Covid 19: করোনার নতুন সাব ভ্যারিয়েন্ট JN.1 উপসর্গগুলি জানাল WHO, প্রথম থেকে সতর্ক কেন্দ্র এবং রাজ্য উভয়ই
Covid 19: করোনার নতুন সাব -ভ্যারিয়েন্টে নাজেহাল সাধারণ মানুষ
হাইলাইটস:
- ফের চোখ রাঙাছে করোনার নতুন সাব ভ্যারিয়েন্ট
- JN.1 উপসর্গগুলি জানাল WHO
- করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টের ওপর কড়া নজর রাখছে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার উভয়ই
Covid 19: করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক এখনও ভোলেনি দেশবাসী, তার উপরেই এবারও করোনার নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্টের উপসর্গ ধরা পড়েছে দেশ। যার শুনে ইতিমধ্যে চিন্তায় ঘুম উড়েছে আট থেকে আশি সকলের। সকলের ভ্যাকসিন নেওয়া থাকলেও আবারও আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে দেশে।
We’re now on WhatsApp – Click to join
এক সময় করোনা ভাইরাস দেখিয়েছিল বাস্তববাদী পৃথিবীকে। সারা বিশ্ব যেন হয়ে উঠেছিল মৃত্যুপুরী। সকলের মনেই একটাই আতঙ্ক মাথাচাড়া দেয়, করোনা কী আবার ফিরে আসবে? কারণ ইতিমধ্যে ভয় ধরাচ্ছে চিন এবং সিঙ্গাপুরের মতো দেশের করোনার পরিসংখ্যানও। আর ঠিক এরই মাঝে করোনার নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট JN.1 ধরা পড়েছে কেরলে। এছাড়াও আরও তিন রাজ্যে ধরা পড়েছে এই নতুন ভ্যারিয়েন্টটি।
করোনা বারে বারেই দুয়ারে হাজির হয়েছে লাদা আলাদা ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে। আর প্রতিটি ক্ষেত্রেই আক্রান্তের উপসর্গে কিছুটা তফাৎ লক্ষ্য করা গেছে। এবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) তরফে জানানো হল, করোনার নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট JN.1 উপসর্গগুলি কী কী –
• জ্বর
• সর্দি
• গলা ব্যথা
• মাথাব্যথা ইত্যাদি।
তবে এই উপসর্গগুলি কিন্তু কম-বেশি সব ধরনের জ্বর-সর্দি-কাশির ক্ষেত্রেই কমন ব্যাপার। WHO জানিয়েছে, করোনার এই নতুন স্ট্রেন এখনও পর্যন্ত জনস্বাস্থ্যে বড়সড় কোনও আতঙ্ক সৃষ্টি করেনি। তবে JN.1 কোভিড সাব-ভেরিয়েন্টটি প্রাথমিকভাবে লাক্সেমবার্গে শনাক্ত করা গিয়েছিল। এটি পিরোলা ভ্যারিয়েন্টের (BA.2.86) সাব-ভ্যারিয়েন্ট, যার উৎপত্তি হয়েছে ওমিক্রন সাব-ভ্যারিয়েন্ট থেকে।
করোনার নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট JN.1-এর লক্ষণ:
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) অনুসারে, নতুন করোনা ভ্যারিয়েন্টের লক্ষণগুলি হল –
• হালকা থেকে মাঝারি জ্বর, সর্দি, গলা ব্যথা এবং মাথাব্যথা হতে পারে।
• এছাড়া বেশিরভাগ রোগীর upper respiratory অংশে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
• আবার হঠাৎ করে খিদেও কমে যেতে পারে।
• ক্রমাগত বমি বমি ভাব হতে পারে।
• এছাড়া JN.1 ভ্যারিয়েন্টের আরেকটি উল্লেখযোগ্য লক্ষণ হল, চরম ক্লান্তি।
• অন্যদিকে অত্যধিক ক্লান্তি এবং পেশীর দুর্বলতা
অনেক ক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তির গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা দেখা যেতে পারে। যা থেকে সেই ব্যক্তির হজমের সমস্যাও হতে পারে।
এদিকে ভারতে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারও যথেষ্ট উদ্বিগ্ন। গতকাল দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রতিটি রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিবদের নিয়ে বৈঠকও সেরে নিয়েছেন। এক্ষেত্রে কেন্দ্র এবং রাজ্যকে একসাথে কাজ করতে হবে বলেই মনে করছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। করোনার এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে বিশেষ সতর্ক হয়েছে কলকাতা পুরসভাও। তিলোত্তমা নগরীতে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে ক্রিসমাস এবং বর্ষবরণের প্রস্তুতি। আর সেক্ষেত্রে জনসমাগম নিয়ে উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য ভবন। অত্যধিক ভিড়ে মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে নবান্নের তরফে। সব মিলিয়ে বলা যায়, করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টের ওপর কড়া নজর রাখছে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার উভয়ই।
এইরকম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।