Mother’s Day 2023: প্রতিবছর কেন পালন করা হয় মাতৃদিবস, জেনে নিন মাতৃদিবসের ইতিহাস, গুরুত্ব এবং তাৎপর্য
Mother’s Day 2023: প্রতি বছর মে মাসের দ্বিতীয় রবিবার পালন করা হয় মাতৃদিবস
হাইলাইটস:
• মা ছাড়া পৃথিবী অন্ধকার
• প্রতিবছর মে মাসের দ্বিতীয় রবিবার পালন করা হয় মাতৃদিবস
• এবছর ১৪ই মে বিশ্বজুড়ে পালিত হবে মাতৃদিবস
Mother’s Day 2023: মানসিক বিকাশ থেকে শুরু করে জীবনের সফলতা প্রতিটি পদক্ষেপেই মায়ের অবদানকে অস্বীকার করার উপায় নেই। সন্তানের জন্য সব থেকে বেশি যে আত্মত্যাগ করতে পারেন সেই মানুষটি হল মা। স্বার্থপর এই দুনিয়াতে নিঃস্বার্থভাবে ওই একটা মানুষই আমাদের ভালোবাসতে পারেন। মা হল জীবনের প্রথম বন্ধু, প্রথম গাইড। সবকিছু সিদ্ধান্তের পিছনে মায়েদের সঠিক পরামর্শ না থাকলে আমাদের বড় হয়ে ওঠাটা হয়তো বড্ড কঠিন হয়ে দাঁড়াত। তাই আমাদের জীবনে তাঁদের অবদান, তাঁদের আত্মত্যাগ, তাঁদের সব কিছুর স্বীকৃতির জন্য প্রতিবছর মে মাসের দ্বিতীয় রবিবার সারা বিশ্বে পালন করা হয় মাতৃদিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো ভারতেও এই দিনটি বেশ ভালোভাবেই উদযাপন করা হয়ে থাকে। এদেশেও প্রতি বছর মে মাসের দ্বিতীয় রবিবারকে বেছে নেওয়া হয় এই বিশেষ দিনটি উদযাপনের জন্য হয়। যেটি এবছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে ১৪ই মে পড়েছে।
মাতৃদিবসের ইতিহাস:
১৯০৮ সাল থেকে বিশ্বজুড়ে এই বিশেষ দিনটির পালন শুরু হয়েছিল। আমেরিকার পশ্চিম ভার্জিনিয়ার বাসিন্দা ছিলেন আন্না জার্ভিস। তাঁর হাত ধরেই শুরু হয়েছিল এই বিশেষ দিনটির উদযাপন। মাতৃদিবস সূচনার জন্যই গোটা বিশ্বজুড়ে তিনি আজও পরিচিত। আন্নার মা অ্যান রিভস জার্ভিস ছিলেন একজন কমিউনিটি হেলথ আইনজীবী। এছাড়াও আরো বেশ কিছু সামাজিক কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তিনি। আর মায়ের কাজ দেখেই অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন আন্না। সমাজে পিছিয়ে পড়া নারী এবং শিশুদের জন্য কাজ করতেন তাঁর মা। মায়ের মৃত্যুর পর মায়ের দেখে যাওয়া স্বপ্নটাই বাস্তব করার চেষ্টা করেন তিনি।
মা অ্যান রিভস জার্ভিসের মৃত্যুর পর মাকে শ্রদ্ধা জানাতে তিনি পশ্চিম ভার্জিনিয়ার আন্দ্রেউজ মেথডিস্ট এপিসকোপাল চার্চে স্মরণসভার আয়োজন করেছিলেন। এখান থেকেই তিনি লড়াই শুরু করেছিলেন মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের রবিবারটি শুধুমাত্র মায়েদের জন্য উৎসর্গ করার জন্য। এরপর এই দিবসটিকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য ব্যাপক প্রচারণা শুরু হয়। এই প্রচারণা ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ কানাডা, মেক্সিকো, চীন, জাপান, দক্ষিণ আমেরিকা ও আফ্রিকায়। অবশেষে এই প্রচারণার প্রেক্ষিতে ১৯১৪ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন মে মাসের দ্বিতীয় রবিবারকে মা দিবস ও জাতীয় ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করেন। এরপর থেকেই প্রতিটি দেশে মায়েদের সম্মান এবং শ্রদ্ধা জানানোর জন্য এই দিনটি উৎসর্গ করা হয়। দেশে দেশে পালন করা হয় মাতৃদিবস।
মাতৃদিবসের গুরুত্ব:
‘মা’ কথাটির মধ্যে যেন এক আলাদাই শান্তি লুকিয়ে আছে। সন্তানের কাছে মায়ের আঁচল হচ্ছে সবচেয়ে নিশ্চিন্ত এবং ভরসার জায়গা। সংসার এবং সন্তানের ভালোর তিনি যে সারাটা জীবন অতিবাহিত করেছেন, এই দিনটায় মাকে জড়িয়ে ধরে বুঝিয়ে দেওয়ার দিন মাকে আমরা ঠিক কতটা ভালোবাসি। মায়ের ঋণ যে শোধ করার না, আমরা সকলেই কৃতজ্ঞ মায়ের কাছে। নিজের কথা না ভেবে যে মানুষটা সবার প্রথমে সন্তানের কথা ভাবেন তাঁর চেয়ে বড়ো শুভাকাঙ্খী আমাদের জীবনে আর কেউ নেই। ফলে এই বিশেষ দিনটি বিশ্বজুড়ে পালিত হয় শুধুমাত্র মায়েদের জন্যই। এই দিনটি বিশ্বের প্রতিটি মাকে সম্মান এবং শ্রদ্ধা জানানোর দিন। আপনিও আপনার মায়ের জন্য এই দিনটি বিশেষভাবে উদযাপন করুন। পারলে কিছু উপহারও দিন তাঁকে। তার সাথে ভালোবাসার পরতে বুঝিয়ে দিন মা ছাড়া আপনি পুরো অন্ধ।
মাতৃদিবসের তাৎপর্য:
প্রত্যেকের জীবনের বেঁচে থাকার জন্যই এক জন মায়ের কিছু না কিছু আত্মত্যাগ থেকেই যায়। আর সেই সব কারণেই মাতৃদিবস পালন করার শুরু হয়েছিল। এই বিশেষ দিনটি বিশ্বজুড়ে মাতৃত্ব এবং মাতৃসত্তার গুরুত্ব এবং তাৎপর্য স্মরণ করে দেয়। আমাদের আবারও একবার স্মরণ করে দেয় পৃথিবীতে আমাদের পদচারণার মূল কাণ্ডারিকে। মায়েরা এই সমাজের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটি বোঝানোর জন্যই উদযাপন করা হয় এই দিনটি। তবে বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতির উপর নির্ভর করে মাতৃদিবস উদযাপনের ধরণ আলাদা আলাদা হয়। কিন্তু এই দিনটার পিছনে থাকা অনুভূতিটা কিন্তু এক। বিশ্বের একাধিক দেশে মাতৃদিবস ছুটির দিন হিসেবে উদযাপন করা হয়ে থাকে। এই বিশেষ দিনটা লড়াকু সমস্ত মায়েদের কুর্নিশ জানানোর দিন।
এইরকম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।