Abhishek Banerjee: বিনা অনুমতিতে জাতীয় সড়কে মিছিলের প্রতিবাদে এবার অভিষেকের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে দ্বারস্থ শুভেন্দু
সামনেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। ফলে গ্রামবাংলার মানুষকে উজ্জীবিত করতে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে আনা হয়েছে তৃণমূলে নবজোয়ার কর্মসূচি। যার নেতৃত্বে রয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
Abhishek Banerjee: বাকযুদ্ধ ছেড়ে এবার সরাসরি আইনি পথে অভিষেকের বিরুদ্ধে লড়াই শুভেন্দুর
হাইলাইটস:
• অনুমতি না নিয়ে জাতীয় সড়কে মিছিলের প্রতিবাদে এবার হাইকোর্টে দ্বারস্থ শুভেন্দু
• অভিষেকের জনসংযোগ যাত্রা আবারও বাধার মুখে
• বাকযুদ্ধ ছেড়ে এবার সরাসরি অভিষেকের বিরুদ্ধে আইনি পথে শুভেন্দু
Abhishek Banerjee: সামনেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। ফলে গ্রামবাংলার মানুষকে উজ্জীবিত করতে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে আনা হয়েছে তৃণমূলে নবজোয়ার কর্মসূচি। যার নেতৃত্বে রয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দুই মাসব্যাপি এই কর্মসূচি ইতিমধ্যে একমাস সম্পূর্ণ করেছে। তবে মাঝে কুন্তল ঘোষের চিঠি সংক্রান্ত মামলায় সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব মিটিয়ে দ্বিতীয় দফায় শুরু হয়েছে নবজোয়ার কর্মসূচি। অভিষেক বাঁকুড়া থেকেই দ্বিতীয় দফায় শুরু করেন তাঁর জনসংযোগ যাত্রা। তবে আবারও বাধার মুখে এই কর্মসূচি।
বিনা অনুমতিতে জাতীয় সড়কে মিছিল করছেন অভিষেক, এই অভিযোগ এনে কলকাতা হাইকোর্টে দ্বারস্থ হলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। গতকাল শুভেন্দুর আইনজীবীর তরফে হাইকোর্টে এই মামলা দায়ের করা হয়। অভিযোগ, চলতি মাসের উত্তর দিনাজপুর জেলার কর্মসূচিতে ইটাহার এবং মুর্শিদাবাদের ফারাক্কায় জাতীয় সড়কে মিছিল করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। ২০২০ সালে শাহিনবাগ মামলায় সুপ্রিম কোর্টের স্পষ্ট নির্দেশ ছিল যে জাতীয় সড়ক, সার্বজনিক স্থান আটকে মিটিং-মিছিল করা যাবে না। এর জন্য প্রশাসনিক অনুমতি নিয়ে নির্দিষ্ট স্থানে সভা-সমিতি করতে হবে। যাতে সাধারণ মানুষের কোনও সমস্যা না হয়। ফলে অভিষেক বিনা অনুমতিতে মিছিল করেছেন। এরই প্রতিবাদে এবার সরাসরি হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করলেন শুভেন্দু।
প্রসঙ্গত, গত ২৪শে এপ্রিল থেকে তৃণমূলের ‘নবজোয়ার কর্মসূচি’তে রাজ্য সফরে বেরিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কোচবিহার থেকে শুরু হয়েছে এই জনসংযোগ যাত্রা। উত্তরবঙ্গ সফর শেষ করে দক্ষিণবঙ্গ হয়ে এই কর্মসূচি এখন জঙ্গলমহলে প্রবেশ করেছে। নবজোয়ার কর্মসূচি চলাকালীন কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, উত্তর এবং দক্ষিণ দিনাজপুর হয়ে চলতি মাসের গোড়ায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে তিনি পৌঁছেছিলেন মালদহে। এর পরে ওই জাতীয় সড়ক দিয়েই মুর্শিদাবাদ জেলার ফরাক্কায় ঢোকেন তিনি। এই পর্বে একাধিক জায়গায় তিনি জাতীয় সড়ক আটকে মিছিল করেন বলে বিজেপির তরফে অভিযোগ আনা হয়েছে।
এইদিকে শুভেন্দু অধিকারীর সভা নিয়ে জটিলতা জারি আছে এখনও। আগামী ২৭শে মে মালদহে শুভেন্দু অধিকারীর সভা করার কথা থাকলেও তাতে মেলেনি অনুমতি। অনুমতি চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন বিরোধী দলনেতা। পুলিশ প্রশাসনের বক্তব্য, কেন ১৫ দিন আগে অনুমতি চাওয়া হল না? শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, অনলাইনে সুযোগ দেওয়া হয়নি, তাই আবেদন পরে করা হয়েছে। ফলে এবার বাকযুদ্ধ ছেড়ে এবার সরাসরি আইনি পথে হাঁটতে চলেছেন শুভেন্দু। হাইকোর্টে শুভেন্দুর আইনজীবীর বক্তব্য, জাতীয় সড়ক আইন বলছে অনুমতি না নিয়ে কেউ রাস্তা আটকে মিছিল করতে পারে না। আগামী ৭ই জুন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে ওই আবেদনের শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
এইরকম রাজনৈতিক বিষয়ক প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।