ত্বকের বলিরেখা দূর করার জন্য ২ ফোঁটা ল্যাভেন্ডার অয়েল ত্বকে লাগান আর চমৎকার দেখুন
ত্বকের যত্নের জন্য ল্যাভেন্ডার অয়েল ব্যবহার করা জরুরি
হাইলাইটস:
•ল্যাভেন্ডার অয়েল কী?
•ল্যাভেন্ডার অয়েলের উপকারিতা কী?
•ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী এই অয়েল
ল্যাভেন্ডার ফুলগুলি দেখতে অন্যান্য ফুলের চেয়ে বেশি সুন্দর। ল্যাভেন্ডার ফুলের নির্যাস থেকে ল্যাভেন্ডার অয়েল বের করা হয়। এটি অ্যারোমাথেরাপির কাজেও ব্যবহার করা হয়। ল্যাভেন্ডার অয়েলের অনেক গুণ রয়েছে যা দেহের বিভিন্ন ধরণের সমস্যা নিরাময় করতে সহায়তা করে। ল্যাভেন্ডার অয়েল অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যে সমৃদ্ধ। এটি ব্রণের জন্য একটি দুর্দান্ত প্রাকৃতিক প্রতিকার। এই তেল অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর। ত্বকের যত্নে এই তেল আপনি বিভিন্ন ভাবে ব্যবহার করতে পারেন। আবার যদি কারও মানসিক চাপ ও ক্লান্তির সমস্যা থাকে তবে এগুলি কাটিয়ে উঠতে উপকারী। যদিও ল্যাভেন্ডার অয়েল কোনও চিকিৎসা পদ্ধতি নয়। যদি কোনও ব্যক্তি দীর্ঘকাল ধরে অসুস্থ থাকে, তবে তার জন্য ল্যাভেন্ডার অয়েল নয়, চিকিৎসক দ্বারা চিকিৎসা করা প্রয়োজন রয়েছে। ল্যাভেন্ডার অয়েল কেবলমাত্র রোগের লক্ষণগুলি হ্রাস করতে কার্যকর হতে পারে।
ল্যাভেন্ডার অয়েল মূলত তার অনেক সুবিধার জন্য পরিচিত। কয়েক বছরে বিউটি দুনিয়ায় বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই অয়েল। ল্যাভেন্ডার অয়েলের সুগন্ধ আপনাকে মানসিক স্বস্তি এবং শান্তি প্রদান করতেও পরিচিত। সমস্যার সমাধান, অনেক অসাধ্যই সাধন করতে পারে এই অয়েল। এই তেলের গুণে ত্বকে বয়সের ছাপ মলিন করা যায়। অ্যাকনে প্রতিরোধ করা যায়।
ত্বকের যত্নে ল্যাভেন্ডার অয়েলের উপকারিতাগুলি হল:
ত্বক স্নিগ্ধ আর শান্ত রাখে:
ল্যাভেন্ডারের অ্যান্টিফাঙ্গাল, অর্থাৎ ছত্রাকরোধের ক্ষমতা রয়েছে। তাই এটি ত্বকের লালচে ভাব, জ্বালাভাব এবং সংক্রমণ সারিয়ে তোলে। বিশেষ করে যাদের ত্বক শুষ্ক, অথবা সোরিয়াসিস বা এগজিমার সমস্যায় কষ্ট পাচ্ছেন, তাঁদের জন্য ল্যাভেন্ডার অয়েল আশীর্বাদের মতো। ত্বকের লালচে ভাব আর সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে ব্যবহার করুন ল্যাভেন্ডারের গুণে সমৃদ্ধ ময়শ্চারাইজার ভেসলিন ল্যাভেন্ডার ময়শ্চারাইজিং জেল। এই ময়শ্চারাইজারটি একেবারেই চটচটে নয় এবং প্রাকৃতিক ল্যাভেন্ডারের গুণে ভরপুর। ফলে আপনার ত্বক স্নিগ্ধ থাকে, ত্বকে আর্দ্রতা বজায় থাকে এবং ২৪ ঘণ্টা ধরে ত্বক থাকে তরতাজা আর কোমল।
অ্যাকনে সারিয়ে তোলে:
ল্যাভেন্ডার অয়েল ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে। এটি আপনার মুখের অ্যাকনে সারিয়ে তুলতে পারে। কিংবা অ্যাকনের আশঙ্কা একদমই কমিয়ে দিতে পারে। বদ্ধ ত্বকরন্ধ্রকে মুক্ত করে। মুখের ইনফ্ল্যামেশন কমাতে সাহায্য করে।
ব্রণ কমাতে সাহায্য করে:
শুনতে অবাক লাগলেও ল্যাভেন্ডারের অ্যারোমা অয়েল কিন্তু ব্রণর বিরুদ্ধে ত্বকের প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সাহায্য করে, ফলে ব্রণ কমে। বন্ধ রোমকূপের মুখ খুলে দেয়, প্রদাহ কমায় এবং ব্রণর ব্যাকটেরিয়া নির্মূল করে ল্যাভেন্ডার অয়েল। ব্রণর জন্য ল্যাভেন্ডার অয়েল কাজে লাগানোর সবচেয়ে ভালো উপায় হল নারকেল তেল বা আর্গান অয়েলের মতো কোনও অয়েলের সঙ্গে মিশিয়ে নেওয়া। দুটি তেল একসঙ্গে মিশিয়ে নিয়ে তুলো দিয়ে পরিষ্কার মুখে লাগান। নিয়মিত ব্যবহার করলে দেখবেন ব্রণর সংখ্যা কত কমে গেছে, নতুন ব্রণও আর বেরোচ্ছে না।
বলিরেখা মলিন করে:
মুখে বলিরেখা আর সূক্ষ্মরেখা দেখা দেওয়ার অন্যতম কারণ হল ফ্রি র্যাডিক্যালস। এই ফ্রি র্যাডিক্যাল জনিত ক্ষতির হাত থেকে ত্বককে সুরক্ষিত রাখার একটি উপায় হল দৈনন্দিন ত্বকের যত্নে অ্যান্টিঅক্সিডান্ট যোগ করা। আর এই ল্যাভেন্ডার অয়েলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে। এটি আপনার ত্বককে ফ্রি-ব়্যাডিকালস থেকে রক্ষা করে। নারকেল তেলের সঙ্গে ২ ফোঁটা ল্যাভেন্ডার অয়েল মিশিয়ে মুখে মাখুন। ফল পাবেন হাতের নাগালে।
ত্বককে উজ্জ্বল করে তোলে:
মুখে হাইপারপিগমেন্টেশন, কালো দাগ আর নিষ্প্রাণ অনুজ্জ্বল ত্বক দেখতে দেখতে আপনি কী ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন? তাই ত্বককে দিন ল্যাভেন্ডারের প্রলেপ। অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি গুণের কারণে ল্যাভেন্ডার ত্বকের কালো দাগছোপ আর বিবর্ণভাব কমাতে সাহায্য করে। ত্বকের কোথাও ছোপছোপভাব বা লালচেভাব দেখা দিলে তা কমাতেও উপকারী ল্যাভেন্ডার।
ত্বককে ডিটক্স করে:
ল্যাভেন্ডার অয়েলের সুগন্ধ শরীর আর মনকে শান্ত করে তোলে। ত্বকেও এই এসেনশিয়াল অয়েলটির একই প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। স্নানের জলে কয়েক ফোঁটা মিশিয়ে নিলে পেশি শিথিল হবে, ত্বকও ডিটক্স হবে খুব তাড়াতাড়ি।