Best Travel in Monsoon: বর্ষার বিদায়পর্বে ব্যাগপত্র গুছিয়ে বেরিয়ে পড়ুন দেশের দুই রাজ্যের এই দুই গন্তব্যস্থানে
Best Travel in Monsoon: বর্ষায় আরও বেশি সবুজ হয়ে উঠে পূর্বঘাট ও পশ্চিমঘাট পর্বতমালা
হাইলাইটস:
- বর্ষার বিদায়পর্বে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে চান?
- তবে বেছে নিতে পারেন অন্ধপ্রদেশের অনন্তগিরি এবং মহারাষ্ট্রের মালসেজ ঘাট
- তবে কি ভাবে যাবেন জানতে প্রতিবেদনটি পড়ুন
Best Travel in Monsoon: সেপ্টেম্বর মানেই আর মাত্র কয়েকদিন পড়েই দুর্গাপুজো। তাই পুজোর আগে বর্ষার বিদায় বেলাতে ঘুরে নিতে পারেন দেশের এই দুই রাজ্যের এমন দুটি বিখ্যাত ভ্রমণ গন্তব্য। যেখানে পাহাড়, ঝর্না মিলেমিশে একাকার। তাই প্রকৃতির ছুটে যেতে পারেন অন্ধপ্রদেশের অনন্তগিরি এবং মহারাষ্ট্রের মালসেজ ঘাট অপূর্ব সৌন্দর্য উপভোগ করতে।
We’re now on WhatsApp – Click to join
অন্ধপ্রদেশের অনন্তগিরি
পূর্বঘাট পর্বতমালা বর্ষাকালে আরও বেশি অপূর্ব হয়ে উঠে। অন্ধপ্রদেশেই বিশাখাপত্তনম এবং আরাকু ভ্যালির মধ্যে রয়েছে এ রাজ্যের অন্যতম শৈল শহর অনন্তগিরি। অনেকে তো আবার একে আরাকু ভ্যালির অংশ হিসাবেই মনে করেন। আপনি যদি বিশাখাপত্তনম থেকে ট্রেনে চড়ে আরাকু ভ্যালি যাওয়ার কথা ভাবেন, তবে অবশ্যই বেছে নেবেন ভিস্তাডোম কোচ। তবেই এই বিশেষ কোচে বসে উপভোগ করতে পারবেন আরাকু ভ্যালির পাহাড়ি সৌন্দর্য। এখানকার অন্যতম আকর্ষণ হল বোরা গুহা। বছরের অন্যান্য সময়ে অনন্তগিরির একটি আকর্ষণ যদি বোরা গুহা হয়, তা হলে বর্ষার বিদায়পর্বে এখানে আসার প্রধান আকর্ষণ হবে কাতিকা জলপ্রপাত এবং টাটিগুড়া জলপ্রপাত।
কী ভাবে যাবেন?
হাওড়া থেকে ট্রেনে করে সোজা পৌঁছে যাবেন বিশাখাপত্তনম। তারপর সেখান থেকে আবারও অন্য ট্রেনে বোরা গুহা পৌঁছনো যায়। তবে আপনি যদি চান সড়কপথেও অনন্তগিরি যেতে পারেন।
কোথায় থাকবেন?
অন্ধপ্রদেশের পর্যটন দফতরের নিজস্ব থাকার জায়গা রয়েছে, অনন্তগিরি, হরিতা রিসোর্ট। তবে বর্তমানে অনেক বেসরকারি হোটেলও আছে।
We’re now on Telegram – Click to join
মহারাষ্ট্রের মালসেজ ঘাট
আমরা সকলেই জানি, বর্ষাকালে নতুন রূপে সেজে ওঠে পশ্চিমঘাট পর্বতমালা। তবে সেই ছোঁয়া অব্যাহত থাকে বর্ষার বিদায়বেলাতেও। বিশেষ করে এই সময় মহারাষ্ট্র হয়ে উঠে রূপকথার রাজ্য। তাই তো মহারাষ্ট্রের একাধিক পর্যটনকেন্দ্রে ভিড় জমায় হাজার হাজার মানুষ। পাহাড়, জঙ্গল ও ঘন সবুজের মেলবন্ধনে মহারাষ্ট্রের থানে জেলার অন্যতম শৈলশহর মালসেজ ঘাট যেন তার মধ্যেই একটি। মহারাষ্ট্রের অন্যতম ব্যস্ত শহর পুণে থেকে জুন্নার হয়ে মালসেজ ঘাটের দূরত্ব প্রায় ১২৫ কিমি। এখানকার প্রধান আকর্ষণ হল নানেঘাট রিভার্স ওয়াটারফলস। মালসেজ ঘাট থেকে এর দুরুত্ব প্রায় দেড় ঘণ্টা। আপনি চাইলে এখান থেকেই পাহাড়ি পথে হেঁটে ঘুরে নিতে পারেন জীবধন ও শিবনেরি দুর্গ। ইতিহাস বলে, এই দুর্গেই নাকি মারাঠা সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা শিবাজির জন্মস্থান।
Read more:- এই বর্ষায় শান্ত পরিবেশ এবং একটি আরামদায়ক ভ্রমণের জন্য এই সেরা গন্তব্যগুলি বেছে নিন এখনই
কী ভাবে যাবেন?
হাওড়া বা শিয়ালদা থেকে ট্রেনে করে সোজা চলে যাবেন কল্যাণ স্টেশন। তারপর সেখান থেকে মালসেজ ঘাট মাত্র ৮৭ কিলোমিটার। তবে নিকটবর্তী বিমানবন্দর রয়েছে পুণেতে।
কোথায় থাকবেন?
মহারাষ্ট্র পর্যটন দফতরের অধীনে এমটিডিসি মালসেজ ঘাট রয়েছে পর্যটকদের থাকার জন্য। এছাড়াও বেশ কিছু হোটেল, লজ পেয়ে যাবেন।
এইরকম ভ্রমণ সংক্রান্ত প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।