How Samosa Came To India: আজকের নিবন্ধে সিঙাড়া সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য জেনে নিন
হাইলাইটস:
- ভারতে প্রতি ১০০ কিলোমিটার ছাড়া ছাড়া সিঙাড়ার স্বাদ বদলে যায়
- দিল্লির সুলতান মহম্মদ বিন তুঘলক সিঙাড়া খেতে ভালোবাসতেন
- তথ্য অনুযায়ী, ১৩ থেকে ১৪ শতকের মধ্যে ভারতে সিঙাড়ার অবির্ভাব হয়
How Samosa Came To India: এই খাস্তা, সুস্বাদু এবং সর্বত্র সহজলভ্য সিঙাড়া শুধুমাত্র ভারতে নয়, সারা বিশ্বে খুব জনপ্রিয়, কিন্তু আপনি কি জানেন যে এই সুস্বাদু খাবারটি আসলে ভারতীয় নয়? হ্যাঁ, ১৩শ থেকে ১৪শ শতাব্দীর মধ্যে ভারতের মাটিতে আসা সিঙাড়া এখানকার মানুষের এত ভালো লেগেছিল যে অল্প সময়ের মধ্যেই এটি তাদের চা বা টিফিনের সঙ্গী হয়ে ওঠে। আজও বাড়িতে অতিথি এলে সবার মনে প্রথম যে ভাবনাটি আসে তা হল সিঙাড়া পরিবেশন করা। আসুন বিস্তারিত জেনে নেই এই মশলাদার ও সুস্বাদু খাবারটির মজার ইতিহাস (Samosa History)।
We’re now on WhatsApp – Click to join
মধ্যপ্রাচ্য থেকে ভারতে যাত্রা
সিঙাড়া শব্দটি ফরাসি শব্দ ‘সম্মোকসা’ থেকে এসেছে। দশম শতাব্দীর আগে মধ্যপ্রাচ্যে এর উৎপত্তি বলে মনে করা হয়। ইরানি খাবার ‘সামবুসাক’ (Sambusak) থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এটি ভারতে ‘সিঙাড়া’-তে রূপান্তরিত হয়। অনেক জায়গায় একে সম্বুসা (Sambusa) বা সামুসাও (Samusa) বলা হত।
সিঙাড়ার ত্রিভুজাকার আকৃতির পেছনে কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ নেই, তবে এটি মধ্যপ্রাচ্য, বিশেষ করে ইরানের সংস্কৃতি দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে। ১১ শতকের ঐতিহাসিক আবুল-ফজল বায়হাকী তার লেখায় প্রথমবারের মতো এমন একটি নোনতা খাবারের কথা উল্লেখ করেছেন, যেখানে মাংসের কিমা এবং মাওয়া ভরা ছিল। এটি ইঙ্গিত দেয় যে সিঙাড়ার মতো খাবারগুলি দীর্ঘকাল ধরে মধ্যপ্রাচ্যে জনপ্রিয় ছিল।
We’re now on Telegram – Click to join
ভারতীয় মশলা দ্বারা সিঙাড়ার স্বাদ বৃদ্ধি
ভারতে আসার পর ভারতীয় মশলার সঙ্গে সিঙাড়ার যুগলবন্দী হয়। এর মধ্যে আলুর স্টাফিং ব্যবহার করা শুরু হয় এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই এটি ভারতীয়দের প্রিয় খাবার হয়ে ওঠে। আজকাল সব জায়গায় সহজলভ্য সিঙাড়া। আপনি রাস্তার পাশের স্টলে বা কোনো অভিনব রেস্তোরাঁয় দাঁড়িয়ে থাকুন না কেন, সিঙাড়া আপনি পেয়েই যাবেন। শুধু তাই নয়, আজ আপনি বাজারে অনেক রকমের সিঙাড়া পাবেন যেগুলো ধনে পাতা বা পুদিনা পাতা কিংবা তেঁতুলের চাটনির সাথেও পরিবেশন করা হয়।
এই বিশেষ পদটি ইরানের উপহার
এ দেশে সিঙাড়া আসলে ইরান থেকে এসেছে। একটি মজার গল্প হল, ১০ শতকে মাহমুদ গজনভির দরবারে, মাংসের কিমায় ভরা একটি রাজকীয় পেস্ট্রি পরিবেশন করা হয়েছিল। যার সাথে আজকের সিঙাড়ার সাথে অনেকটাই মিল ছিল। আপনাদের জানিয়ে রাখি, মধ্যপ্রাচ্যের মানুষ বাণিজ্য ও যুদ্ধের জন্য বিভিন্ন দেশে যেত। এ সময় তারা তাদের সঙ্গে স্থানীয় খাবার নিয়ে যেত, যা ধীরে ধীরে সেসব দেশে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
এইরকম আরও তথ্য পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।