Mamata Banerjee on Congress: বায়রনের তৃণমূলে আসা নিয়ে ট্যুইটে তৃণমূলকেই বিঁধলেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা জয়রাম রমেশ, তবে উত্তর দিলেন দলনেত্রীও
সোমবারই বিধানসভায় কংগ্রেসের একমাত্র বিধায়ক বায়রন বিশ্বাস সাগরদিঘি উপনির্বাচনের জেতার তিন মাসের মধ্যেই তৃণমূলে যোগদান করেন।
Mamata Banerjee on Congress: বিধানসভায় কংগ্রেসের একমাত্র বিধায়ক বায়রন বিশ্বাসের দল বদলে ট্যুইটে তৃণমূলকে খোঁচা জয়রাম রমেশের
হাইলাইটস:
• বায়রনের দলবদলে ট্যুইটে তৃণমূলকে খোঁচা জয়রাম রমেশের।
• তবে দলনেত্রীও দিলেন মোক্ষম জবাব।
• বিরোধী ঐক্য এখন কোন পথে দাঁড়িয়ে?
Mamata Banerjee on Congress: সোমবারই বিধানসভায় কংগ্রেসের একমাত্র বিধায়ক বায়রন বিশ্বাস সাগরদিঘি উপনির্বাচনের জেতার তিন মাসের মধ্যেই তৃণমূলে যোগদান করেন। তিনি ঘাটালের জনসভা থেকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে তৃণমূলের দলীয় পতাকা তুলে নেন। ফলে রাজ্যের বিধানসভায় কংগ্রেস আবারও শূন্য আসনেই রয়ে গেল। তবে এবার বায়রন বিশ্বাসকে দলে টানা নিয়ে সরাসরি তৃণমূলকে নিশানা করলেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা জয়রাম রমেশ৷ তিনি ট্যুইট করে অভিযোগ করেন, দলবদলের এই ঘটনা বিরোধী ঐক্যকে দুর্বল করে আদতে বিজেপিরই সুবিধা হয়ে যাচ্ছে৷
Three months after he was elected as a Congress MLA in a historic victory Bayron Biswas has been lured away by the TMC in West Bengal. This is a complete betrayal of the mandate of the people of the Sagardighi Assembly constituency. Such poaching which has happened earlier in…
— Jairam Ramesh (@Jairam_Ramesh) May 30, 2023
ট্যুইটের মাধ্যমে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বুঝিয়ে দিলেন, বায়রন বিশ্বাসের দলবদলকে সর্বভারতীয় কংগ্রেস নেতৃত্ব ভালো চোখে নেয় নি। ট্যুইটারে তিনি লেখেন, ‘ঐতিহাসিক জয় পাওয়ার তিন মাসের মধ্যেই প্রলোভন দেখিয়ে সাগরদিঘির কংগ্রেস বিধায়ক বায়রন বিশ্বাসকে দলে টেনে নিল তৃণমূল৷ এটা সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্রের মানুষের রায়ের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা৷ এর আগেও গোয়া, মেঘালয়, ত্রিপুরা সহ বিভিন্ন রাজ্যে বিধায়ককে দলে টানার এমন ঘটনা ঘটেছে৷ এই কাজ বিরোধী জোটকে শক্তিশালী তো করেই না, উল্টে বিজেপির স্বার্থসিদ্ধি হয়।’ এই ট্যুইটের মাধ্যমে কার্যত তৃণমূললে এক হাত দিলেন তিনি।
তবে গতকাল নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বায়রন বিশ্বাসের দলবদল নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘এ সব বিষয়ে আমি জানি না৷ ব্লক স্তরের কোনও নেতাকে জিজ্ঞেস করুন৷’ আবার অন্যদিকে জয়রাম রমেশের অভিযোগের সরাসরি কোনও জবাব না দিলেও তিনি বলেন, ‘জাতীয় স্তরে আমরা সবাই এক। রাজ্য স্তরে সমস্ত দলকে বুঝতে হবে। রাজ্য স্তরে দলগুলির নিজেদের কিছু বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আমরা শুধু মেঘালয় এবং গোয়ায় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি। কিন্তু যখন কংগ্রেস রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, হিমাচল, গুজরাট, ছত্তিশগড়ে ভোটে লড়েছে, তখন আমরা কোনওভাবে বাধা দিইনি। বরং, আমরা উল্টে সমর্থন করেছি। তাই আমি এই নিয়ে কিছু বলতে চাইছি না।’ এমনকি প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর আক্রমণের জবাবে তাঁকে ধন্যবাদও জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘জয়রাম রমেশজি তৃণমূলের সম্পর্কে এইসব মন্তব্য করার জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানাই। কেউ সমালোচনা করলে তাঁকে ধন্যবাদ জানাই।’
মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানান, বায়রনের তৃণমূলে যোগদানের বিষয়টি নিছকই রাজ্য রাজনীতির অভ্যন্তরীণ বিষয়। এতে জাতীয় স্তরে বিরোধী ঐক্যেও চিড় ধরাবে না। তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন তৃণমূলের সঙ্গে অন্যায় করেছে। ২০২৬ পর্যন্ত মেয়াদ থাকলেও, তার আগেই জাতীয় দলের তকমা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এটা ঠিক নয়।’ জয়রাম রমেশের অভিযোগের ভিত্তিতে মমতার যুক্তি, জাতীয় দলের তকমা বজায় রাখতেও অন্যান্য রাজ্যে ভোটে লড়ার প্রয়োজন পড়ে। অর্থাৎ সব ক্ষেত্রে যে সেটা কংগ্রেসের বিরোধিতা করার জন্য নয়, সেটাই বুঝিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তিনি বলেন, ‘তোমরাই শুধু জাতীয় ফল হবে, বিজেপিই শুধু জাতীয় দল হবে, তা হতে পারে না। আমাদের দল চার-পাঁচটি রাজ্যে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেও জাতীয় দল নয়। এটা শুধু আসন দিয়ে বিচার হয় না, ভোট শতাংশও দিয়েও বিচার হয়। আমি তো চাই তিন চার জায়গায় আমার দল থাকুক যাতে আমাদের জাতীয় দলের মর্যাদাও থাকে।’
সূত্রের খবর, আগামী ১২ই জুন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের নেতৃত্বে পাটনায় প্রথম সম্মিলিত বৈঠকে মিলিত হচ্ছে বিজেপি বিরোধী দলগুলি। বৈঠকে উপস্থিত থাকবে কংগ্রেস, সিপিএম, তৃণমূল সহ ২১টি রাজনৈতিক দল। আর ঠিক তার আগে, রাজ্যের একমাত্র বাম সমর্থিত কংগ্রেস বিধায়ক বায়রন বিশ্বাসকে দলে টানল ঘাসফুল শিবির। তবে এখানে তৃণমূলকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। বাংলায় কংগ্রেস হল তৃণমূলের বিরোধী শক্তি। তৃণমূল সর্বদাই চাইবে তার পথ কাঁটামুক্ত রাখতে। বিরোধী রাজনৈতিক দলের একাংশের ব্যক্তিগত লোভ, সুবিধার রাজনীতি ও আনুগত্যের অভাব রয়েছে। ফলে তৃণমূলকে দোষ না দিয়ে কংগ্রেসের উচিত তাদের দুর্বলতার দিকটি পর্যবেক্ষণ করা।
এইরকম রাজনৈতিক বিষয়ক প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।