Bimal Gurung Meeting: ২০ বছর পর পাহাড়ে হবে পঞ্চায়েত নির্বাচন, গুরুং-এর ডাকে সর্বদলীয় বৈঠকে ডাকা হল না তৃণমূলকে
সর্বদলীয় বৈঠকে উপস্থিত ছিল বিজেপির প্রতিনিধি দল
হাইলাইটস:
•রবিবার বিমল গুরুং-এর নেতৃত্বে ডাকা হয়েছিল সর্বদলীয় বৈঠক
•বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি প্রতিনিধি দলও
•বৈঠকের কোনও আমন্ত্রণপত্র পেল না তৃণমূল এবং অনীত থাপার দল
দার্জিলিং: গোর্খাল্যান্ড ইস্যুতে অতি পরিচিত একটি নাম হল বিমল গুরুং (Bimal Gurung)। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সুপ্রিমো হলেন তিনি। ২০ বছর পর পাহাড়ে হতে চলেছে দ্বিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন। ফলে নিজেকে সক্রিয় প্রমাণ করতে রবিবার অর্থাৎ গতকাল দার্জিলিংয়ের জিডিএনএস প্রেক্ষাগৃহে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা তথা বিমল গুরুং-এর (Bimal Gurung Meeting) তরফে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন হামরো পার্টি এবং সিপিআরএম এবং বিজেপির প্রতিনিধিরা। তবে তৃণমূল এবং অনীত থাপার দল ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার কাছে কোনও আমন্ত্রণপত্র যায়নি।
একটা সময় ছিল যখন পাহাড়ে প্রায়শই ধর্মঘট দেখা যেত। ক্রমশ উত্তপ্ত ছিল পাহাড়। ফলে ভুগতে হয়েছিল সাধারণ মানুষকে। আর এইরকম পরিস্থিতি সৃষ্টি করার অভিযোগ উঠেছিল বিমল গুরুং-এর বিরুদ্ধে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার মসনদে বসার পর পাহাড় শান্ত করতে পাহাড়ে ছুটে গেছেন বহুবার। প্রসঙ্গত ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির সঙ্গ ছেড়ে তৃণমূলের হাত ধরেছিল গুরুং। আর ২০২১-এর নির্বাচনের পর ঘিসিংয়ের জিএনএলএফ ছেড়ে নয়া দল গড়েছিলেন অজয় এডওয়ার্ডও। ফলে ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে এখনও পর্যন্ত পাহাড় গোটাটাই শান্ত। তারপর পাহাড়ের জিটিএ নির্বাচনে অনীত থাপার দল ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা জয়ী হওয়ার পর এখন পাহাড়ের মানুষও খুব ভালো আছে এবং অনেক উন্নতিও হয়েছে পাহাড়ে। ফলে পাহাড়ে বিমল গুরুং অস্তিত্ব এখন নেই বললেই চলে। এখন অস্তিত্ব না থাকলেও এক সময় পাহাড়ে গুরুংয়ের দাপট ছিল অপরিসীম।
আর নিজের অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখার দৌড়েই এবার রনকৌশল সাজিয়ে মাঠে নেমে পড়েছেন বিমল গুরুং। অনীত থাপা এবং তৃণমূলকে হারাতে ফের পদ্মের সঙ্গে হাত মেলাতে চলেছেন বিমল গুরুং, রোশন গিরিরা। অবশ্য গতকালের বৈঠকে দলগুলির শীর্ষনেতারা উচিত ছিলেন না। সূত্রের খবর, ঘিসিংয়ের পরিচালিত জিএনএলএফ বৈঠক উপস্থিত না থাকলেও তারা মহাজোটের অংশীদার হতে চলেছে। পাহাড়ে শান্তি, গনতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে জোট করার প্রয়োজনীয়তা আছে বলেই বলে মনে করছেন বৈঠকে উপস্থিত দলগুলি। তবে তাদের এই বৈঠককে বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ অনীত থাপা।
দার্জিলিং পুরসভা এবং জিটিএ হাতছাড়া হওয়ার পর অনীতকে ফাঁকা মাঠে একা ছেড়ে দিতে নারাজ চাইছে না বৈঠকে উপস্থিত দলগুলি। গত লোকসভা নির্বাচনের গুরুং গোর্খাল্যান্ড দাবী জানিয়ে বিজেপির সাথে হাত মিলিয়ে ছিলেন। ফলে পাহাড় থেকে প্রায় সবকটি লোকসভা আসনই যায় গেরুয়া শিবিরের দখলে। বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। এবার ১৯-এর পুনরাবৃত্তি করতে চাইছে গেরুয়া শিবিরও। বিজেপি নেতা সঞ্জীব লামার দাবি, কয়েক দিনের মধ্যে সাংসদ রাজু বিস্তার সঙ্গে আলোচনা করেই জোট গড়ে না এককভাবে দল লড়বে তা চূড়ান্ত করা হবে। পাহাড়ের পঞ্চায়েত ভোটে আগামী সাতদিনের মধ্যে এই একজোট হয়ে লড়বে নাকি এককভাবে লড়বে সে কথা প্রকাশ্যে আনবে দলগুলি। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার ক্ষেত্রে সেই সিদ্ধান্ত নেবেন দলের সুপ্রিমো বিমল গুরুং। ফলে বলা যায় পাহাড়ে নয়া সমীকরণের রাজনীতি দেখতে চলেছে পাহাড়বাসী তথা রাজ্যবাসী। যা রাজনৈতিকভাবে যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
এইরকম রাজনৈতিক বিষয়ক প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।