Abhishek Banerjee in Nadia: নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ থেকে পঞ্চায়েতের নির্বাচনী প্রচার শুরু করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, একের পর এক তোপ দাগলেন বাম-কংগ্রেস ও বিজেপির উদ্দেশ্যে
Abhishek Banerjee in Nadia: মঙ্গলবার কৃষ্ণগঞ্জের নির্বাচনী সভা থেকে বাম-কংগ্রেস ও বিজেপিকে নিশানা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
হাইলাইটস:
• মঙ্গলবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ থেকে তাঁর নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন
• রাজ্যের বিরোধী দল গুলির উদ্দেশ্যে একাধিক তোপ দাগেন তিনি
• কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে ১০০ দিনের কাজের টাকা নিয়ে আসার কথা দেন তৃণমূল নেতা
Abhishek Banerjee in Nadia: মঙ্গলবার নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জে প্রথম পঞ্চায়েতের নির্বাচনী সভা করেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল তৃণমূল সুপ্রিমোর সুরেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচার শুরু করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দল গুলিকে একই বন্ধনীর মধ্যে রেখে আক্রমণ করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। অভিষেক বাবু বলেন, ‘‘বিরোধীরা বলছে সবাই এক হয়ে গিয়েছে নরেন্দ্র মোদীকে হারানোর জন্য। আর বাংলায় কী হয়েছে? বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেসের জোট হয়েছে। আপনারা ছবিগুলো দেখেছেন? একাধিক খবরের কাগজে বেরিয়েছে। সমাজমাধ্যমেও চলছে। পোস্টার আর হোর্ডিং লাগিয়েছে। পদ্মফুল ও কাস্তে হাতুড়ি তারা একই পোস্টারে। একই পোস্টারে হাত চিহ্ন, কাস্তে হাতুড়ি তারা ও পদ্মের প্রতীক। কারণ হারাতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।’’
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক গতকাল আরও বলেন, ‘‘এখানে তো তিনটে রাজনৈতিক দল একত্রে হয়েছে। সংবাদমাধ্যম নিয়ে যত কম কথা বলা যায়, তত ভাল। সাথে বিচার ব্যবস্থার একাংশ রয়েছে। রয়েছে সিবিআই, ইডি। তাদের সঙ্গে রয়েছে বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস। রামধনু জোট হয়েছে। তার সাথে যোগ হয়েছে এসএফআইও এবং আয়কর দফতর।’’ সোমবার কোচবিহারের নির্বাচনী সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘‘দিল্লিতে বিজেপির বিরুদ্ধে মহাজোটের চেষ্টা করছি আমরা। আর এ রাজ্যে সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপির মহাঘোঁট হয়েছে। ভেঙে দেব এই মহাঘোঁট, দিল্লিতে মহাজোটই হবে। অনেক অত্যাচার করেছে সিপিএম, সিপিএমকে আর ফেরাবেন না। বিজেপির দোসর কংগ্রেস, ওদের ভোট দেবেন না।’’ মঙ্গলবার নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের নির্বাচনী সভা থেকে একই সুরে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও আক্রমণ করেছেন বিজেপি এবং বামফ্রন্ট-কংগ্রেসকে।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট দেওয়ার প্রসঙ্গে অভিষেক বাবু বলেন, ‘‘ভোটারদের ভোট দেওয়ার সময় মনে রাখতে হবে, সিপিএম কংগ্রেস তো জোট করেই লড়ছে। আবার কোথাও কোথাও পৃথক ভাবে প্রার্থী দিয়েছে। কোথাও আবার সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপির মধ্যে জোট হয়েছে। মাত্র এক জন বিরোধী প্রার্থী রয়েছে। এই তিনটি দলই আপদ আর বিপদ। আর নিরাপদ হচ্ছে জোড়াফুল। আপনাদের নিজেদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে আপনাদের ভোট আপদে না বিপদে, না নিরাপদে।’’
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী পটনায় বিজেপি বিরোধী জোটের বৈঠকে যোগ দিতে গিয়েছিলেন। সেই সফরে তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ডও তাঁর সঙ্গী হয়েছিলেন। সেই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিও। সেই ছবি প্রকাশ্যে এলে বিজেপি আক্রমণ শুরু করে। বিজেপির পক্ষ থেকে বলা হয়, বিজেপির বিরুদ্ধে কংগ্রেস-সিপিএম ও তৃণমূল একজোট হয়েছে। এর পাল্টা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে নেমে তিন বিরোধী দলের জোটকে মহাঘোঁট বলে আক্রমণ করেছেন। আর মঙ্গলবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও তাঁর দলনেত্রীর দেখানো পথে হেঁটে পঞ্চায়েত ভোটের নিচুতলায় হওয়া বাম-কংগ্রেস-বিজেপির ‘জোট’কে আক্রমণ শানালেন।
কৃষ্ণগঞ্জের সভা থেকে পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলগুলির উদ্দেশ্যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একের পর এক তোপ দাগলেন। গতকাল তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর থেকে ১০ গুণ জেদ আমার। দিল্লির বুক থেকে ১০০ দিনের কাজের টাকা ছিনিয়ে আনবই। বিজেপি নেতারা কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। ফুলে ফেঁপে উঠেছে মানুষের টাকা মেরে। যদি কোনো বিজেপির নেতা ভোট চাইতে আসে, তাঁকে জিজ্ঞেস করুন, কি কাজ করেছেন শেষ চার বছরে? রিপোর্ট কার্ড কোথায়? জেনে রাখুন বিজেপি আসলে উন্নয়ন বাধাপ্রাপ্ত হবে। দেশে ২হাজার টাকার নোট এনেছিল। কেন বদল করতে হল আজ? মোদিজী আপনার দৃষ্টিভঙ্গী বদলান।”
বিজেপিকে আক্রমণ করতে গিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, “গদ্দার, মীরজাফর বিজেপিতে৷ বিজেপির সব আছে কিন্তু মানুষ নেই৷ ইডি, সিবিআই নেই আমাদের কাছে৷ কিন্তু আছে মানুষ। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য হাইকোর্টকে ধন্যবাদ জানাই। ৫ জন করে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিন প্রতি বুথে। এতে আরো বাড়বে তৃণমূলের ভোট, বিজেপির ভোট কমবে। এবারে পঞ্চায়েতে ১০০ শতাংশ মনোনয়ন হয়েছে। গতবার ৩৪% আসনে নির্বাচন হয়নি।”
এইরকম পঞ্চায়েত নির্বাচন বিষয়ক আরও প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।