Viral News: জানেন কী এশিয়ার সবচেয়ে শিক্ষিত গ্রাম রয়েছে আমাদের দেশেই? যেই গ্রামের ৮০ শতাংশ পরিবারের একজন করে সদস্য সরকারি কর্মচারী
Viral News: এই গ্রামের অধিকাংশ মানুষই শিক্ষিত
হাইলাইটস:
• এশিয়ার সবচেয়ে শিক্ষিত গ্রাম ভারতের বুকেই অবস্থিত
• যে গ্রামের ৮০ শতাংশ পরিবারের একজন করে সদস্য সরকারি কর্মচারী
• জেনে নিন এই শিক্ষিত গ্রামটির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য
Viral News: গ্রাম মানেই আমরা বুঝি হয়তো চাষবাস, দারিদ্রতা এবং সর্বোপরি অশিক্ষা। কিন্তু যখন সেটি ভারতীয় গ্রাম তখন তো কোনও কথাই হবে না। আমাদের মধ্যে একটা নিজস্ব ধারণা কাজ করে, গ্রামের মানুষ চাষবাস করেই জীবনযাপন করেন। যার ফলে শিক্ষা তো দূর অত্যন্ত দারিদ্রতার মধ্যে তাদের দিন কাটে।
তবে আমাদের দেশের মধ্যেই এমন একটি গ্রাম রয়েছে, যে গ্রামে শুধু মাত্র ভারতেই নয়, এশিয়ার মহাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শিক্ষিত মানুষ থাকেন। কী মশাই ভাবতে অবাক লাগছে? হ্যাঁ, অবাক লাগাতাই স্বাভাবিক। তবে একথা সত্যি যে আমাদের দেশের মধ্যেই এমন একটি গ্রাম রয়েছে যে গ্রামে জন্ম হয়েছে, দেশের আইপিএস থেকে ডাক্তার, বিজ্ঞানী থেকে ইঞ্জিনিয়ার, সব তাবড় তাবড় দিকপালের।
সমাজ এবং সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সবথেকে বেশি যা সাহায্য করে তা হল শিক্ষা। আর এই গ্রাম হল সেই সংস্কৃতির নিদর্শন। কারণ এই গ্রামের ৮০ শতাংশ পরিবারের একজন করে সদস্য সরকারি অথবা কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী পদে নিযুক্ত।
উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের আলিগড় জেলায় রয়েছে এই শিক্ষিত গ্রামটি। এশিয়ার এই শিক্ষিত গ্রামটির নাম হল ধোরা মাফি। এই গ্রামের জনসংখ্যা প্রায় ১১-১২ হাজার। আর তার মধ্যে ৯০ শতাংশই শিক্ষিত। ২০০২ সালে লিমকা বুক অফ রেকর্ডে এই গ্রামের প্রায় ৭৫ শতাংশ মানুষ শিক্ষিত হওয়ার জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। একটি রিপোর্টে প্রমাণিত, আজ থেকে প্রায় পাঁচ বছর আগে এই গ্রামে চাষবাস বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এই গ্রামের মানুষ তাদের জীবিকা নির্বাহের জন্য শিক্ষাকেই বেছে নিয়েছেন। যার ফলে আজকের দিনে দাঁড়িয়ে দেশের একাধিক তাবড় তাবড় বিজ্ঞানী, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, অধ্যাপক এবং আইএএস অফিসারের জন্ম হয়েছে এই গ্রামেই।
তবে শুধুমাত্র শিক্ষিত গ্রাম নয়, দেশের সবথেকে উন্নত গ্রামের তালিকাতেও এই গ্রামটি রয়েছে। এই গ্রামে প্রায় ২৪ ঘন্টাই বিদ্যুৎ এবং জল সরবরাহের ব্যবস্থা রয়েছে। রয়েছে একাধিক ইংরেজি মাধ্যম স্কুল এবং কলেজ। এই গ্রামেই একেবারেই নিকটে রয়েছে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়। যা গ্রামবাসীদের কাছে উচ্চশিক্ষার অন্যতম পীঠস্থান। আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ফাইজ মুস্তাফা এই গ্রামেরই বাসিন্দা। এছাড়া এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শাদাব বানো এবং অধ্যাপক ডাঃ নাইমা গুরেজও এই গ্রামেই থাকেন। এছাড়া আইএএস অফিসার ডাঃ সিরাজও এই গ্রামেরই জন্মগ্রহণ করেন। সুতরাং বলা যায় এই গ্রামের বিন্দু বিন্দুতে রয়েছে শিক্ষা। কারণ এই গ্রামের বাসিন্দারা কৃষিকাজের বদলে শিক্ষাকে বেছে নিয়েছেন জীবিকা নির্বাহের জন্য।
এই গ্রামের প্রধান ডাঃ নুরুল আমিন বলেছেন, “এই গ্রামের অন্যতম সেরা বিষয় হল বাসিন্দাদের মধ্যে একান্ত ভ্রাতৃত্ববোধ এবং সম্প্রীতি।” কারণ বছরের পর বছর ধরে বিভিন্ন সম্প্রদায় ও গোষ্ঠীর মানুষ এই গ্রামে বসবাস করছেন কোনও বৈষম্য ছাড়াই। আর এটাই হল এই গ্রামের বিশেষত্ব। তাই তো ভারতের অন্যান্য গ্রামগুলির থেকে এই গ্রামটি এতটা বেশি উন্নত।
এইরকম ভাইরাল আরও খবর পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।