শীতের দিনে মধুতে ডুবিয়ে রসুন খেলে মিলবে ৫টি প্রতিকার
শীতকালে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া সংক্রান্ত রোগ দেখা দেয়
বাংলায় শীতের আমেজ শুরু হয়ে গেছে। দিনে দিনে কলকাতায় পারদ কমছে। এমন পরিস্থিতিতে বহু ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া আমাদের চারিদিকে ঘুরছে। এইরকম ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া দিয়ে বাঁচতে রসুন খেতে পারেন মধুতে মিশিয়ে। ঠান্ডা লাগার একদম ধন্বন্তরি প্রতিকার হল মধু ও রসুন। এমনকী ফুসফুসের সমস্যা, অ্যাজমা রোগীর জন্যও ভালো এইগুলি।
শীতের আমেজ গায়ে লাগলেই বেশিরভাগ মানুষ আনন্দে থাকেন। তবে নানা ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া নিজের সাম্রাজ্য বিস্তার করে এই সময়ে। তাই এখন আপনাকে অবশ্যই কিছু এমন খাবার খেতে হবে যা শরীর সুস্থ রাখে। রসুন ও মধু এই সময়ে একসাথে মিশিয়ে খেলে অনেক উপকার মেলে।
এখন ভাইরাল জ্বর নামক রোগটি প্রায় সব বাড়িতেই। আবার ঠান্ডা লাগাও তো রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আপনি মধুতে ডুবিয়ে রসুন খেয়ে নিন। এই দুই খাবারের মেলবন্ধনে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। সেই সমাধানগুলি হল:
১. ইমিউনিটি ক্ষমতা বাড়ায়: বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে, মধু ও রসুন এই দুটি খাবার বাড়াতে পারে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। তাই মধুর সাথে মেশান এক খোয়া রসুন। তারপর এই মিশ্রণটি খেলে ইমিউনিটি ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
২. ঠান্ডা লাগা: শীত পড়ার সাথে সাথে কমবেশি সকলেরই ঠান্ডা লেগে যায়। এবার আপনাকে মাথায় রাখতে হবে যে, এই অসুখের ধন্বন্তরি চিকিৎসা হল মধু ও রসুন। এই দুটি খাবার একদম গলা থেকে শুরু করে গোটা দেহের প্রদাহ কমাতে পারে।
৩. কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়: মধু ও রসুনে রয়েছে ভরপুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। ফলে এইগুলি কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে পারে। তাই আপনি কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে চাইলে দিনে অন্তত একবার মধুতে রসুন মিশিয়ে খেতে পারেন। এইভাবেই সমস্যার সমাধান সম্ভব।
৪. ওজন কমানো: রসুন মানবদেহে বিপাকের হার বাড়াতে পারে। আবার মধু ওজন কমানোর কাজে লাগে। এইরকম পরিস্থিতিতে মধুতে ডুবিয়ে রসুন খেয়ে নিন। প্রতিদিন খেয়ে দেখুন প্রতিকার মিলবেই।
৫. ডায়রিয়া প্রতিরোধ: এখন ডায়ারিয়া হল একটি সাধারণ সমস্যা। এই রোগ দেখা দিলে আগে দিয়েই সতর্ক হন। কারণ এর পিছনে থাকতে পারে ব্যাকটেরিয়া ভাইরাস। এই অসুুখে উপকারী হিসাবে কাজ করে রসুন ও মধু। সেক্ষেত্রে অন্ত্রের জীবাণুকে মেরে ফেলে এই খাবার। তারপর শরীরকে সুস্থ করে তোলে।