আপনার কী চুলের রঙ ধূসর হয়ে যাচ্ছে? এই ৪টি সুপারফুড দিয়ে প্রক্রিয়াটি বিপরীত করুন
কিছু সামগ্রিক পন্থা রয়েছে যা অলৌকিকভাবে কাজ করতে পারে এবং পাকা চুলে আপনাকে সাহায্য করতে পারে
হাইলাইটস:
•অশ্বগন্ধা চা
•কপার ও ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ খাবার
•ডার্ক চকোলেট
•ডিম
ধূসর চুল: বার্ধক্য একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া এবং ধূসর চুল এটির একটি অংশ। চুলের ফলিকলের মেলামাইন, যা চুলকে তার রঙ দেয়, এটি বয়স বাড়ার সাথে সাথে হ্রাস পেতে শুরু করে। কিন্তু চুলের রঙ ধূসর, রূপালী থেকে সাদা হয়ে যায়। আজকাল দিনে আমরা নিজেরাই প্রাকৃতিক বার্ধক্য প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে চলেছি। এটি অকাল বার্ধক্য এবং আমাদের খাদ্য পছন্দ, জীবনধারা, আবেগ এবং সেইসাথে স্ট্রেস লেভেল এতে প্রধান ভূমিকা পালন করে। নিয়মিতভাবে চুল এবং মাথার ত্বকের যত্নে অবহেলা করা উচিত নয়। চুল পাকা হওয়ার পেছনে এগুলোই প্রধান ভূমিকা রাখে।
অতএব কিছু সামগ্রিক পন্থা রয়েছে যা অলৌকিকভাবে কাজ করতে পারে এবং আপনাকে আপনার প্রাকৃতিক চুলের রঙ পুনরুদ্ধার করতে সহায়তা করতে পারে।
অশ্বগন্ধা চা:
অশ্বগন্ধা একটি শক্তিশালী ভেষজ যা আপনাকে মেলামাইনের ক্ষতি পুনরুদ্ধার করতে এবং আপনার চুলের রঙ ধূসর হওয়া রোধ করতে সাহায্য করতে পারে। অশ্বগন্ধায় টাইরোসিন নামক অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে। এটি চুলের ফলিকলে মেলামাইন গঠনের উদ্দীপনায় সাহায্য করে। অশ্বগন্ধা শরীরের কর্টিসলের মাত্রা কমানোর একটি প্রাকৃতিক উপায় যা ফলিকল ক্ষতি এবং চুল পড়া রোধ করতে সাহায্য করে।
এটি তৈরির পদ্ধতি:
•এক চামচ অশ্বগন্ধা গুঁড়ো বা কয়েকটি শুকনো শিকড় জলে ফুটিয়ে নিন।
•এটি ১০-১৫ মিনিটের জন্য সেদ্ধ করুন।
•ঢাকনা লাগিয়ে অল্প আঁচে জ্বাল দিন।
•একটি কাপে ছেঁকে নিন। ভালো স্বাদের জন্য আপনি এক চা চামচ মধু যোগ করতে পারেন এবং লেবুর রস দিতে পারেন।
কপার এবং ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ খাবার:
খাদ্য আপনার শরীরে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আয়রন, কপার, ভিটামিন B, আয়োডিন এবং ওমেগা-৩ এর অভাব চুল পাকা হওয়ার জন্য দায়ী। তাই কিছু পুষ্টি উপাদান অবশ্যই আপনার খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। আপনার কপার সমৃদ্ধ খাবার যেমন কাজু, আলু, ছোলা, বাদাম এবং মাশরুম, ভিটামিন B সমৃদ্ধ খাবার যেমন দই, পনির, কলা এবং গাজরও আপনার ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। এছাড়াও ওমেগা -৩, ফ্যাটি অ্যাসিড এবং জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার আপনার দৈনন্দিন খাদ্য যেমন আখরোট, তিসি বীজ, পালং শাক, ব্রকোলি এবং ফুলকপি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
ডার্ক চকোলেট:
ডার্ক চকোলেটে উচ্চ আয়রন এবং কপার উপাদান রয়েছে, এই দুটি পুষ্টি যা ধূসর চুল এবং অকাল বার্ধক্য প্রতিরোধ করে। বেশ কিছু গবেষণায় কম ফেরিটিন ঘনত্ব (আমাদের রক্তে আয়রনের স্টোরেজ বাজার) অকাল ধূসর হওয়ার সাথে যুক্ত করেছে এবং কপারের ঘাটতি বিরল, কিন্তু মেলানিন উৎপাদনের জন্য পুষ্টি প্রয়োজনীয়।
ডিম:
ডিমের সাদা অংশে প্রচুর প্রোটিন থাকলেও স্বাস্থ্যকর চুলের উপকারিতা পেতে আপনার কুসুম সহ পুরো ডিম খাওয়া উচিত। গবেষণা অনুসারে, পুরো ডিম ভিটামিন B12 প্রদান করে (একটি পুষ্টি যা উদ্ভিদের খাবার থেকে পাওয়া যায় না)। ২০১৬ সালের একটি সমীক্ষা অনুসারে, যাদের অকাল ধূসর হয়ে যায় তাদের ভিটামিন B12-এর মাত্রা কম থাকার সম্ভাবনা বেশি। শক্ত-সেদ্ধ ডিম একটি দুর্দান্ত স্ন্যাক বা এগুলিকে একটি পুষ্টিকর প্রাতঃরাশের জন্য তৈরি করুন যা পুষ্টিগুণে ভরপুর। এছাড়াও আপনি যদি নিরামিষাশী হন তবে আপনাকে ভিটামিন B12 সম্পূরক গ্রহণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
চুল ধূসর হওয়ার প্রক্রিয়াটি বিপরীত করার জন্য এগুলি শীর্ষ সুপারফুড। এর পাশাপাশি মানসিক চাপ এড়িয়ে চলতে হবে। বেশিরভাগ স্বাস্থ্য সমস্যার মূল হল মানসিক চাপ। তাই নিজেকে সুস্থ এবং সতেজ রাখুন।