Bangladesh News: ঢাকায় খালেদা জিয়ার সাথে বৈঠক করল পাকিস্তানের কূটনীতিকরা, তবে কী ফের একবার ভারত-বিরোধী শক্তির আখড়া হয়ে উঠছে পদ্মাপাড়?
এক সময় পাকিস্তানের বর্বর অত্যাচার থেকে মুক্তি পেতে পৃথক বাংলাদেশের জন্ম হয়েছিল। আর বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পিছনে ভারতের ভূমিকা কী ছিল, তা গোটা বিশ্ব জানে। তবে আজকের বাংলাদেশের কট্টরপন্থীরা সেই ইতিহাস ভুলে গেছে বললেই চলে।
Bangladesh News: খালেদা জিয়ার আমলে ঢাকায় সক্রিয় হয়ে উঠেছিল পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই
হাইলাইটস:
- ২০০১ থেকে ২০০৬ অবধি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন খালেদা জিয়া
- সেই সময় ভারত-বিরোধী শক্তিগুলির আখড়া হয়ে উঠেছিল পদ্মাপাড়
- পাকিস্তানের কূটনীতিকদের সাথে ঢাকায় বৈঠক করলেন খালেদা জিয়া
Bangladesh News: বাংলাদেশের ইউনূস সরকারের ভারত-বিদ্বেষী অবস্থান যেন দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে এবার বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় পাকিস্তানের কূটনীতিবিদদের সঙ্গে গোপন বৈঠক করলেন বিএনপি দলের প্রধান খালেদা জিয়া (Khaleda Zia)। যা দেখে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে, খালেদা জিয়া বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন, যেভাবে সেখানে পাক-জঙ্গিদের আখড়া হয়ে উঠেছিল, সেই অধ্যায় কি পুনরায় ফিরতে চলেছে পদ্মাপাড়ে?
We’re now on WhatsApp – Click to join
এক সময় পাকিস্তানের বর্বর অত্যাচার থেকে মুক্তি পেতে পৃথক বাংলাদেশের জন্ম হয়েছিল। আর বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পিছনে ভারতের ভূমিকা কী ছিল, তা গোটা বিশ্ব জানে। তবে আজকের বাংলাদেশের কট্টরপন্থীরা সেই ইতিহাস ভুলে গেছে বললেই চলে। কারণ প্রতিনিয়ত ভারতের বিরুদ্ধে বিষ উগরে দিচ্ছে বাংলাদেশের বর্তমান সরকার (মহম্মদ ইউনূস)।
এই রকম গুরুত্বপূর্ণ পরিস্থিতিতে আরও একটি তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় সামনে এসেছে। ঢাকায় পাকিস্তানের কূটনীতিবিদদের সঙ্গে গোপন বৈঠক করলেন বিএনপি দলের প্রধান তথা বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। শেখ হাসিনার পদত্যাগের পড়ে পদ্মাপাড়ে মৌলবাদীরা হিন্দুদের উপর অত্যাচার চরমে উঠেছে।
We’re now on Telegram – Click to join
বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে এদিন ঢাকায় সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ। সূত্রের খবর, প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে চলে এই বৈঠক। যার ফলে অনেকেই মনে করছেন, বাংলাদেশের মধ্যে ভারত-বিদ্বেষের সুযোগ নিয়ে কলকাঠি নাড়তে শুরু করে দিয়েছে ভারতের চির শত্রু পাকিস্তান। তবে এই আশঙ্কাটা মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছিল, যখন হাসিনা সরকারের পতনের পর, খালেদা জিয়াকে গৃহবন্দি দশা থেকে মুক্তি মিলেছিল। একথা কম বেশি সকলেই জানেন যে, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের সঙ্গে যতটা সুসম্পর্ক রেখেছিলেন, ঐতিহাসিকভাবে বিএনপি ও জামাত ঠিক ততটাই পাকিস্তানের অতি ঘনিষ্ঠ।
২০০১ থেকে ২০০৬ সাল অবধি খালেদা জিয়ায় হাতেই ছিল বাংলাদেশের শাসনভার। সে সময় পদ্মাপাড়ে ভারত-বিরোধী শক্তিগুলোর আখড়া হয়ে উঠেছিল। সেই সময় রাজধানী ঢাকায় সক্রিয় হয়ে উঠেছিল পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। ভারতের বিরুদ্ধে একের পর এক জঙ্গি হামলার ছক করতো তারা। খালেদা জিয়ার আমলেই উত্তর-পূর্ব ভারতের একাধিক জঙ্গিগোষ্ঠীও তাদের বেস ঢাকায় সরিয়ে নিয়ে যায়। এমনকি আইএসআই মদতপুষ্ট জঙ্গিরা ভারতে ঢুকত বাংলাদেশের রাস্তা দিয়েই। এবার হাসিনা সরকারের পতনের পর, আবার সক্রিয় খালেদা জিয়া। এর ফল কী হতে পারে, তা এদিনের বৈঠকের ছবি দেখে স্পষ্ট।
তবে শুধু পাকিস্তান নয়, চিনও এখন বাংলাদেশে জমি তৈরি করতে সক্রিয় অবস্থান করছে। হাসিনা সরকারের পতনের পর গত অক্টোবর মাসে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে থাকা চিনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। এবার প্রশ্ন উঠছে, ফের একবার কী বাংলাদেশের মাটিকে কাজে লাগিয়ে ভারতকে কোণঠাসা করতে চাইছে? এই প্রেক্ষাপটে নরেন্দ্র মোদী সরকার আন্তর্জাতিকস্তরে বাংলাদেশের নতুন করে চাপ তৈরি করবে কী না, তা বলবে সময়।
এই রকম বাংলাদেশ সম্পর্কিত প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।