কোনওরকম প্রেমের সম্পর্কে না জড়িয়ে বেশিরভাগ পুরুষ মানুষই সিঙ্গেল জীবনকে বেছে নিচ্ছেন কেন?
সমীক্ষার রিপোর্টে উঠে এল আরও চাঞ্চল্যকর সব তথ্য
হাইলাইটস:
•পুরুষ মানুষের সিঙ্গেল থাকার কারণ
•গবেষণা থেকে কী কী তথ্য উঠে আসছে?
•মহিলাদের থেকেও পুরুষদের অবস্থা শোচনীয়
আমাদের চারপাশে এমন অনেক পুরুষই আছেন যারা নিজেদের ইচ্ছেতেই সিঙ্গেল থাকেন। কারণ তারা সিঙ্গেল থাকতেই বেশি পছন্দ করেন। আবার অনেকে তাদের জীবনের পরিস্থিতির কারণে সিঙ্গেল। কেউ কেউ অতীতের স্মৃতির কথা মনে রেখে সিঙ্গেল। তাই তারা আর কোনও গুরুতর সম্পর্কে হতে আগ্রহী নয়। সম্প্রতি একটি সমীক্ষার রিপোর্টেও কিন্তু এরকম তথ্যই উঠে আসছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৬জন পুরুষই নিজের ইচ্ছেতেই সিঙ্গেল থাকতে চান। তারা কোনওরকম রোম্যান্টিক সম্পর্কে জড়াতে উৎসাহিত নয়। শুধু রোমান্টিক সম্পর্কই না, এর সঙ্গে যৌন কার্যকলাপেও আগ্রহ হারাচ্ছেন তারা।
‘নিউ পিউ রিসার্চ সেন্টার ডেটা’র দেওয়া তথ্য অনুয়ায়ী ৩০ বছর বয়সী পুরুষদের মধ্যে প্রায় ৬৩ শতাংশই ‘সিঙ্গেল’। যদিও তাঁরা চাইলেই সম্পর্কে জড়াতে পারেন। কিন্তু ২০১৯ সালে এই পরিসংখ্যান ছিল ৫১ শতাংশ। এরপরের রিপোর্টে যে তথ্য এল, তাতে বোঝা গেল এক ধাক্কায় সেই সংখ্যাটা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। কিন্তু কেন? উত্তর দিলেন, মনোবিদ ফ্রেড ব়্যাবিনোউটজ। তিনি এর জন্য দায়ী করেছেন অনলাইন এরটিক সময় কাটানোকেই। আন্তর্জাতিক একটি সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, “যুবকরা সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকটা সময় কাটান। তাঁরা অতিরিক্ত পরিমাণে পর্ন ছবি দেখেন। না চাইতেই অনেক চাহিদা মিটিয়ে ফেলতে পারছেন তাঁরা। একা থাকার অন্যতম কারণ এটিই। আমার মনে হয় এটা তাঁদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।” আবার এই প্রসঙ্গে নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিদ্যার শিক্ষক নাইয়োবি ওয়ে বলেন, “আমরা যোগাযোগ রক্ষার সঙ্কটে ভুগছি। নিজের সঙ্গে, পরিবারের সঙ্গে, এমনকি আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে ন্যূনতম যোগাযোগ রাখতে না পারায় এখন আমাদের এই অবস্থা।”
কোভিডের পরবর্তী সময় তাদের উপর অনেকটাই প্রভাব ফেলেছে। সেই সময়ে মানুষ অনেকটা সময় একা কাটিয়েছেন। তাই পরবর্তীতে তারা জীবনের স্বাভাবিক ছন্দের পরিবর্তে একা থাকতেই পছন্দ করছেন বেশি। আমাদের আশপাশের অনেক ছেলের মধ্যেই এই উদাসীনভাব দেখা যায়। তারা নাকি ‘কমিটমেন্টে’ বিশ্বাসী না। কমিটমেন্ট ছাড়া সম্পর্কে থাকা মুশকিল। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, পুরুষরা এক অদ্ভুত একাকিত্বে ভুগছেন। তারা মূলত একা থাকতেই চাইছেন। ফলে তাদের সামাজিক কাজের উপরেও যথেষ্ট প্রভাব পড়েছে। সিঙ্গেল পুরুষদের মধ্যে অধিকাংশ পুরুষই কিন্তু সম্পর্কে জড়াতে চাইলেও সম্পর্কের কোনও দায়িত্ব নিতে চাইছেন না। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, এই প্রজন্মের পুরুষদের মধ্যে এই লক্ষণ কিন্তু বেশ হতাশাজনক।
শুধু যে পুরুষ মানুষদের মধ্যেই এই সমস্যা দেখা দিচ্ছে তা নয়, অনেক মহিলাদের মধ্যেও এই প্রবণতা রয়েছে। ৩৪ শতাংশ মহিলা যাদের বয়স ৩০-এর কম, তারা সিঙ্গেল জীবনকেই বেছে নিচ্ছেন। অনেকেই মনে করেন, কোনও পুরুষের সঙ্গে রোম্যান্টিক ডেটে না গিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে হ্যাংআউট করা অনেক বেশি মজার। ফলে বোঝাই যাচ্ছে মহিলাদের একই অবস্থা। কিন্তু মহিলাদের থেকেও পুরুষরা আরও বেশি একাকী। তারা শুধুই নিজের সঙ্গে সময় কাটাতে চাইছেন।
এইরকম সম্পর্ক বিষয়ক প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।