Bangla News

Load Shedding: লোডশেডিং রুখতে এবার কড়া রাজ্য সরকার, বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের তোপের মুখে বিদ্যুৎ বণ্টনকারী সংস্থা CESC

Load Shedding: একে তীব্র গরম তার উপর লোডশেডিং, যার ফলে নাজেহাল অবস্থা শহরবাসীর

হাইলাইটস:

• লাগাতার লোডশেডিং-এ নাজেহাল শহরবাসী

• এবার বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের রোষের মুখে বিদ্যুৎ বণ্টনকারী সংস্থা CESC

• মন্ত্রী নির্দেশ দিলেন যেন যুদ্ধকালীন তৎপরতায় পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক করা হয়

Load Shedding: সম্প্রতি বিদ্যুৎ বিভ্রাটে ভুগছেন রাজ্যবাসী। তবে কলকাতা-সহ বিস্তীর্ণ জায়গায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট এখন নিত্যসঙ্গী হয়ে উঠেছে। সকাল, বিকেল এমনকি রাতে শান্তিতে ঘুমাতেও পারছেন না শহরবাসী। একে তীব্র গরম তার উপর লোডশেডিং, যার ফলে নাজেহাল অবস্থা হয়ে উঠেছে শহরবাসীর। এবার বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের তোপের মুখে বিদ্যুৎ বণ্টনকারী সংস্থা CESC।

শহর থেকে জেলা CESC থেকে WBSEDCL মূলত সব জায়গায় একই অবস্থা। যার ফলে এবার নড়েচড়ে বসলো বিদ্যুৎ ভবন। গতকাল নিজের দফতরে CESC-র আগত প্রতিনিধিদের ডেকে এই বিষয় নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। বিদ্যুৎ বণ্টনকারী সংস্থা CESC-এর কর্মকর্তাদের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসেন বিদ্যুৎমন্ত্রী। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিদ্যুৎ সচিব শান্তনু বসুও।

এই উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বিদ্যুৎমন্ত্রীর রোষের মুখে পড়েন CESC-এর কর্মকর্তারা। CESC এলাকায় লোডশেডিং ভোগান্তির জন্য তীব্র ভর্ৎসনা করলেন তিনি। বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস CESC-এর কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন,

তাদের জন্য রাজ্য সরকারের ভাবমূর্তি খারাপ হচ্ছে সাধারণ মানুষের কাছে। শুধু তাই নয়, ওই বৈঠকে CESC-র আওতায় থাকা শহর ও শহরতলির বিভিন্ন এলাকায় ঘন ঘন বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আসল কারণও জানতে চান মন্ত্রী। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে দ্রুত ব্যবস্থাও গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছেন CESC-কে।

সম্প্রতি কলকাতা, হাওড়া, শ্রীরামপুর, ব্যারাকপুর, দমদম-সহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের প্রতিদিনের সমস্যা হয়ে উঠেছে বিদ্যুৎ বিভ্রাট। যার ফলে তড়িঘড়ি বৈঠক ডাকেন বিদ্যুৎমন্ত্রী। সাধারণ মানুষকে সমস্যার কথা ভেবেই গতকালের এই বৈঠক। তবে এর আগেও দুবার বৈঠকে বসেছিলেন বিদ্যুৎমন্ত্রী। তখন তিনি CESC-কে নির্দেশ দিয়েছিলেন, পর্যাপ্ত ট্রান্সফর্মারের ব্যবস্থা করতে হবে। উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ডি জি সেটের ব্যবস্থাও রাখতে হবে। তার পাশাপাশি সর্বত্র সর্বক্ষণ বিদ্যুৎ কর্মীদের প্রস্তুত রাখতে হবে।

বিদ্যুৎ দফতর থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস মন্তব্য করেছেন, ‘‘আপনাদের (CESC) জন্য রাজ্য সরকারের ভাবমূর্তি খারাপ হচ্ছে।’’ সেখানে আরও লেখা হয়েছে, ‘‘এরপর আর যেন কোনও অভিযোগ আমার কাছে বা আমাদের দফতরে না আসে।” সে জন্য সিইএসসি কর্তৃপক্ষকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সমস্যার সমাধান এবং টেকনিক্যাল টিম ও ম্যান পাওয়ার বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ দফতরের তরফে।

সূত্রের খবর, গত ১৫ দিন ধরে কলকাতা-সহ বিস্তীর্ণ জায়গায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ফলে সাধারণ মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়েছে বণ্টন সংস্থা। এবং লাগাতার অভিযোগ জমা পড়তে থাকে বিদ্যুৎ দফতরে। যার ফলে ক্ষুব্ধ বিদ্যুৎমন্ত্রী। অন্যদিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ সংক্রান্ত সমস্যা সম্পর্কিত অভিযোগ জানানোর জন্য কন্ট্রোল রুমও খুলেছিল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগম (WBSEDCL)।

এর আগে বাংলায় বিদ্যুৎ পরিষেবা ঠিক কতটা উন্নত তা নিয়ে রীতিমতো ফলাও করে জানিয়েছিলেন বিদ্যুৎমন্ত্রী। সেই সময় তিনি বলেছিলেন, কেন্দ্রীয় সরকার যখন স্বীকৃতি দেয় তখন কীসের হিসাবে দেন। কারণ বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রথম স্থান পেয়েছে বাংলা। আমাদের কাছে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ রয়েছে। কোথাও কোনও ঘাটতি নেই। কোথাও যান্ত্রিক গোলোযোগ বা কোথাও প্রকৃতির কাছে হেরে গিয়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাট রয়েছে। তবে বর্তমান সরকার লোডশেডিং শব্দটা মুছে দিয়েছে। কিন্তু গরম বাড়তেই বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ঘটনা শোনা গেছে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে।

এর পাশাপাশি বিদ্যুৎমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, “আমি বলছি সবাইকে ১টার জায়গায় ১০টা এসি কিনুন। একটা ওয়াশিং মেশিন কেন ৫টা ওয়াশিং মেশিন কিনুন, ১০টা টিভি লাগান বাড়িতে, কোনও অসুবিধা নেই, শুধু লোডটা বাড়িয়ে নেবেন। আমাদের আধিকারিকদের বলুন সঙ্গে সঙ্গে বাড়িয়ে দেবেন তারা। শুধু মাথায় রাখবেন, একজনের জন্য যেন কয়েকজনের সমস্যা না হয়।” তবে এই কথাতেও যখন কাজ হল না তখন CESC কর্তৃপক্ষ মন্ত্রীর রোষের মুখে পড়ল।

এইরকম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button