Nirmala Sitharaman: বঙ্গে এসে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর মুখেও শেখ শাহাজাহান প্রসঙ্গ, সেই সঙ্গে দুর্নীতি ইস্যুতে বিঁধলেন মমতা সরকারকেও
Nirmala Sitharaman: বঙ্গ সফরে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে আক্রমণ করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ
হাইলাইটস:
- বাংলায় এসে দুর্নীতি ইস্যুতে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর
- তাঁর মুখেও শোনা গেল শেখ শাহাজাহান প্রসঙ্গ
- সেই সঙ্গে তুলে ধরেন বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের কথাও
Nirmala Sitharaman: গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে আয়োজিত বিকশিত ভারত শীর্ষক নামক এক আলোচনাসভায় যোগ দিতে কলকাতায় এসেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। আর বঙ্গে এসে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর মুখেও শেখ শাহজাহানের প্রসঙ্গ। তবে এখানেই শেষ নয়, যে ১০০ দিনের কাজের টাকা না দেওয়ার জন্য কেন্দ্রকে লাগাতার দুষে চলেছে রাজ্য সরকার, এদিন তা নিয়েও কড়া মন্তব্য করেন তিনি। এমনকি দুর্নীতির ইস্যুকে কেন্দ্র করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকেও আক্রমণ করেন তিনি।
তাঁর স্পষ্ট কথা, ‘‘গরিবের খাবারের টাকার তথ্য পর্যন্ত এরা ভুল পাঠিয়েছে। প্রায় ২৫ লক্ষ ভুয়ো জব কার্ড তৈরি হয়েছে এই বাংলায়। এদের টাকা আমরা কী করে দেব? এটা কী আমার বাপের টাকা নাকি? সরকারের কাছে টাকা আসে পাবলিকের ট্যাক্স থেকে।” নিজের কথার সপক্ষে যথাযত যুক্তি দিয়ে এদিন অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমি যা বলছি কোনওটাই আবেগতাড়িত হয়ে বলছি না। এ তো তথ্য এবং পরিসংখ্যান বলছে৷ দুর্নীতি এবং তোলাবাজির জন্য একের পর এক ইন্ড্রাস্ট্রি বাংলা ছেড়ে ভিনরাজ্যে চলে গেছে। দুর্নীতি থেকে শুরু করে অত্যন্ত খারাপ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, রাজ্য পুলিশের ভূমিকা, সব কিছুতেই বাংলা শিল্প হারিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের প্রথম শিল্পমন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, আর সেই বাংলার শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এখন জেলে!’’
We’re now on WhatsApp – Click to join
আর এরপরেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর কথায় উঠে আসে সন্দেশখালি প্রসঙ্গ৷ তিনি বলেন, ‘‘শেখ শাহজাহান বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে ইডি এবং সেন্ট্রাল ফোর্সকে আক্রমণ করা হয়েছে। সেখানে মহিলাদের উপর লাগাতার নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে, অথচ প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। অথচ, সংসদে মণিপুর ইস্যু নিয়ে পাগল করে দিয়েছে। আরে বাবা! আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজে গিয়েছিলেন মণিপুরে। আর কত সহ্য করবেন?’’
এখানেই শেষ নয়, পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে গিয়েও তিনি বলেন, ‘‘এক সময় কেরলের পর শিক্ষিতের হারে এগিয়ে ছিল এই পশ্চিমবঙ্গই। কিন্তু বর্তমানে তামিলনাড়ু, গুজরাট, মহারাষ্ট্র বাংলাকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যাচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গে শুধু বাড়ছে মাইগ্রেন্ট লেবারের সংখ্যা। একসময় এই পশ্চিমবঙ্গই ছিল সমস্ত ক্ষেত্রের উৎপাদনের হাব, কিন্তু এখন উৎপাদক কোম্পানিগুলিই এখানে আর কাজ করতে চাইছেন না। পশ্চিমবঙ্গের এই বেহাল অর্থনীতি বাংলার মানুষকে অনেক বেশি সমস্যায় ফেলবে। কলকাতার শিক্ষিত মানুষ আপনারা শুনুন, এ রাজ্যে মাথা পিছু বার্ষিক আয় গত দু’দশকে কমেছে।’’
এরপরেই তিনি তুলে ধরেন বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের কথা। তিনি বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সবসময়ই পূর্ব ভারতের উন্নয়নের লক্ষ্যে (ওড়িশা, বাংলা, বিহার, ঝাড়খণ্ড) কাজ করে চলেছেন। সমগ্র দেশের অর্থনৈতিক গতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে পূর্ব ভারতের গতি মেলানোর চেষ্টা করেন তিনি। মহিলা থেকে দরিদ্র, যুব এবং অন্নদাতা কৃষক সবাইকে সঙ্গে নিয়ে উন্নয়নের কাজ করছে মোদী সরকার। আরও গতিশীল এবং আরও সমৃদ্ধ অর্থনীতির লক্ষ্যে কাজ চলছে।
এইরকম রাজনৈতিক প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।