থে একটি মুখরোচক জলখাবার। আবার এই খাবারটির বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতাও রয়েছে।

উত্তরাখণ্ডের বাল মিঠাই:

মনেপরে সেই পাহাড়ি বন্ধুকে, যে প্রতি গ্রীষ্মের ছুটির পরে তার টিফিন বক্সে ছোট ছোট বল দিয়ে তৈরী একরকমের মিষ্টি আনত। তাহলে আপনি ঠিক অনুমান করেছেন যে সেটি বাল মিঠাই-ই ছিল।

একটি মিষ্টির রেসিপি যা আপনি উত্তরাখণ্ডের প্রতিটি মিষ্টির দোকানে পাবেন। বাল মিঠাই দেখতে খুবই সুন্দর।

এইগুলি হল আমাদের অনন্য রান্নার তালিকা যা আপনি শুধুমাত্র ভারতে পাবেন। আমরা যদি এর মধ্যে কোনো খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকি তবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই খাবার গুলির স্বাদ আমাদের পেতেই হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button