Bangla News

Naihati Boro Maa: নৈহাটির বড়মার পুজো শতবর্ষে পা দিল! নতুন মন্দিরও উদ্বোধন হয়েছে, জেনে নিন বড়মার পুজো কেন এত জাগ্রত

Naihati Boro Maa: এবছর ১০০ বছরে মা দিল নৈহাটির বড়মার পুজো

 

হাইলাইটস:

  • কালীপুজো মানেই নৈহাটির বড়মা
  • শতবর্ষে পা দিল বড়মার পুজো
  • “ধর্ম যার যার, বড়মা সবার

Naihati Boro Maa: কালীপুজোতে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার অন্যতম প্রধান আকর্ষণ হল নৈহাটির বড়মা কালী। শুধু রাজ্য না, বড়মার কাছে মনস্কামনা পূরণ করতে বিদেশ থেকেও আসেন ভক্তরা। নৈহাটির বড়মার মূর্তির উচ্চতা প্রায় ২১ ফুট। তাই সকলেই তাঁকে চেনেন বড়মা হিসাবেই।

View this post on Instagram

A post shared by Rahul Saha (@rahulsaha0506)

নৈহাটির প্রাচীন কালীপুজোগুলির মধ্যে এটি অন্যতম। তাই নৈহাটিতে সবার প্রথমে বড়মার প্রতিমা বিসর্জন হয়। এবছর বড়মার পুজো শতবর্ষে পা রাখতে চলেছে। আর সেই কারণেই বড়মার নতুন মন্দিরও উদ্বোধন হয়ে গেছে। কষ্টিপাথরের মায়ের মূর্তি বসানো হয়েছে মন্দিরে। যা রাজস্থানের শিল্পীর হাতের ছোঁয়ায় তৈরি হয়েছে।

মা কালী এখানে দক্ষিণাকালী রূপেই পূজিত হন৷ কোজাগরী পূর্ণিমা থেকে হয়েছে দেবীর মূর্তি গড়ার কাজ। এখন তো চলছে বড়মার মুখমণ্ডল তৈরির কাজ। ২১ ফুটের মূর্তি তৈরি করতে মাচা বেঁধে সিঁড়ি দিয়ে উঠে কাজ করছেন মৃৎশিল্পীরা। প্রতিবছরই কৃষ্ণবর্ণের এই দেবী প্রতিমা কয়েক কেজির স্বর্ণালঙ্কারে সেজে ওঠেন। ভক্তদের বিশ্বাস তাঁর কাছে কোনও কিছু চাইলেই তিনি তাঁর ভক্তদের মনস্কামনা পূর্ণ করেন। আর তাঁর আশীর্বাদ পেয়ে, ভক্তরা নিজেদের সাধ্যমতো দান করেন। সে শাড়ি হোক না গহনা, এই ভাবেই কয়েক কেজি গয়নার অধিকারী হয়ে উঠেছেন নৈহাটির বড়মা। তবে মন্দিরে পুজোর জন্য যা ফলবা কাপড় আসে তা অনাথ আশ্রম, বৃদ্ধাশ্রমে বিলি করা হয় মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে। পুজোয় পাওয়া শাড়িও দুঃস্থদের মধ্যে বিলি করে দেওয়া হয়। বিশেষ করে ভক্তদের দেওয়া বেনারসি শাড়ি গরিব অবিবাহিত মেয়েদের বিয়ের জন্য দেওয়া হয়। বড়মার কাছে উৎসর্গ করা ফল হাসপাতালের রোগীদের মধ্যেও বিতরণ করা হয়৷

“ধর্ম যার যার, বড়মা সবার”- ভক্তদের বিশ্বাস, নৈহাটির বড়মা খুবই জাগ্রত। তাই তো প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ ভক্ত আসেন বড়মার কাছে, এমনকি পুজোর দিন প্রায় কয়েক হাজার ভক্ত দণ্ডীও কাটেন৷ পুজো দিনগুলিতে ৫ হাজার কিলোরও বেশি ভোগ রান্না করা হয়। শুধু কী পুজো, বড়মার নিরঞ্জন শোভাযাত্রা দেখতেও গঙ্গাপাড়ে ভিড় জমান হাজার হাজার ভক্ত। প্রতিমা বিসর্জনেও রয়েছে অভিনবত্ব। বড়মা এবং শিবের চক্ষু ছাড়া অন্য সমস্ত অলংকার খুলে নেওয়া হয়। আর এরপর ফুলের গয়নায় সাজিয়ে তোলা হয় বড়মাকে। অবশেষে বিশালাকার এই প্রতিমাকে ট্রলি করে টেনে নিয়ে গিয়ে নৈহাটির গঙ্গায় বিসর্জন দেওয়া হয়।

“ধর্ম যার যার, বড়মা সবার”- জয় বড়মা!

এইরকম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button