Bangla News

Japan Earthquake: কেন বারবার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে পূর্ব এশিয়ার দ্বীপ দেশ জাপান? নেপথ্যে কোন কারণ?

Japan Earthquake: বছরের শুরুতেই ভয়াবহ ভূমিকম্পের কবলে জাপান

 

হাইলাইটস:

  • ২০২৪-এর শুরুতেই ৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল জাপান
  • ভূপৃষ্ঠে জলস্তরের পরিমান বেড়ে যাওয়ায় সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে
  • তবে ঘনঘন ভূমিকম্পে কেন কেঁপে উঠে জাপান?

Japan Earthquake: যখন বর্ষবরণের উৎসবে মেতে উঠেছিল সারা বিশ্ব, ঠিক তখনই বছরের প্রথমদিনেই ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল পূর্ব এশিয়ার দ্বীপ দেশ জাপান। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা প্রায় ৭.৬। কম্পনের জেরে কমপক্ষে মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের। জাপানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় অঞ্চলে এই তীব্র ভূমিকম্পের পর জাপান সরকার সুনামি সতর্কতা জারি করেছে।

https://twitter.com/NotElonMuskAOC/status/1742114300662042662?t=MEsUd2Vh2NUYJMR38zVkmw&s=19

এর পাশাপাশি উপকূলীয় এলাকা থেকে বাসিন্দাদের সরে যাওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে এই প্রথমবার নয় আগেও একাধিকবার ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত হয়েছে জাপান। তবে কেন ঘনঘন ভূমিকম্প হয় এই দেশে?

We’re now on WhatsApp – Click to join

ভৌগলিক অবস্থানগত কারণে – 

বিশেষত ভৌগলিক অবস্থানগত কারণে বিশ্বের অন্যান্য দেশের চেয়ে জাপানে সবথেকে বেশি ভূমিকম্প হয়। তবে দেশের সব অঞ্চলে কিন্তু ভূমিকম্প আঘাত করে না। রাজধানী টোকিওতে ভূমিকম্পের প্রভাব বেশি হয়। এছাড়া ভূমিকম্পগুলির অধিকাংশই ক্ষীণ হয়।

রিং অফ ফায়ারে অন্তর্ভুক্ত দেশ –

বেশিরভাগ ভূ-তাত্ত্বিকদের মতে, জাপান মূলত অবস্থিত প্রশান্ত মহাসাগরীয় ‘রিং অব ফায়ার’ অঞ্চলে। যার বাংলা অর্থ ‘আগুনের গোলা’। তবে এই ‘রিং অব ফায়ার’ কী? এটি হল একটি কাল্পনিক বেল্ট যা প্রধানত ঘোড়ার খুর আকৃতির মতো যা প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে ঘিরে রেখেছে। যেসব অঞ্চল ‘রিং অব ফায়ার’-এ অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, সে সব অঞ্চল পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভূমিকম্পপ্রবণ হয়।

https://twitter.com/iyarkai_earth/status/1741823062591561950?t=nkOanPUocyss362O9A85Vw&s=19

৯০ শতাংশ ভূমিকম্পের কারণই ‘রিং অব ফায়ার’ -​

ভূ-তাত্ত্বিকদের মতে, ৯০ শতাংশ ভূমিকম্পের কারণ ‘রিং অব ফায়ার’। ৪০ হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ প্রশান্ত মহাসাগরীয় এই ‘রিং অব ফায়ার’ অঞ্চলে রয়েছে মোট ৪৫২টি আগ্নেয়গিরি। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, এটি পৃথিবীপৃষ্ঠে অবস্থিত মোট আগ্নেয়গিরির প্রায় ৭৫ শতাংশ। এই ‘রিং অব ফায়ার’-এর অন্তর্ভুক্ত দেশগুলি হল – এশিয়ার জাপান, পলিনেশিয়ার টোঙ্গো এবং দক্ষিণ আমেরিকার ইকুয়েডর। তাই এই সব অঞ্চলেই ঘনঘন ভূমিকম্প হয়ে থাকে।

https://twitter.com/CrickettFanGirl/status/1742098198087532986?t=ZPInrQBdQ4HoqrzLS2uJeQ&s=19

টেকটোনিক প্লেট কী?

তিনটি ভাগে বিভক্ত হয়েছে ​পৃথিবীর কাঠামো। প্রথমত, বহির্ভাগের লবণাক্ত এবং কঠিন ভূ-ত্বক (পুরুত্ব প্রায় ৩০ কিমি.), দ্বিতীয়ত, এর নীচে ২৯০০ কিলোমিটার পুরু এক ধরনের ঘন, আঠালো অংশ আর তৃতীয়ত, তিন হাজার ব্যাসের কেন্দ্রীয় পৃষ্ঠ। দ্বিতীয় ভাগের ঘন এবং আঠালো অংশের উপরিভাগে বিভক্ত সাতটি গুরুত্বপূর্ণ অংশই হচ্ছে টেকটোনিক প্লেট।

https://twitter.com/surajit_ghosh2/status/1742119693635158372?t=dylsL7jlpRuNed9NkalhmA&s=19

প্লেটগুলি কী কী?

এই প্লেটগুলি হল – প্রশান্ত মহাসাগরীয়, ইউরেশীয়, আটলান্টিক, আফ্রিকান, উত্তর আমেরিকান, দক্ষিণ আমেরিকান এবং ইন্দো-অস্ট্রেলীয়। আর এই টেকটোনিক প্লেটগুলি একটি আরেকটির সঙ্গে ধাক্কা লাগলে বা সংঘর্ষ হলে ভূমিকম্পের সৃষ্টি হয়। ​ভারতীয় প্লেট (ইন্দো-অস্ট্রেলীয় প্লেটের অংশবিশেষ) এবং ইউরোশীয় প্লেটের সংঘর্ষে নেপালের ভয়াবহ ভূমিকম্পের কারণ ছিল। অতীতে ​হিমালয় পর্বতেরও সৃষ্টি হয়েছিল এই দুটি প্লেটের সংঘর্ষের ফলেই।

এইরকম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Back to top button