Hair Fall: ধূমপান করলে কী হেয়ার ফলের সমস্যা বাড়ে এবং অল্প বয়সেই মাথায় টাক পড়ে? গবেষণায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য
Hair Fall: নিয়মিত ধূমপান শরীরের সাথে সাথে ত্বক এবং চুলেরও ক্ষতি করে
হাইলাইটস:
- নিয়মিত ধূমপান আপনার হেয়ার ফলের একটি কারণ হতে পারে
- তাই প্রথম থেকেই এই বিষয়ে সতর্ক থাকুন
- জেনে নিন কীভাবে স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখবেন
Hair Fall: ধূমপান যে স্বাস্থ্যের জন্যে অত্যন্ত ক্ষতিকারক, আজকের দিনে দাঁড়িয়ে একথা কারও অজানা নয়। তবে এর ক্ষতিকারক দিকটি জানার পরেও বহু মানুষ আছেন, যারা ধূমপানের মতো এই খারাপ অভ্যাসটি ত্যাগ করতে পারেন না। ফলে শরীরের ক্ষতি হওয়ার সাথে সাথে ক্ষতি হয় ত্বক এবং চুলের।
We’re now on WhatsApp – Click to join
সাম্প্রতিক কালে পুরুষ-মহিলা উভয়ই চুল পড়ার সমস্যায় জর্জরিত। আবার কারও কারও তো কম বয়সেই মাথায় টাক পড়ে যাচ্ছে। তারপরেও খারাপ অভ্যাসগুলি ত্যাগ করতে পারছেন না তারা। ফলে অতিরিক্ত ধূমপানের কারণে উঠছে মুঠো মুঠো চুলও। তাই এখনই যদি সাবধান না হন, তবে আগামীদিনে ঘোর বিপদ ডেকে আনবে।
অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের মাত্রা বৃদ্ধি পায়:
ধূমপানের কারণে শরীরে অতিরিক্ত পরিমাণে ফ্রিব়্যাডিকাল তৈরি হয়। যা শরীরের ক্ষতি করার সাথে সাথে স্ক্যাল্পেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। আর এই কারণেই চুলের ক্ষতি হয়। ফলে হেয়ার ফলের মাত্রাও বৃদ্ধি পায়।
বাধা পায় রক্ত সঞ্চালন পদ্ধতি:
তামাকে উপস্থিত ক্ষতিকারক রাসায়নিক শরীরে স্বাভাবিক রক্ত সঞ্চালনে অনেক বেশি বাধার সৃষ্টি করে। যে কারণে একাধিক অসুখের ফাঁদে সাথে সাথে স্ক্যাল্পেও স্বাভাবিক রক্ত সরবরাহেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। ফলে প্রতিটি হেয়ার ফলিকলে পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন পৌঁছাতে পারে না। সেই কারণেই অতিরিক্ত হেয়ার ফল হতে শুরু করে।
গবেষণাতেও মিলেছে জরুরি তথ্যের সন্ধান
২০২০ সালে ২০-৩৫ বছরের পুরুষ এবং মহিলাদের উপরে একটি গবেষণা চালানো হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ ধূমপান করতেন তো আবার কেউ কেউ করতেনও না। এই গবেষণায় উঠে আসে যে, ধূমপানকারীদের অতিরিক্ত মাত্রায় হেয়ার ফল হচ্ছে। এদিকে যাঁরা ধূমপান করতেন না, তাঁদের হেয়ার ফলের মাত্রা ধূমপানকারীদের থেকে অনেকটাই কম।
এবার একটা প্রশ্ন উঠে আসছে যে, তবে কী ধূমপান ছেড়ে দিলেই নতুন চুল গজাবে?
না, ধূমপান ছেড়ে দিলেই যে আবার নতুন করে চুল গজাতে শুরু করবে, এমন কোনও প্রমান পাওয়া যায়নি এই গবেষণাতে। ধরুন আপনি প্রায় ১৫ বছর টানা ধূমপানে আসক্ত, তবে হঠাৎই একদিন আপনার মনে হল এই খারাপ অভ্যাস ত্যাগ করলেই আগামীদিনে আশানুরূপ ফল পাওয়া যাবে। যদি এমন মনে করেন, তবে বলে রাখি, এমন আশা না রাখাই শ্রেয়। কিন্তু সেক্ষেত্রে ধূমপান সারাজীবনের জন্য ছেড়ে দেওয়ার পরে চুলের হাল ফেরাতে চিকিৎসা করতেই পারেন। তাতে অবশ্য অনেকটাই উপকার মিলতে পারে।
তবে এও বলে রাখি, কারও কারও ক্ষেত্রে চটজলদি সুফল মিললেও মিলতে পারে। অর্থাৎ ধূমপান ছেড়ে দিলেই অতিরিক্ত হেয়ার ফল বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তাই চুলের হাল ফেরাতে এখনই বন্ধ করুন এই বদভ্যাসটি।
এইরকম বিউটি, স্বাস্থ্য এবং জীবনধারা সম্পর্কিত প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।