Travel

Sikkim Tour: সিল্ক রুট দেখতে জুলুক যাচ্ছেন? সঙ্গে ঘুরে নিন এই ৫ জায়গাও, তালিকায় নাথু লা পাসও রয়েছে

জুলুক এমনিতেই বাঙালি পর্যটকদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। বিশেষ করে জিগ-জ্যাগ রাস্তার জন্য জুলুকের নাম-ডাক। তবে এটাই একমাত্র কারণ নয়। এই সময় এই জুলুকের জিগ-জ্যাগ রাস্তার দু’ধার বরফে ঢাকা থাকে। সেই সঙ্গে জুলুকের ভিউ পয়েন্টে দাঁড়িয়ে দেখা মেলে অপূর্ব কাঞ্চনজঙ্ঘার।

Sikkim Tour: শীতকালে সিকিম গেলে আপনি তুষারপাতের সাক্ষী হতে পারেন

 

হাইলাইটস:

  • স্নো ফলস দেখতে চাইলে পুরোনো সিল্ক রুটকে বেছে নিতে পারেন
  • তুষারপাত দেখার জন্য পূর্ব সিকিমের জুলুকের চেয়ে ভালো ডেস্টিনেশন আর হয় না
  • জুলুক গেলে অবশ্যই যান এই ৫টি জায়গায়

Sikkim Tour: বাঙালির কাছে পাহাড় মানেই দার্জিলিং কিংবা সিকিম। এই সময় সিকিম গেলেই উপরি পাওনা হতে পারে স্নো ফলস। ইতিমধ্যে সিকিমের অধিকাংশ জায়গায় বরফ পড়তে শুরু করে দিয়েছে। ফলে পর্যটকরা অতি উৎসাহের সাথে সিকিম পাড়ি দিচ্ছেন। এই শীতই হল পূর্ব সিকিমের জুলুক বেড়াতে যাওয়ার আদর্শ সময়। সিকিমের একটি ছোট্ট হ্যামলেট জুলুক (Zuluk)।

We’re now on WhatsApp – Click to join

এমনিতেই এই ডেস্টিনেশন বাঙালি পর্যটকদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। বিশেষ করে জিগ-জ্যাগ রাস্তার জন্য জুলুকের নাম-ডাক। তবে এটাই একমাত্র কারণ নয়। এই সময় এই জুলুকের জিগ-জ্যাগ রাস্তার দু’ধার বরফে ঢাকা থাকে। সেই সঙ্গে জুলুকের ভিউ পয়েন্টে দাঁড়িয়ে দেখা মেলে অপূর্ব কাঞ্চনজঙ্ঘার। আপনি যদি তুষারপাতের দেখার অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে চান, তবে জুলুকই হতে পারে আপনার সেরা ডেস্টিনেশন। শুধু জুলুক নয়, আপনি যদি পুরোনো সিল্ক রুটে বেড়াতে যেতে চান, তবে এই ৫টি জায়গাও ঘুরে দেখতে পারেন।

লাংথাং: পূর্ব সিকিমের এই পুরোনো সিল্ক রুটে আগে রেশমের ব্যবসা হত। এখন সেই রাস্তাই বর্তমানে অন্যতম পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। এই রেশম পথের দিকে অল্প পা বাড়ালেই দেখা যাবে লাংথাং গ্রাম। জুলুক ছাড়িয়েই রয়েছে এই সুন্দর পাহাড়ি গ্রাম। আকাশ পরিষ্কার থাকলে এখানে থেকেও দেখা মেলে কাঞ্চনজঙ্ঘার।

We’re now on Telegram – Click to join

থাম্বি ভিউ পয়েন্ট: জুলুকের যে প্রান্তে দাঁড়িয়ে স্লিপিং বুদ্ধা, মেঘেদের আনাগোনা, সূর্যোদয় এবং জিগ-জ্যাগ রোডের সৌন্দর্য দেখা যায়, সেটাই হল থাম্বি ভিউ পয়েন্ট।

নাথাং ভ্যালি: পূর্ব সিকিমের সবচেয়ে সুন্দর গ্রাম হল নাথাং ভ্যালি। এই গ্রামে গুটি কয়েক মানুষের বাস হলেও আতিথেয়তার কোনো অভাব রাখেন না তারা। শীতকালে দু’ধারে খয়েরি ঘাস বরফের চাদরে ঢাকা থাকে। জুলুক থেকে প্রায় ৪৫ মিনিট সময় লাগে নাথাং ভ্যালি যেতে। শীতকালে এই উপত্যকাও বরফের মোড়া থাকে।

মেনমেচো হ্রদ: জুলুক থেকে ঘণ্টাখানেক গেলেই দেখতে পাবেন মেনমেচো হ্রদ। সিকিমের মধ্য দিয়ে যে রংপো নদী বয়ে গিয়েছে, তারই উৎস হল এই হ্রদ। তবে শীতকালে অবশ্য বরফ জমে থাকে এই হ্রদের উপর। এই হ্রদ থেকে মাত্র ৪ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত বাবা মন্দির।

Read more:- তুষারপাত দেখার কী খুব ইচ্ছে? রয়েছে বাড়ির পাশে এই ৩ ডেস্টিনেশন

নাথু লা: গ্যাংটক থেকে বেশিরভাগই নাথু লা বেড়াতে যান। তবে আপনি যদি চান জুলুক থেকেও এটি ঘুরে দেখে নিতে পারেন। ইন্দো-চিন সীমান্তে অবস্থিত প্রায় ১৩ হাজার ফুট উঁচু এই পাস। তবে শীতকালে এই জায়গা বরফে ঢাকা থাকে। শুধু তাই নয়, ডিসেম্বরের শেষ থেকে ফেব্রুয়ারি মাঝামাঝি পর্যন্ত ভারী তুষারপাতের জেরেও রাস্তা বন্ধ থাকে। এখানে অক্সিজেনের অভাবও হতে পারে তাই যাদের শ্বাস প্রশ্বাস নিতে সমস্যা হয়, তারা এই জায়গাটি লিস্ট দিয়ে বাদ দিন।

এই রকম ভ্রমণ সংক্রান্ত প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button